ইয়াবার ছোবলে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি!
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:২৪:২৫ বিকাল
জমির চাচা একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রের নাম। আব্দুল হাই শিকদারের গল্পের মাধ্যমে পাওয়া। যেখানে জমির চাচাকে একজন লোলুপ চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। জমির চাচার ছেলে জনি। জনি ও বাপকা বেটা সিপাইকা ঘোড়া। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে পড়ে। জমির চাচা ছেলেকে স্কুলে আনা নেয়া করেন। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবক শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের উগ্রবসন সম্পর্কে সবারই কম বেশী জানা।
স্কুল থেকে আসার সময় পাতলা জর্জেট শাড়ি পরিহিতা এক ম্যাডামের দিকে নজর পড়ে জমির চাচার । চাচা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবিষ্কার করতে থাকেন দেহের ভাজ। রবীন্দ্রনাথ দেখলে হয়ত কবিতা আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে পারতেন, কারন উনারও জমির চাচার মত দেখার অভ্যাস ছিল। সরক্ষনশীল হওয়ার কারনে বিশ্বকবি উনার লালা লেখনীর মাধ্যমে ফেলেছেন যা পাঠকদের শুড়শুড়ি দেয়।
এবার আসি ম্যাডামকে কিভাবে দেখেন জমির চাচা। প্রাচী গংদের মত নাভীর নিচে শাড়ী পরেন লাকী ম্যাডাম। পাতলা শাড়ির মধ্য দিয়ে লাকীর গভীর নাভী ও পেটের ভাজ দেখে জিভে লালা আসে।(বৈজ্ঞানিক তেতুলতত্ত্ব)। ম্যাডামকে কিভাবে ভাগে আনা যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত। জমির চাচা আবার ধর্মনিরপেক্ষ পরিবারের সম্মানিত অধিপতি। ধর্মনিরপেক্ষদের একটা অংশের কিন্ত পারিবারিক জীবনে সেপারেশন। যেমনঃ রোকেয়া প্রাচী।
বুদ্ধি বের করলেন। ছেলের হাউজ টিউটর হিসেবে চড়া দামে নিয়োগ দিলেন। কারন এক ঢিলে দুই পাখি মারবেন, একভাবে পুষিয়ে নিবেন। লাকী ম্যাডাম প্রতিদিন চারটায় পড়াতে আসেন। জমির চাচা বাচচার পড়ালেখার খবর নেয়ার ফাকে ম্যাডামের যৌন উদ্দেপক দেহ অবলোকন করেন। কিন্ত লক্ষ্য হাসিল করতে পারছেন না। চাচীও নেই অনেকদিন থেকে হাস ফাস করেন জমির চাচা। শরনাপন্ন হোন তার জুনিয়র বন্ধু ইমরান সরকারের নিকট। ইমরানের বুদ্ধির কাছে শয়তানও হার মানবে। ইমরান আবার ছোটখাট ডাক্তার। নিজেকে ডাক্তার বলতে লজ্জা পান ছাত্রজীবনে উচ্ছৃংখল রাজনীতির সাথে জড়িত ডাক্তারী বিষয়ে খুব বেশি পড়াশোনা নেই। তাই রাজনীতির ময়দানে নিজেকে আলোচিত করার ফন্দিফিকির করেন, এতে কিছুটা সফলতাও পেয়েছেন।
অফিস থেকে পরিকল্পনামাফিক আগে বাসায় আসেন। চাচীর অসুখের কথা বলে জনিকে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। সময়মত ম্যাডাম পড়াতে আসেন। ইমরানের নিয়মঅনুযায়ী কফিতে কাজের মেয়ে ইয়াবা মিশিয়ে রাখেন। জমির চাচা ও লাকী ম্যাডাম খোশগল্পে মত্ত। একসময়ে কাজের মেয়ে শম্পারেজা নাস্তা দিয়ে যান। কফি খেতে খেতে গল্প চলতে থাকে, একসময় ম্যাডাম উত্তেজনা অনুভব করতে থাকেন, চোখ লাল হয়ে আসে , অস্থিরতা অনুভব করেন। জমির চাচা বুঝতে পারলেন ওষুধে ধরেছে।
জমির চাচা উদ্বেগের সাথে জিজ্ঞাসা করলেন শরীর খারাপ লাগছে? কিছুটা। সাহস নিয়ে এগিয়ে ম্যাডামের কপালে হাত দিয়ে বললেন আপনার শরীর তো জ্বরে পূড়ে যাচ্ছে। বেডে গিয়ে বিশ্রাম করুন, ভালো লাগবে। হাত ধরে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিলেন। বিনাসঙ্কোচে বেডে চলে গেলেন লাকী ম্যাডাম। উনি আবার কর্পোরেট সোসাইটির মেয়ে, স্বামী ঢাকার বাহিরে চাকরি করেন। জমির চাচা ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করার পরও যখন ম্যাডামের কোন বাধা পাননি তখনই বীরদর্পে লক্ষের দিকে এগুতে থাকেন। ম্যাডাম অনেকদিনের ক্ষুধার্ত এবং ইয়াবার ক্রিয়ায় যৌন উত্তেজনায় বুদ যার ফলে বিনা বাধায় জমির চাচা লক্ষে পৌঁছে যান। এভাবে দুজনে মাঝে মাঝে যৌনলীলায় মত্ত হোন এবং ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েন। শম্পারেজা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখত, রক্ত মাংসের মেয়ে সেও উত্তেজনা অনুভব করে, কিন্ত করার কিছুই নেই।
শম্পারেজা ইন্ডিয়ান হিন্দী বাংলা সিরিয়াল দেখতে দেখতে উপায় পেয়ে যান কিভাবে মিটাবেন জ্বালা। প্রয়োগ করেন ইমরান থিয়রী জনির উপর। থিয়রী কাজ করে চলতে থাকে লীলা এবং জনির সাথে সখ্যতা হয়। ব্রোকেন ফ্যামিলী বা সেকুলার রাজনীতির থাবায় যা হয়। জনির আর কাজের মেয়েতে পোষায় না। স্কুলে মেয়েদেরকে অন্যভাবে দেখতে শুর করে। ওড়নাবিহীন স্কুল ড্রেসের ফাকে কিছু একটা খুজতে থাকে জনি। খুজে পায় তা ঐশীর মাঝে।
কর্পোরেট তথা সেক্যুলার সোসাইটিতে ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশায় বাধা নেই, সে সুবাধে বন্ধুতের খাতিরে নিয়মিত জনির বাসায় আসাযাওয়া করত। জনির উদ্দেশ্য বুঝে ওঠার আগেই শম্পারেজার পরামর্শমত ঐশীর উপর ডাঃ ইমরানের ফর্মুলা প্রয়োগ করা হয়। ফর্মুলা কাজ করে । নেশাসক্ত ও যৌনাসক্ত হয়ে পড়ে ঐশী। জনি তার যৌনশক্তি হারিয়ে ফেলে এক বছরের মাথায়। হতাশায় অন্যান্য নেশায় জড়িয়ে পড়ে নপুংশক জনি। ধুরন্ধর জনি নেশার টাকা যোগাড়ের জন্য ঐশীকে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে বন্ধুদের কাছে পতিতার মত ব্যাবহার করে। এক পর্যায়ে ঐশী হারিয়ে ফেলে তার কামশক্তি। নেশার জন্য বিভিন্ন অযুহাতে টাকা নিতে থাকে অবৈধ উপায়ে টাকা অর্জনকারী পুলিশ বাবা থেকে। এক সময় ফ্যামিলী আবিষ্কার করে মেয়ের নেশাসক্তি। বাধা দেয় বাবা মা। ধর্মীয় অনুশাসনের বাহিরে ও ধর্মহীন রাজনীতির করাল গ্রাসে তৈরী সমাজ ব্যাবস্থায় বেড়ে ওঠা ঐশী নেশার থাবায় হারিয়ে ফেলে মনুষত্ববোধ। ভুলে যায় মাতৃস্নেহ,পিতৃস্নেহ। খুন করে মা বাবাকে। আজ নেশাই তার কাছে সবচেয়ে বড়। এখনও সদ্য সাবালিকা মেয়েটির চোখেমুখে দেখতে পাইনা কোন অপরাধবোধ। এমনকি মা বাবার জন্য এক ফোটা অশ্রু। এই সমাজ ব্যাবস্থা ঐশীকে বানিয়েছে পাষন্ড।
এরপরও কি আমাদের সমাজপতিদের বোধদয় হবে?ধর্মনিরপেক্ষতার আবডালে ধর্মহীন রাজনীতি কোথায় নিয়ে যাচ্ছে ? প্রতিদিন কর্পোরেট সোসাইটিতে ভেংগে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক ব্যাবস্থা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কারা। আসুন বিশ্লেষন করি বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টি।
Click this link
দেশে ইয়াবাসেবী ৩০ লাখ (এটা একটা মজার ও বিতর্কিত সংখ্যা, বিশ্বাস নাও হতে পারে রিপোর্টার হয়তো ৩ মিলিয়ন ও ৩ লাখের পার্থক্য জানে না)
যদি সংখ্যটি সত্য হয়, তাহলে এই ৩০ লাখ ইয়াবাসেবী কারা? খোজা যাক কোন গোষ্ঠীতে পাওয়া যায়?
জামায়াতসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক দল ও অরাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা অথবা কর্মী পাওয়া যাবেনা যারা ইয়াবাসহ কোন মাদকের সাথে সম্পৃক্ত।কিন্ত এই ৩০ লাখের অধিকাংশই পাওয়া যাবে যারা সেক্যুলারিজমে বিশ্বাস করে অথবা মানবরচিত সংবিধান দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে চায় তাদের সন্তান অথবা তাদের দলীয় কর্মী ও সমর্থক।
কেন হেডলাইন “ ইয়াবার ছোবলে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি”।
“চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কবির চৌধুরী বলেন, ইয়াবা একটি ভয়ঙ্কর নেশার উপকরণ। এটা সেবনে যৌবন ও জীবনীশক্তি থাকে না। ইয়াবা সেবনে প্রথমে যৌন উত্তেজনা বাড়ে, ঘুম ও ক্ষুধা কম হয়। এটার জন্য তারা ইয়াবা সেবনে সহজে উৎসাহিত হয়। কিন্তু এটা সীমিত সময়ের জন্য। ২-১ বছরের মধ্যে তাদের যৌন উত্তেজনা চিরতরে বিনষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসা করলেও আর ভালো হয় না। তাদের দাম্পত্য জীবন চিরতরে ধ্বংস হয়ে।”
যদি ডাঃ কবিরের কথা সত্য হয় তাহলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে ধর্মহীন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ও পরিবার। প্রজননক্ষমতা কমে গিয়ে নপুংশক হয়ে পড়বে। তাদের আদর্শ গ্রহন ও প্রচার করার জন্য জনশক্তি মাইক্রোসকোপ দিয়ে খুজে পাবে না। পারিবারিক অশান্তি ও হতাশার কারনে ধর্মের দিকে ঝুকে পড়বে।
অন্যদিকে ধর্মভিত্তিক দলগুলো স্বাভাবিক নিয়মে এগিয়ে যাবে। নারীরা বিবাহের ক্ষেত্রে ইসলামপন্থীদের Prefer করবে। ইসলামী পন্থীরাই মৌলবিশ্বাসের(Fundamentalism) সাথে একাত্ম থাকার কারনে সময়ের ব্যাবধানে ইসলামকে বিজয়ির আসনে আসীন করবে। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপিত হবে ফেরাউন-নমরুদের মত।
তাই প্রশ্ন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির ধারক ও বাহকদের কাছে প্রশ্ন আপনি আপনার আদর্শে দৃড় থেকে একটি নপুংশক প্রজন্ম গড়বেন না মানবরচিত বিধান পরিহার করে আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে আপনার সন্তাননদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করবেন?
বিষয়: বিবিধ
৫৩৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন