ছাত্রলীগ ও যৌনতা, ধর্ষন সমার্থক(বউ রেখে বান্ধবীর সঙ্গে রাজশাহী ছাত্রলীগ সভাপতির ফূর্তি, মুচলেকায় মুক্তি)
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ৩০ জুলাই, ২০১৩, ০৩:০২:০৫ দুপুর
বান্ধবীকে নিয়ে ফূর্তি করার সময় সোমবার গভীর রাতে হাতে-নাতে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু।
পরে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠেছে মুচলেকার আড়ালে রিন্টুকে বিষয়টি রফা করতে বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে হয়েছে।
রিন্টুর বক্তব্য, ‘আমি নির্দোষ। প্রেমের নামে আমার সঙ্গে ‘রাজনৈতিক গেম’ হয়েছে।’
পুলিশ ও রিন্টুর বান্ধবীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘরে বউ থাকার পরও রিন্টু প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একান্ত মেলামেশাও কর আসছে রিন্টু।
আর এমনই একটি অভিসারে গিয়ে সোমবার রাত ২টার দিকে রিন্টু পুলিশের হাতে বান্ধবীসহ আটক হন। পরে আজ মঙ্গলবার সকার ১০টার দিকে থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে আটক কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিন্টুর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। উল্টো তাকেই ভয়-ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার গভীর রাতে রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এক কলেজছাত্রীর বাড়িতে তার সঙ্গে ফূর্তি করতে যান রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু।
বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই কলেজছাত্রীসহ রিন্টুকে হাতে-নাতে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
পরে ছাত্রলীগ নেতা রিন্টুর আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একাধিক নেতা রিন্টুকে ছাড়ানোর জন্য তদবির শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে সমঝোতা হওয়ার পর রিন্টুকে মঙ্গলবার ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া উঠেছে।
এদিকে, রিন্টুর বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি। ওই কলেজছাত্রী রিন্টুকে বিয়ে করতে চাইলেও তার সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়নি।
রিন্টু সম্প্রতি অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার পরও তার সঙ্গে প্রেমের নামে অবৈধ সম্পর্ক অব্যাহত রাখে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই কলেজছাত্রী। তিনি এর সুষ্ঠু বিচারও দাবি করেন।
তবে টাকার বিনিময়ে রিন্টুকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে পুলিশ। বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তাকে আটকের পর অব্যাহত চাপের কারণেই পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। টাকা লেনদেনের বিষয়টি সত্য নয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিন্টু তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমাকে নিয়ে একটি ‘রাজনৈতিক গেম’ খেলা হয়েছে।’
বিষয়: বিবিধ
১৭৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন