নামাজ তরক কারীর ব্যপারে ফতোয়া- (কিছুটা সমস্যাগ্রস্হ ও বিভ্রান্ত।)
লিখেছেন লিখেছেন মোঃমাছুম বিল্লাহ ১৫ আগস্ট, ২০১৩, ১১:১০:০৭ সকাল
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
গত কয়েক দিন আগে ইসলাম হাউজ.কম নামের একটি সাইট থেকে নামাজ তরক কারীর ব্যপারে আমাদের কি করণীয় এবং এ ব্যপারে একটা ফতোয়া ডাউনলোড করেছিলাম। তাতেযে ফতোয়া দেয়া হয়েছিলো তা পালন করতে গেলে বাংলাদেশে আমাদের মতো মুসলমানদের কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। কেন হয় তা নিচের ফতোয়াটি পড়লেই জানতে পারবেন।এ ব্যপারে যাদের জানা আছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের করনীয় কি তার ফতোয়া যদি সংগ্রহ করে দিতেন তাহলে ভালো হয়।
ইসলাম হাউজ.কমে এই ফতোয়াটি নিম্নরূপ ভাবে দেয়া হয়েছিলোঃ
প্রশ্ন : ১
আমার বড় ভাই তিনি সালাত পড়েন না, এ কারণে আমি কি তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখব, না সম্পর্ক ছিন্ন করবো? প্রকাশ থাকে যে, তি আমারসৎ ভাই।
উত্তর : ১
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে সালাত পরিত্যাগ করে, যদি সে সালাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে, তবে ওলামাদের – দুটি মতের সবচেয়ে সহীহ মত অনুসারে সে বড় কুফরী করবে। আর যদি সালাত ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারকারী-অবিশ্বাসী হয়, তা হলে ওলামাদের সর্বসম্মত মতে সে কাফের হয়ে যারে। এ সম্পর্কে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদ হলোঃ
“কর্মের মুল হলো ইসলাম, তার স্তম্ভ হলো সালাত এবং তার সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ বা সংগ্রাম করা।”[হাদীসটি ইমাম আহমদ, তীরমিযি ও ইবনে মাযা সহীহ সুত্রে বর্ণনা করেছেন।]
এছাড়া নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আরও এরশাদ হলোঃ
“ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফুরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ছেড়ে দেয়া।”[মুসলিম]
এছাড়া আরও কিছু হাদীসের উদৃতি দেয়া হয়েছে। মুল ফতোয়াটি হলোঃ
“সালাত ত্যাগ করা কুফরী এর কারন হলো যে, যে ব্যক্তি সালাত ওয়াজিব হওয়া অস্বীকার করে সে আল্লাহ এবং তার রাসুল, আহলে ইলম ও ইমান এর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মিথ্যা প্রতিপন্নকারী। যে ব্যক্তি অলসতা করে সালাত ছেড়ে দিল তার থেকে উক্ত ব্যক্তির কুফরী খুবই মারাত্মক।উভয় অবস্হাতেই মুসলিম শাসকগণের প্রতি অপরিহার্য হলো যে তারা সালাত ত্যাগ কারীদেরকে তাওবাকরার নির্দেশ দিবে, যদি তওবাহ না করে, তা হলে এ বিষয়ে বর্ণিত দলিলের ভিত্তিতে তাদেরহত্যার নির্দেশদিবে। অতএব সালাত ত্যাগকারীকে বর্জন করা এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা ওয়াজিব। এবং সালাত ত্যাগ করা থেকে আল্লাহর কাছে তওবাহ না করা পর্যন্ত তার দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে না। সাথে সাথে নাকে ন্যায়ের পথে আহবান ও নসিহত প্রদান করা ওয়াজিব এবং দুনিয়া ও আখেরাতে সালাত ত্যাগ করার কারণে যে শাস্তি তার প্রতি নির্ধারিত আছে তা থেকে সাবধান করতে হবে। এর ফলে হয়তো বা সে তাওবা কারতে পারে এবং আল্লাহ পাক তার তওবাহ কবুলও করতে পারেন।”
প্রশ্ন ২:
কোন ব্যক্তি যদি তার পরিবার-পরিজনকে সালাত পড়ার জন্য নির্দেশ দেয়, কিন্তু তারা তার নির্দেশের প্রতি যদি গুরুত্ব না দেয়, তা হলে সে তার পরিজনের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করবে? সে কি তাদের সাথে [এক সাথে] বসবাস এবং মিলে মিশে থাকবে, না কি সে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাবে?
উত্তর ২:
এ সমস্ত পরিবার যদি একেবারেই সালাত না পড়ে, তাহলে তারা অবশ্যই কাফের, মুরতাদ (স্বধর্মত্যাগী) ও ইসলাম থেকে খারিজ-বহির্ভুতহয়ে যাবে এবং ব্যক্তির জন্য তাদের সাথে একই সংগে অবস্হান এবং বসবাস করা জায়েয নয়। তবে তাদেরকে [সংশোধনের জন্য]দাওয়াত বা আহবান করা তার প্রতি ওয়াজিব। বিনয় এবং প্রয়োজনে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে বারবার সালাত পড়ার জন্য আহবান করতে হবে। এর ফলে আল্লাহ পাক তাদেরকে হিদায়াত দান করতে পারেন, কারন সালাত ত্যাগ কারী কাফের। আল্লাহ পাক [এ থেকে ] রক্ষা করুন।
[ এছাড়াও কিছু কোরান হাদীসের দলিল পেশ করা হয়েছে এবং তাদের জানাযা না দেয়া, কাফনের কাপড় না পরানো, কবর না দিয়ে মাটি চাপাদেয়া ইত্যাদি বিধানের কথা বলা হয়েছে কিন্তু অনেক বড় হওয়ার কারনে তা দেয়া হলো না। কেউ চাইলে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
http://IslamHouse.com/171296]
বর্তমানে আমাদের দেশে সবমিলিয়ে ৫% লোক নামাজ পড়ে কিনা সন্দেহ আছে। উপরোক্ত ফতোয়া আমাদের দেশে যদি পালন করতে যাই তাহলে দেশে প্রচুর পরিমান বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে। যেমন ভাই, বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, কেননা তাদের অধিকাংশই নামাজ পড়েনা অথবা পড়লেও শুধু জুমার নামাজ। যার ফলশ্রুতিতে নামাজি এবং বেনামাজি এর মধ্যে দলাদলি শুরু হয়ে যাবে। আরেকটি বিষয় হলো উপরোক্ত ফতোয়া কি শুধু ইসলামিক রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য? নাকি বাংলাদেশেও?
বর্তমানে বাংলাদেশে বেনামাজিদের সংখ্যা যেহেতু বেশী তাই আমরা যারা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি তারা তাদের বেনামাজী আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কি ব্যবহার করবে অথবা কতটুকু দুরত্ব বজায় রাখবে এ ব্যপারে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে একটি পোষ্ট বা কমেন্ট আশা করছি।
(সালাত ত্যাগ কারীর বিধান।
http://IslamHouse.com/171296)
যদিও মূল লেখাটা আমার না। তবে প্রশ্নগুলো আমার মনের।
(মূল লেখাটা এখানে
http://www.peaceinislam.com/reaz_webd/2608/)
বিষয়: বিবিধ
২০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন