চাদ দেখা রোজা রাখা নিয়ে মতভেদ ? এইটা পড়ুন
লিখেছেন লিখেছেন মোঃমাছুম বিল্লাহ ১৬ জুলাই, ২০১৩, ১০:৪০:১১ রাত
নিজ দেশের লোকদের সাথে রোযা রাখবে, না চাঁদ দেখা যে কোনো দেশের সাথে?
শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ
প্রশ্ন :যদি কোনো ইসলামি রাষ্ট্রে চাঁদ দেখা যায়, আর আমি যে দেশে বসবাস করি, সেখানে শাবান ও রমজান মাস ত্রিশ দিনে পুরো করা হয়, তাহলে আমি কী করব? রমজান প্রসঙ্গে মানুষের মতপার্থক্যের কারণ কী?
জবাব :আলহামদুলিল্লাহ, আপনার জন্য রোযা আপনার দেশের লোকদের সাথে থাকাই আবশ্যক। তারা যদি রোযা রাখে তাদের সাথে রোযা রাখবেন; আর তারা যদি রোযা না রাখে তবে আপনিও তাদের সাথে রোযা রাখবেন না। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
»الصَّوْمُ يَوْمَ تَصُومُونَ، وَالفِطْرُيَوْمَ تُفْطِرُونَ، وَالأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ«
‘‘তোমরা যেদিন রোযা রাখবে সেদিনই রোযা, যেদিন ইফতার করবে সেদিনই ইফতার, আর তোমরা যেদিন কোরবানি করবে সেদিনই কোরবানি।’’ [তিরমিযী : ৬৯৭]
দ্বিতীয়ত. ইখতিলাফ ভাল জিনিস নয়, তাই আপনার দেশের সাথে থাকাই আপনার জন্য জরুরি ও সঙ্গত। আপনার দেশের মুসলিমগণ যখন রোযা করবেন না, আপনি তাদের সাথে রোযা না করবেন। আর যখন তারা রোযা রাখবে আপনি তাদের সাথে রোযা রাখবেন।
আর মত পার্থক্যের কারণ হচ্ছে, কেউ চাঁদ দেখে, কেউ চাঁদ দেখে না। অতপর যারা চাঁদ দেখে, অন্যরা তাদের উপর ভরসা করে, তাদেরকে বিশ্বাস এবং তাদের দেখা অনুযায়ী আমল করে। আবার কখনো তাদের বিশ্বাস কিংবা তাদের দেখা অনুযায়ী আমল করা হয় না, ফলেইখতিলাফ সংঘটিত হয়। কোনো দেশ চাঁদ দেখে এবং চাঁদ দেখার ফয়সালা দেয়, ফলে দেশবাসী রোযা রাখে অথবা ইফতার করে। আর অন্য দেশ এ দেখার উপর ভরসা কিংবা বিশ্বাস করে না- ভৌগলিক কিংবা রাজনৈতিক ইত্যাদি কারণে।
সকল মুসলিমের জন্য আবশ্যিক হল চাঁদ দেখেই রোযা রাখবে আবার চাঁদ দেখে রোযা ভাঙ্গবে করবে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস ব্যাপক :
»إِذَا رَأَيْتُمُالْهِلَالَفَصُومُوا، وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْفَصُومُواثَلَاثِينَ يَوْمًا«
‘‘যখন তোমরাচাঁদ দেখবে রোযা রাখবে, আবার যখন চাঁদ দেখবে ইফতার করবে। আর আকাশ যদি মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে সংখ্যা ত্রিশ দিন পূরণ করবে।’’ [মুসলিম : ১০৮১]
যদি সকলে চাঁদ দেখা বিশ্বাস করে এবং মনে করে যে,বাস্তবিকইতা দেখা গেছে, তবে সে হিসেবে রোযা রাখা ও ইফতার করা ওয়াজিব। হ্যাঁ, যদি বাস্তবতারব্যাপারে মত পার্থক্যের সৃষ্টি হয়, আর কেউকাউকে বিশ্বাস না করে, তখনআপনার জন্য সঙ্গত হবে আপনার দেশের মুসলমানদের সাথে রোযা রাখা এবং তাদের সাথে ইফতার করা। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
»الصَّوْمُ يَوْمَ تَصُومُونَ، وَالفِطْرُيَوْمَ تُفْطِرُونَ، وَالأَضْحَى يَوْمَ تُضَحُّونَ«
‘‘তোমরা যেদিন রোযা রাখবে সেদিনই রোযা, যেদিন ইফতার করবে সেদিনই ইফতার, আর তোমরা যেদিন কোরবানি করবে সেদিনই কোরবানি।’’ [তিরমিযী : ৬৯৭]
ইবনে আব্বাস -রাদিয়াল্লাহু আনহু- থেকেপ্রমাণিত, কুরাইব তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, শাম দেশের লোকেরা জুমুআর দিন রোযা রেখেছে। ইবনে আব্বাস বললেন : আমরা চাঁদ দেখেছি শনিবার। সুতরাং আমরা নতুন চাঁদ না দেখা পর্যন্ত অথবা ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত রোযা রেখে যাব। তিনি শামবাসীদের চাঁদ দেখার উপর আমল করেন নি, যেহেতু উভয় দেশের মাঝে দূরত্ব অনেক বেশী এবং উভয়ের উদয়স্থলওভিন্ন। তাঁর দৃষ্টিতে এটা ইজতেহাদেরবিষয়। ইবনে আব্বাস এবং তার অনুসরণ করে যারা বলেছেন, নিজ দেশের সাথে রোযা এবং নিজ দেশের সাথে ইফতার করার জন্য, তাদের মতই আমাদের জন্য অনুসরণীয়। (সহীহ সুনান নাসাঈ: ২১১০,)
[শায়খ আব্দুল আজীজ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ, মজমু ফাতওয়া ওয়ামাকালাত মুতানাওয়েয়াহ]
শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : ইকবাল হোছাইন মাছুম
আলী হাসান তৈয়ব
﴿ هل يصوم مع بلده أو مع أي بلد رأى الهلال؟ ﴾
» باللغة البنغالية «
الشيخ عبد العزيز بن عبد الله بن باز
সূত্র
@http://www.jamiyat.org.bd/archives/3543@
@http://IslamHouse.com/308022@
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন