শেখ হাসিনার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও খালেদা জিয়ার দেরীতে ঘুম থেকে ওঠার মধ্যে মিল কোথায়।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ২১ জুন, ২০১৩, ০২:৩০:২৭ দুপুর
১। দুজনই আংশিক মুসলিম।কারণ যারা আংশিক মুসলিম তারা ইসলাম ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের মানুষের মত ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করেন। যেমন উনারা নামাজ পড়া, রোজা রাখা, মাঝে মাঝে হজ্জে যাওয়া, কোরান তেলোয়াত, মিলাদ পড়া, দোয়া করা, বিশ্ব ইজতেমায় মোনাজাতে অংশ নেয়া...। এগুলো পালন করাকে মুসলমানের কাজ মনে করেন। হিন্দুরা পুজা পালন করা, খ্রিস্টান্দের গীর্জায় যাওয়া, ক্রস পরা ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের ধর্মীয় ভাবধারা প্রকাশ করে থাকেন।
উপরিল্লিখিত কিছু ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করলেই কি আমরা নিজেদের পূর্ণাংগ মুসল্মান দাবী করতে পারব।
আমরা একদিকে মুজিব, জিয়া,লেনিন, মাও সেতউং প্রমুখ এর আর্দশ বুকে লালন করব অন্যদিকে নিজেদের মুহম্মদ (সঃ) অনুসারী মুসল্মান বলে ঘোষনা দিব এটা স্ববিরোধী নয় কি?
এট নির্জলা সত্য মুজিব, জিয়া,লেনিন, মাও সেতউং প্রমুখ সবাই মানুষের মঙ্গলের জন্য চেষ্টা করেছেন নিজের সীমাবদ্ধ জ্ঞান বুদ্ধি বিবেচনার মাধ্যমে যা থেকে সাময়িক শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন হলেও দীর্ঘমেয়াদে অসম্ভব। এটা ইতোমধ্যে প্রমানিত। যেমন বাংলাদেশের সংবিধান বারবার সংশোধন হচ্ছে। কিন্তু শান্তি আসছেনা।
সুতরাং বিশ্ব মানবতার কল্যানের জন্য মানবরচিত বিধান কখনই কার্যকর ফল দিতে পারেনা। কিন্তু শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্চে উনারা উভয়ই দেশ ও মানবতার কল্যানের জন্য মানবরচিত সংবিধানে বিশ্বাস করেন আবার নিজেদেরকে কোরআন বিশ্বাসী মুসলমান দাবী করেন।
আমি আশা করি উনারা উভয়ই সহ ৯২ শতাংশ মুসল্মান বিশ্বাস করেন কোরআন একটি পূর্ণাংগ জীবন বিধান। যদি বিশ্বাস না করেন সে ক্ষেত্রে আল্লাহ মালুম উনারা কোন গোত্রের। আর যদি বিশ্বাস করেন কিন্তু পালন না করেন তাহলে তারাসহ তাদের সমর্থকদের পরিণতি কি হবে আল্লাহ ভালো জানেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন