ইসলামের দৃষ্টিতে শ্বশুরবাড়ি একজন নারীর দায়িত্ব এবং অধিকার।

লিখেছেন লিখেছেন মোঃমাছুম বিল্লাহ ২১ জুন, ২০১৪, ০৮:০০:৪২ রাত

শ্বশুরবাড়ি বনাম বউ, বোঝা না বন্ধন?

একথা অনস্বীকার্য নারী ও পুরুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন স্ব স্ব ভিন্নতায় আর বৈশিষ্ট্যে । কিন্তু নারী-পুরুষের মাঝে তিনি কোন বৈষম্য করেন নি। সর্বোচ্চ পুরস্কার জান্নাহ এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতিটি মানুষকে যারা সৎ কর্ম করবে, অন্যায়ের প্রতিরোধ করবে এবং সর্বোপরি ঈমানে বলীয়ান থাকবে। কুর’আনে আল্লাহ কোথাও বলেন নি, মেয়েদের যেহেতু আমি ভিন্নভাবে বানিয়েছি তাদের পুরস্কার কম দিব। কিন্তু আফসোস, আমাদের সমাজ এতটা উদার ও ন্যায়বান হতে পারে নি। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্র্যাকটিসিং ও নন-প্র্যাকটিসিং সব ধরনের পরিবারে মেয়েদের প্রতি বৈষম্য করা হয় নানাভাবে। আমি এমন কিছু অতি সহজ-সরল প্রচণ্ড রকমের ধার্মিক আপুর কথা শুনেছি যে শ্বশুরবাড়িতে তাদেরকে কীভাবে মানসিক দাসত্ব বরণ করে থাকতে হয়। খুব দুঃখের বিষয় হল, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, কট্টর ইসলামিক, উদারপন্থী কোন রকমের পরিবারই বাদ নেই। আমি হতবাক হয়ে যাই আসলেই, আমরা কি আদৌ ইসলামকে জানি ? নাকি জানতে চাই না তা আমাদের ইচ্ছার বিরূপ হবে বলে ? ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিম সমাজে এই আধুনিক যুগে এসে শিক্ষিত পরিবারে শারীরিক ও মানসিকভাবে নারী নির্যাতন হয়ে চলেছে। ভারতের শিক্ষিত পরিবারে কী ভয়ংকর সেই রূপ তা বুঝেছিলাম একটা রিয়েলিটি শো থেকে। আমি অশিক্ষিত গ্রাম্য পরিবারের কথা বাদ দিচ্ছি, বিপদের কথা হল উচ্চশিক্ষিত উদার ও কট্টর ধার্মিক সব রকমের পরিবারে এই পরিস্থিতির চলছে এবং চলছেই।

তাই একজন মানুষ হিসেবে এবং একজন নারী হিসেবে, আমার ঈমানের দাবি হিসেবে আজ লিখতে বসেছি। অধিকাংশ আপু যেটা ভুল করেন তা হল তারা ধৈর্যের পথ বেছে নেন যা আল্লাহর খুব পছন্দের একটি কাজ। কিন্তু ধৈর্য অবলম্বনের কিছু ক্রাইটেরিয়া, কিছু ক্ষেত্র আছে। ধৈর্য অবলম্বন করার অর্থ এই না যে আমি অন্যায়কে মেনে নিতেই থাকব। এটা ভুললে চলবে না যে আল্লাহ বারবার বলেছেন, তোমরা অন্যায়ের প্রতিরোধ কর আর ন্যায়ের শাসন কায়েম কর।

তাই সবার আগে আমরা যারা কমবেশি ইসলামসচেতন, তাদেরকে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে জানতে হবে ইসলাম কী বলে। আমাদেরকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই ব্যাপারে আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে দেখে আসা প্রথাকেই গুরুত্ব দেব নাকি আল্লাহর নিয়মকে গুরুত্ব দেব।

শেইখ আব্দুল রহমান খানকে একজন প্রশ্ন করেছেন, শ্বশুরবাড়িতে একজন মেয়ের কী কী দায়িত্ব আছে ?

উত্তরে তিনি যা বলেছেন তার অনুবাদ নিম্নরূপঃ

শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা আসলে নতুন কোন বিষয় নয়। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই এই সম্পর্ক চলে এসেছে। কুর’আন এবং সুন্নাহ থেকে আমরা বিভিন্ন মানবিক সম্পর্কের সীমা-পরিসীমা, দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে জ্ঞান পাই। একটা বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ আর তা হল এই সম্পর্কের দায়িত্বগুলো কখনও একপক্ষীয় হলে চলে না। একজন সন্তানের যেমন তার পিতামাতার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হয় তেমনি পিতামাতারও সন্তানের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যেটা হয় আমরা কেবল নিজের অধিকার আর পাওনাগুলো নিয়েই ভাবি, কর্তব্য নিয়ে ভাবতে চাই না।

আরেকটা বিষয় হল আমরা আমাদের সমাজে চলে আসা রীতিনীতি আর প্রথাগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকি এমন করে যে ইসলামকে বেমালুম ভুলে যাই। এমন অনেক প্রথা আছে যার মূল সূত্রপাত অন্য কোন ধর্মবিশ্বাসে। কিছু রীতিনীতি এমন যে শ্বশুরবাড়িতে একজন মেয়েকে দাসীর মত করে ব্যবহার করা হয়। কিছু পরিবারে শাশুড়িরা ছেলে এবং ছেলের বউয়ের প্রতিটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং সিদ্ধান্ত দেন, তার অমতে একটা কাজ করতে দেন না। এমনকি খোদ আমেরিকাতেও এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে শাশুড়িরা এমন আচরণ করেন। আবার একইসাথে, এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে পুত্রবধূ ও শাশুড়ির মাঝে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের এক সুন্দর মিষ্টি সম্পর্ক দেখা যায়।

ইসলাম অনুযায়ী একজন নারী বড়-ছোট কোন বিষয়েই শ্বশুরবাড়ির কাউকে মেনে চলতে কোনভাবেই বাধ্য নয়, তা শাশুড়ি, শ্বশুর, ননদ, ননাস, দেবর যে-ই হোক না কেন। তবে এটা শিথিল হবে কেবলমাত্র সেইক্ষেত্রে যদি ঐ নারীর কোন কাজ ইসলামিক শরীয়াতের ফরয কোন কাজ পালনের বা না পালনের ক্ষেত্রে হয়। এবার আসা যাক, স্বামীর প্রসংগে। একজন নারীকে তার স্বামীর প্রতি অনুগত থাকা প্রয়োজন; তবে স্বামী যদি এমন কোন কাজ করতে বলেন যা শরীয়াত বহির্ভূত, অন্যায় ও অন্য কোন নেতিবাচক কাজ তাহলে তা পালন করা যাবে না।

এ প্রসঙ্গে একটি কুর’আনের আয়াত,

পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। (সুরা নিসা-৩৪)

শ্বশুরবাড়ির কারও বিনা অনুমতিতে শোবার ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি ইসলামে নেই। এক্ষেত্রে অমাহরাম কোন পুরুষকে যদি ঢুকতেই হয় তবে ঘরে একজন মাহরামের উপস্থিতি প্রয়োজন। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “মেয়েদের ঘরে প্রবেশের আগে সাবধান থেকো”। তখন আনসারদের একজন বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল, যদি সে তার স্বামীর ভাই অথবা ভাগ্নে/ভাতিজা হয় তবু?” তখন নবীজী (স) বললেন, “শ্বশুরবাড়ির সকল অমাহরাম মেয়েটির জন্য মৃত্যুর মত বিপজ্জনক”। এই হাদীসটির ব্যাপারে ইমাম আন-নববী (র) বলেছেন, “আল লায়ত ইবন সা’দের মতে, এখানে স্বামীর ভাই, চাচাত-মামাত ভাই, চাচা-মামা এবং অন্য সকল যারা মাহরাম নয় তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। এইজন্য এদের সকলের ক্ষেত্রে হিজাব প্রযোজ্য হবে, অবশ্য স্বামীর বাবা, দাদা, কিংবা সন্তান-সন্ততিদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে না।”

এবারে অন্য একটি প্রসঙ্গে আসা যাক। ইসলাম অনুযায়ী শ্বশুরবাড়ির কেউ জোর করে বউকে রান্নাবান্না বা ঘরের অন্যান্য কাজ করাতে বাধ্য করতে পারবে না। এই বিষয়ে কোনরকম প্রত্যাশা এবং দাবি রাখা যাবে না। একজন নারী কেবল স্বেচ্ছায় দয়ার্দ্র মনে এই কাজগুলো চাইলে করতে পারে। একইভাবে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে শ্বশুরবাড়ির কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এতে সুবিধা হবার বদলে বরং দ্বন্দ্ব-কলহ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।

একজন নারীর তার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাবার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে অনুমতি নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই, স্বামীর সম্মতিই এক্ষেত্রে যথেষ্ট। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কোন বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করার কোন অধিকারও তাদের নেই। একজন পুরুষকে অবশ্যই তার পিতামাতার প্রতি অনুগত হতে হবে এবং এই ব্যাপারে স্ত্রী তাকে সর্বদা সহায়তা করবে। এটা অনস্বীকার্য যে শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নমনীয় হওয়া উচিত।

সামাজিক প্রথা নয়, বরং শরীয়াতের এই নিয়মগুলো মেনে শ্বশুরবাড়িতে থাকার মত ব্যবস্থা করা হলে একসাথে থাকার মাঝে কোন ক্ষতি নেই। আর যদি আলাদাও থাকা হয়, সেক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়িতে মাঝে মাঝে বেড়াতে যাওয়া ও খোঁজখবর নিতে হবে।

শেষ করার আগে, জীবনে সম্পর্কগুলোকে সংজ্ঞায়িত করার ব্যাপারে শরীয়াতকে অনুসরণ করে চলা উচিত। এর অন্যথা হলে, শুরু থেকেই সংসারে খিটিমিটি লেগে থাকবে আর বিচার দিবসেও আল্লাহর প্রশ্ন থেকে কেউ উদ্ধার করতে পারবে না। একজন নারীকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের প্রতি ধৈর্য ও নমনীয়তা দেখাতে হবে, ঠিক যেমনটা সে নিজে আশা করে তাদের কাছে। কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে আমি সবসময় একটা কথাই বলি, যদি আপনার ছেলেকে বিয়ে দিচ্ছেন তো মনে করবেন আল্লাহ আপনাকে একটি কন্যা উপহার দিচ্ছেন। আর যদি মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন তো আল্লাহ আপনা্র পরিবারে একটি পুত্র উপহার দিচ্ছেন।

আল্লাহ আমাদের একে অপরের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সাহায্য করুন।

সূত্রসমূহ

http://icnaconvention.org/sheikh-abdool-rehman-khan/

http://messageinternational.org/wife-responsibilities-with-in-laws/

নিজে জানি এবং অপরকে জানাই শেয়ার করে...

এখান থেকে নেওয়া

http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6948/world/27937#.U3qomBVutzQ

বিষয়: বিবিধ

৭৩২৭ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

237311
২১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:১৭
বেদনা মধুর লিখেছেন : শাশুড়ীরাই বউকে বেশি জ্বলাতন করে। এখানে এক নারী আরেক নারীকে জ্বলাচ্ছে।
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ০৭:৩২
184335
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : এমন করার সুযোগ কি ইসলামে আছে?
237314
২১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
হতভাগা লিখেছেন : ''একজন নারী কেবল স্বেচ্ছায় দয়ার্দ্র মনে এই কাজগুলো চাইলে করতে পারে।''

০ হুমম , স্বামীরও উচিত কখনও তার সামর্থ্যের বাইরে না গিয়ে স্ত্রীর ভরন পোষন করা । স্ত্রীরও এমন কোন চাওয়া উচিত নয় যাতে স্বামীর উপর অর্থনৈতিক চাপ আসে । স্বামী যা খাবে এবং যা পড়বে তাকেও ঠিক সেরকম ভাবেই চলা উচিত।
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ০৭:৩০
184334
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : এই লেখাটা বউ শ্বাশুড়িকে নিয়ে তাই এই ব্যাপারে কিছু বল্লে ভালো হতো
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
184396
হতভাগা লিখেছেন : শাশুড়ি কার সূত্রে ?

মা বড় না বউ বড় আপনার কাছে ?

এই করানো যাবে না , সেই করানো যাবে না , করলে সেটা হবে তার দয়া - মানে বউ তো না যেন মহারানী ভিক্টোরিয়াকে এনেছে সংসারে !

যে স্বামী তার জন্য সারাজীবনের ভরনপোষন করবে তার সংসারে এসে স্ত্রী তাহলে কি করবে ?

শাশুড়ির জন্য তার কিছু করা অপশলান থাকলে বা ঐচ্ছিক হলে বা সেটা তার দয়া বলে বিবেচিত হলে - তাহলে সেই স্বামীরও তো তার শশুড় বাড়ির প্রতি একই রকম ঐচ্ছিক/দয়ামূলক হবে যদি তাদের কোন কাজে আসে ।

এরকম মনোভাব থাকলে সেটা সংসারের জন্য কনস্ট্রাকটিভ হবে না , হবে ডেস্ট্রাকটিভ।

বিয়ে একজন ছেলে মেয়ের মধ্যেই কেবল হয় না । হয় দুটো পরিবারের মধ্যে । তাই পারষ্পরিক সহযোগিতা ,সহমর্মিতা শুধু নিজেদের মধ্যেই না , একের অন্যের আপনজনের প্রতিও থাকা উচিত ।

নিজের প্রতি অসদ আচরনের চেয়ে বাবা মা ভাই বোনের প্রতি দূর্ব্যবহার বা উদাসীনমূলক ব্যবহার স্বামী- স্ত্রী উভয়কেই বেশী আঘাত করে । তার Spouse তার সাথে সাথে তার বাবা মা ও আপন জনের প্রতিও ব্যবহার করবে এটাই সে আশা করে ।

একজন স্বামী যে তার স্ত্রীর সারাজীবনের ভরনপোষন নিয়ে নিল সে তার স্ত্রীর কাছ থেকে কি পায় শুধু সেক্স ছাড়া । সেটাও নির্ভর করে তার মেজাজ মর্জির ওপর।

স্বামীর সাথে তার বাবা মা ভাই বোন থাকতে পারে । একসাথে থাকলে ঝগড়া লাগবেই । যারা এটা খুব সুন্দরভাবে ম্যানেজ করে নিতে পারে তারাই সাকসেসফুল হয় ।

এখন বৌ যদি ভাবে ,'' আমি তো তোমাকে বিয়ে করেছি, অন্যদেরকে তো না !ওদেরকে কেন আমার সমঝে চলতে হবে , খেদমত করতে হবে ?

এধরনের মন মানসিকতা একটা সংসার সুন্দরভাবে চালানোর পরিপন্থী । বউয়ের এই আচরনের অনুরুপ যদি স্বামী করে তাহলে বউয়ের কি সেটা ভাল লাগবে ? '' তোমার তো আরও বোন জামাই আছে , শুধু আমাকেই টানে কেন?''


সূরা নিসা এর ৩৪ নং আয়াত দেখুন




http://www.qurantoday.com/4Nisa_Bangla.pdf

এখানে অনুগত হবার ব্যাপকতা অনেক গভীরে যেমন ব্যাপকতা একজন স্বামীর তার স্ত্রীর ভরনপোষনের।

ব্যাপারগুলো খুবই ক্লিয়ার কাট । যেসব ব্যাপারে হাদিসে কিছু কনফিউশন থাকবে ( কারণ জাল হাদিসও আছে ) সেখানে ক্বুরআনই হচ্ছে সবচেয়ে ভাল রেফারেন্স।

এই ব্লগে বেশ অনেক নারীবাদী পুরুষ ব্লগার আছেন যারা অত্যাশ্বচর্যজনক ভাবে নারীদের সমর্থন করে সেটা বেশরিয়তি জিনিস হলেও ।

হয় তারা প্রেমিকার মন পেতে বা ধরে রাখতে এসব ফরমায়েশী পোস্ট বা কমেন্ট করে অথবা তারা এতটাই স্ত্রৈন বা Henpeacked যে বউ যা বলে তাই মনে প্রানে বিশ্বাস করে .

বউয়ের প্রতি এতটা অনুগত থাকার ফল - বাবা মায়ের বৃদ্ধাশ্রম গমন ।

অথচ শরিয়ত মোতাবেক বউয়েরই উচিত ছিল তার অনুগত থাকা ।

এসব ছেলেদের প্রশ্ন করা উচিত - মা বাবা আগে না বউ আগে ?

আর এসব বউদেরও প্রশ্ন করা উচিত- আজ যে তুমি তোমার শশুড় বাড়ির সাথে এরকম মহারানী ভিক্টোরিয়া টাইপ মনোভাব দেখাচ্ছ , সেটা যদি তোমার ভাবী তোমার বাবা মার প্রতি দেখায় সেটা কি ভাল লাগবে ?
২৬ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:০৬
185483
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেব ইনশাআল্লাহ।একটু সময় লাগবে
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:১১
188842
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : আপনি বেশ কিছু কথা বল্লেন যার কোন মানেই হয়না। আপনি ব্যাপক রেগে গেছেন দেখছি আমার উপরে। অথচ আমার চেষ্টা হল সত্যটা যানা।
যেমন এখানে বলা হয়েছে কোথাও যেতে গেলে শামীর অনুমিত যথেষ্ট আর কারো অনুমিত না নিলেও চলবে বা গোনাহ হবেনা। অথচ খোদ আমাদের পরিবারেই যদি আমার স্ত্রী মাকে বলে সে বাপের বাড়ি যাবে সকালে গিয়ে বিকালে আসবে আমার মা কোন কারন ছাড়াই বলে দেবে এখন যাওয়া যাবেনা। এখানে কিকরা উচিৎ মায়েদের? সে আমার সাথে যাবে এবং আমার সাথেই আসবে মায়ের আপত্তি করার কোন প্রশ্নই ওঠেনা কিন্তু তারা মনে করে তাদের অনুমতি ছাড়া কিছু করা যাবেনা। এখানে তাদের অনুমতি নেয়া ভাল কিন্তু না নিলে কোন গোনাহ নেই। তাদের সত্যটা যানা উচিৎ তাদের অধিকার কতটুকু। আর আমরা যদি জেনে কথাটা না বলি তাহলে তো আমার ছেলে বিয়ে করলে
আমার স্ত্রী ও তার অনুমতি ছাড়া তাদের কিছু করতে দেবে না আর তার স্ত্রী ভাববে আমি এবাড়ির
সকলের চাকর এখানে বলা হয়েছে একজন স্ত্রী শশুর বাড়ির চাকর না।
তার কিছু অধিকার আছে। আপনি অনেক মন গড়া কথা বলেছেন। আপনাকে বলছি আপনি যদি কিছু ভুল ধরিতে চান তাহলে অবশ্যই কোর আন হাদিস দিয়ে কথা বলতে হবে। অন্যথাই তা গ্রহন যোগ্য হবেনা ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
188858
হতভাগা লিখেছেন : ''অথচ খোদ আমাদের পরিবারেই যদি আমার স্ত্রী মাকে বলে সে বাপের বাড়ি যাবে সকালে গিয়ে বিকালে আসবে আমার মা কোন কারন ছাড়াই বলে দেবে এখন যাওয়া যাবেনা। ''

০ আপনার অনুমতি না নেবার আগেই/না নিয়েই যদি সে আপনার মায়ের কাছে অনুমতি নিতে চায় , তাহলে মা হিসেবে উনি ছেলের অনুমোদন পাবার আগেই হ্যাঁ বলতে পারেন না ।
মা অবশ্যই তার ছেলের ভাল মন্দের দেখভাল করার অধিকার রাখেন , বিয়ের পরেও । ছেলেকে না বলে বউ যদি তাকে বলে বাইরে গিয়ে অনাচার করে এবং এর ফলে সংসারে ক্যাচাল লাগে তাহলে মা হয়ে উনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না এবং আপনিও এজন্য মাকেই দুষবেন ।

''আপনাকে বলছি আপনি যদি কিছু ভুল ধরিতে চান তাহলে অবশ্যই কোর আন হাদিস দিয়ে কথা বলতে হবে। অন্যথাই তা গ্রহন যোগ্য হবেনা ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।''

০ আমি ক্বুরআনের রেফারেন্স দিয়েছি , আয়াতের স্ক্রিন শট ও লিংকসহ।

সত্য কথা সবারই যে ভাল লাগবে তা না । আর ক্বুরআনের আয়াত যে কারও কারও অপছন্দ হবে না ( না হলেও মানতে হবে) সেটারও কোন কারণ নেই ।

যদি তাই হত তাহলে সম্পত্তিতে সমান অংশের জন্য আপনারা , নারীবাদীরা আন্দোলন করতেন না । স্বামী ২য় বিয়ে করতে গেলে স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া লাগবে - সেই আইন করতেন না ।

সূরা নিসা এর ৩৪ নং আয়াতটি মন দিয়ে ভাল করে পড়ুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন - একজন স্ত্রীর কি দায়িত্ব তার স্বামীর প্রতি যে কি না তার জন্য ব্যয় করে ।
২৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
192446
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : " মা হিসেবে
উনি ছেলের অনুমোদন
পাবার আগেই
হ্যাঁ বলতে পারেন না ।"
আপনিকি মন্তব্য না পড়েই উত্তর দ্যান। আমি বলেছি " সে আমার
সাথে যাবে এবং
আমার সাথেই
আসবে মায়ের
আপত্তি করার কোন
প্রশ্নই ওঠেনা " আমার অনুমতি না থাকলে আমার সাথে যায় কিভাবে।
এটাই তো সমস্যা আমাদের এখানে অধিকাংশ মায়েরা মনে করে তাদের অনুমতি ছাড়া কোথাও যাওয়া যাবেনা। কিছু করা যাবেনা এমন কি ছেলের অনুমতি থাকা সত্তেও। আর আমি জানতে চেয়েছি ইসলাম কি বলে? উত্তরে যেটা পেলাম শ্বশুর শ্বাশুড়ি ননদ দেবর এদের অনুমতি নেয়া দোষের কিছুনা কিন্তু নানিলে পাপেরও কিছুনা। শ্বামীর অনুমতিই যথেষ্ঠ।
" সত্য কথা সবারই
যে ভাল
লাগবে তা না । আর
ক্বুরআনের আয়াত
যে কারও কারও অপছন্দ
হবে না ( না হলেও
মানতে হবে) সেটারও
কোন কারণ নেই ।"(নাউজুবিল্লাহ)
দেখেন আপনার খোচা মারা কথা। কোর আনের কোন আয়াতটা আমার পছন্দ হয়নি আর মুছলিম হিসাবে আপনার কি এমন কথা বলা উচিৎ।
আপোনার কোন সত্য কথা আমার খারাপ লেগেছে।

" যদি তাই হত
তাহলে সম্পত্তিতে
সমান অংশের জন্য
আপনারা ,
নারীবাদীরা
আন্দোলন করতেন না ।
স্বামী ২য়
বিয়ে করতে গেলে
স্ত্রীর
অনুমতি নেওয়া লাগবে
- সেই আইন করতেন না ।"
আপনি তো দোষের পর দোষ আমাকে দিয়েই যাচ্ছেন। আমি আল্লাহ কে ভয় করি নারীদের সেই অধিকার আমি অবস্যই দেব যে অধিকার সয়ং আল্লাহ তাদের দিয়েছে। সম্পত্তিতে
সমান অংশ
স্বামী ২য়
বিয়ে করতে গেলে
স্ত্রীর
অনুমতি নেওয়া লাগবে
এ আইন যারা করেছে এবং যারা আন্দলন করেছে তাদের সবাইকে আল্লাহর কাঠ গড়াই দাড়াতে হবে।


২৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
192452
হতভাগা লিখেছেন : আপনার মাকে যদি জিজ্ঞেস করে তাহলে আপনার মায়ই তাকে বলবে , ''মাছুমের পারমিশন নিয়েছো তো ? ''

ছেলের ব্যাপার মায়েরই বেশী কনশাসনেস থাকে বলে মায়ই তার ছেলের বউকে জিজ্ঞেস করবে ।

আপনার সাথে যদি সকালে গিয়ে বিকেলে চলে আসে তাহলে মায়ের না করার প্রশ্নই আসে না । দেখেন লাল আন্ডার লাইন করা লাইনটাতে , এখানে সে কি বলেছে , মা আপনার ছেলের সাথে বাবার বাড়ি যাব , বিকেলেই ফিরে আসবো ''? আপনি পরে মা নাই ই করবে বলার পর বলেছেন আমার সাথে যাবে , আসবে । আগে বলেন নি ।




**************************************************************

আমি তো রেফারেন্স (ক্বুরআনের)দিয়েই কথা বলেছি , সাথে স্ক্রিন শটও । তারপরেও আপনি যখন বললেন যে ,

''আপনাকে বলছি আপনি যদি কিছু ভুল ধরিতে চান তাহলে অবশ্যই কোরআন হাদিস দিয়ে কথা বলতে হবে। অন্যথাই তা গ্রহন যোগ্য হবেনা''

তাহলে আমার কি এটা মনে করা ভুল হয়েছে যে আপনি উপরোক্ত আয়াতটিকে মানছেন না ।

''এ আইন যারা করেছে এবং যারা আন্দলন করেছে তাদের সবাইকে আল্লাহর কাঠ গড়াই দাড়াতে হবে।''

০ যারা করেছে আর যারা আন্দোলন করছে ? ব্যাস ? আর যারা এর সুফল ভোগ করছে ? তাদের ব্যাপারে টেকনিক্যালি এড়িয়ে গেলেন ।

আর স্বামীর অনুমতিই যথেষ্ট যে বললেন এ ব্যাপারে দ্বিমত নেই । তবে এ ব্যাপারে আবারও ২য় কমেন্ট টা পড়তে বলবো ।
ছেলের মায়ের অবশ্যই এবং অবশ্যই এ ব্যাপারে কনশাস থাকা উচিত তার ছেলের স্বার্থেই । আপনার বাবা কি আপনাকে টিচারের কাছে পড়তে পাঠিয়েই নিশ্চিন্ত থাকবে ? আপনি কি করছেন বা আপনার টিচার আপনাকে ঠিকঠাক পড়াচ্ছে কি না তার খেয়াল রাখার অধিকার বাবা হিসেবে কি উনার নেই ?

আমি শিউর আপনি এখনও বিয়ে করেন নি বা করলেও বউয়ের আচলে থাকেন সবসময় ।

বাস্তবতা থিওরী অনুযায়ী চলে না । কঠিন বাস্তবতাকে মনে হয় এখনও ফেস করেন নি বা এড়িয়ে চলছেন ।

মন মানসিকতা যদি এরকম হয় সহজেই সবাই আপনাকে নিয়ে মজা করবে।

নিজের ওজন বজায় রাখার যোগ্যতা অর্জন করুন।
০৩ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
194653
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : আমি মোবাইল ব্যাবহার করিতো তাই উত্তরদিতে দেরি হয়।
০৭ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৬
216281
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : আপনি আমাকে কিছু উপদেশ দিলেন কিন্তু আফসোষ এগুলো আমার কোন উপকারে আসবেনা । সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে আমি গোপন কিছু পেলাম না ।অনলাইনে আছে আপনিও পড়ুন আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলীর তফসির
http://www.quranandtafsir.com/sura/4-nisa?start=4
তাহফিমুল কুরআন
http://www.islam.net.bd/index.php?option=com_tov&task=showSurah&surahId=4&loadAll;=&Itemid=54
সেখানে শ্বশুর শ্বাশুড়ির সেবা বিষয়ে কিছুই নেই । আমি আপনাকে ছোট ছোট কিছু প্রশ্ন করি ।
শ্বশুর শ্বাশুড়ির সেবা করাকি ফরজ?
তাদের রান্না করার দায়িত্ত কার?
তাদের কাপড় কাচার দায়িত্ত কার?
আপনি বাজে কথা বলবেন না । এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কোরআন অথবা হাদিস থেকে দেন । উপরে যে কাজ গুলোর কথা বল্লাম কোন স্ত্রী হয়ত করতে অমত করবে না কিন্তু আমাদের সমাজে এগুলো করাকে একান্ত দায়িত্ত মনে করা হয় । এবং কোন ভুল ত্রুটি হলে মানসিক ভাবে এমন কি শারিরিক ভাবেও অনেক অত্যাচার সয্য করতে হয় । চিন্তা করেন এ দায়িত্ত গুলো তাদের না । সমাজে নারিদের যারা দাসি বানিয়ে রাখতে চাই যারা জুলুম করে আর যারা জুলুমকে প্রশ্রয় দেয় কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন কোনটা ঠিক আর বেঠিক । আমি শুধু সত্যটা জানার এবং জানানোর চেষ্টা করছি । একজন আলেমের মূখ থেকে শুনুন তিনি কি বলেন এ বিষয়ে মতিউর রহমান
36_Porokaler_Stthor_1h24minut.mp3
http://www46.zippyshare.com/v/57720950/file.html
237332
২১ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪৫
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : সুন্দর, ভালো লাগলো পড়ে।
২২ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
183963
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : পড়ার জন্য ধন্যবাদ
237340
২১ জুন ২০১৪ রাত ১১:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : নারী সংক্রান্ত পোষ্ট এ মন্তব্য থেকে বিরত আছি।
২২ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
183962
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : বিরত থাকলে চলবেনা ভাল মন্দ কিছু তো বলতে হবে
237370
২২ জুন ২০১৪ রাত ০১:৩৮
লেখার আকাশ লিখেছেন : ইমাম ইবনে হাজম বলেছেন, ঘরের কাজ মুলত স্ত্রীর কর্তব্য নয়। কিন্ত 'মুলত কর্তব্য না' হলেও অনেক সময় তা না করে উপায় থাকে না। রাসুল (সাঃ) এর পরিবারের দিকে দেখলেই বুঝা যায় তারা কিভাবে পারিবারিক সবকাজ নিজ হাতে করতেন। তবে কোন ব্যপারেই বাড়াবাড়ি ঠিক না। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সহযোগি হওয়া কাম্য, প্রতিযোগি নয়।
২২ জুন ২০১৪ রাত ০২:১৭
183880
ভিশু লিখেছেন : চমৎকার কথা!
Happy Good Luck
২২ জুন ২০১৪ সকাল ০৯:৪৫
183961
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : শাশুড়ির সেবা কে করবে? তার ছেলে না বউ। তার জন্য কাপড় কাচা রান্না করা এই কাজ গুলো কি বউ এর দায়িত্ব? বউকে কি বাধ্যকরতে পারি কাজ গুলো করার জন্য? আশা করি জানাবেন
243153
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আশার বিষয় হচ্ছে-যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। বউ শ্বাশুড়ির সমস্যাটিও ধীরে ধীরে কমছে। আমাদের সচেতনতা জরুরী।
246681
২১ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:২০
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : স্পষ্ট করে বলার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File