খোদ শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আল্লামা শফীর তেতুলতত্ত্বের জলন্ত প্রমান, এরপরও কি প্রধানমন্ত্রী তেতুলতত্ত্বের বিরোধিতা করবেন!

লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ১৭ আগস্ট, ২০১৩, ০২:২১:৩৮ দুপুর



আওয়ামীলীগ সরকার কি আসলে ধর্ষন ও এর প্ররোচনার জন্য পরিবেশ তৈরী করে কিনা!

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে কূটনীতিক শাহনাজ গাজীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সচিবালয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দুজনের আপত্তিকর একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমে প্রকাশ পেলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন নেতিবাচক চারিত্রিক কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে বলেও মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানান, চীনের কুংমিংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজীকে নিয়ে আগে থেকেই কূটনীতিক মহলে বিতর্ক রয়েছে। ২০১০ সালে নিউইয়র্কের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন শাহনাজ গাজী, সেই তিনিই আবার অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে এমন মেলামেশা করছেন, বিদেশে কর্মরত একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন আপত্তিকর ছবি মিডিয়া প্রকাশ পাওয়ায় বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে মনে করেন। সূত্র জানায়, শাহনাজ গাজীর ওপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তাই নাখোশ। তাদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, নিউইয়র্কের ঘটনার পর শাহনাজ গাজীকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টির সুযোগ দেখা দিলেও বহাল তবিয়তে আছেন শাহনাজ গাজী। সম্প্রতি নতুন করে শাহনাজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের কিছু ছবি নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সমপর্যায়ের ক্যাডার কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে পারছেন না। শাকিলের ঘনিষ্ঠ একজন জানান, নিউইয়র্কের ঘটনার পর শাকিলের সঙ্গে শাহনাজ গাজী দিলি্লতেও ঘুরতে যান। ওই ঘটনার পর শাকিলের স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, শাহনাজ গাজীর সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ এক নেতার গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি ছিলেন বিগত জোট সরকারের আমলে শীর্ষ কূটনৈতিক কর্মকর্তা।

এদিকে শাহনাজ গাজীকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর ছাপা হওয়া প্রসঙ্গে শাহনাজ গাজী সাংবাদিকদের বলেন, 'উনার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল, সে জন্য ছবি তুলতেই পারি তবে কোনো আপত্তিকর ছবি তোলা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। আপত্তিকর ছবি প্রসঙ্গে জানান, তার ও শাকিলের ছবিগুলো ফটোশপের কারসাজি, এমন কোনো ছবি তোলা হয়নি। তবে গ্রাফিঙ্ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছবিগুলোতে ফটোশপের মাধ্যমে কোনো কারসাজি করা হয়নি। এগুলো বাস্তবে তোলা ছবি। নিউইয়র্কে সেই আলোচিত ঘটনার পরও তাদেরকে একসঙ্গে বেশ কয়েকবার গুলশানের সামদাদো রেস্টুরেন্টেও দেখা গেছে। সেখানে তাদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলেছিলেন রেস্টুরেন্টটির কর্মচারী এ্যালবার্ট বাড়ই। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন সময় আমি শাকিল স্যার ও শাহনাজ ম্যাডামের হাস্যোজ্জ্বল দৃশ্যের ছবি তুলে দিয়েছি। তারা সন্ধ্যার পর প্রায়ই এখানে এসে দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডা দিতেন। তাদের একে অন্যের খুব ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে দেখতেন। রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক বরকত উল্লা ফরাজী বাবুল বলেন, নিউইয়র্কের ঘটনার আগেও তারা দুজন আমাদের রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছেন, সেই ঘটনার পরও আমাদের এখানে আসতেন বলে তিনি জানান। জানা গেছে, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শাহনাজ গাজীকে মাহবুবুল হক শাকিল ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে আসেন শাকিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির পদটিও ছাড়তে হয় শাকিলকে। তবে শাহনাজ গাজী ছিলেন বহাল তবিয়তে। ওই ঘটনার পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর এক বছর পর চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের নতুন মিশন খোলা হলে শাহনাজ গাজীকে কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় শাকিলের কোনো দায় ছিল না, বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তাকে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি আরও উচ্চতর পদে (বিশেষ সহকারী, মিডিয়া) নিয়োগ দেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, শাহনাজ গাজী সম্পর্কে আমি আর কিছু বলতে চাই না, প্লিজ ওইসব আমি ভুলে থাকতে চাই।

-

বিষয়: বিবিধ

২৯১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File