খবরের পাতা থেকে

লিখেছেন লিখেছেন মোঃমাছুম বিল্লাহ ০৬ জুন, ২০১৩, ০৬:০৫:৫১ সন্ধ্যা

এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল

কালো মুখেই কালো ভ্রমর, কিসের রঙিন ফুল?

কাঁচা ধানের পাতার মত কচি-মুখের মায়া,

তার সাথে কে মাখিয়ে দেছে নবীন তৃণের ছায়া।

জালি লাউয়ের ডগার মত বাহু দুখান সরু।

গা-খানি তার শাঙন মাসের যেমন তমাল তরু।

বাদল-ধোয়া মেঘে কে গো মাখিয়ে দেছে তেল,

বিজলী মেয়ে পিছলে পড়ে ছড়িয়ে আলোর খেল।

কচি ধানের তুলতে চারা হয়ত কোনো চাষী

মুখে তাহার ছড়িয়ে গেছে কতকটা তার হাসি।

কালো চোখের তারা দিয়েই সকল ধরা দেখি,

কালো দতের কালি দিয়েই কেতাব কোরাণ লেখি।

জনম কালো, মরণ কালো, কালো ভূবনময় ;

চাষীদের ওই কালো ছেলে সব করেছে জয়।

সোনায় যে জন সোনা বানায়, কিসের গরব তার?

রঙ পেলে ভাই গড়তে পারি রামধণুকের হার।

সোনা নহে, পিতল নহে, নহে সোনার মুখ

কালো-বরণ চাষীর ছেলে জুড়ায় যেন বুক |

বিষয়: বিবিধ

১৯৩৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

272081
০৭ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : ইস্তিঞ্জা ও ঢিলা কুলুখের সুন্নতী তরীকাঃ
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4086/dolon/32852#.VDNvLF2t-o8
272464
০৯ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:২৫
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : পাকিস্তান জিন্দাবাদ বাংলার মাটি জিন্দাবাদ
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/7870/jiamirja09/34136
272465
০৯ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:৩০
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : ২
মুনিম সিদ্দিকী
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ন(UTC 6) Reply
পাকিস্তানীরা আমাদের বাংলা ভাষার টুঁটি চেপে ধরেনি। আসল ঘটনা বুঝতে হলে আমাদের একটু পিছয়ে যেতে হবে। ব্রিটিশ ভারতে বাংলা সহ সারা ভারতের শরীফ এবং খান্দানী মুসলিম পরিবারের মাতৃভাষা ছিলো উর্দু। সে সময়ে প্রতিটি খান্দানী পরিবারের শিশুদেরকে উর্দু ভাষায় শিক্ষা দেয়া হতো। এই উর্দু শিখার বিষয় শুধু খান্দানী বিষয় ছিলোনা এর মধ্যে ছিলো উর্দু ভাষায় লেখা বইয়ের পর্যাপ্ততা। বাংলায় তেমন ভালো ভালো বই ছিলোনা যা বাংগালি মুসলিমদের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া যেত। অন্যদিকে বাংলা ভাষায়ভ যে সব বই পাওয়া যেত সে বই গুলোতে হিন্দু ধর্মের দেব দেবতার কথা লিখা থাকতো যা শিশুদেরকে পৌত্তলিকতার প্রতি আকৃষ্ট করতে পারত। এই উভয় কারণে তখনকার বাঙ্গালী অর্থ সম্পন্ন
মুসলিমরা বাধ্য হয়ে শিশুদেরকে উর্দু ভাষায় শিক্ষা দিতেন। তাই উর্দুকে বাংগালী বিত্তবানরা বিজাতীয় ভাষা বলে মনে করতেন না বরং মুসলিমদের ভাষা বলেই গ্রহণ করতেন।
ব্রিটিশ ভারতে যারা ভারতীয় মুসলিম জাতিরভ স্বার্থ আদায়ের সংগ্রাম আন্দোলনে পুরো ভাগে ছিলেন তারা হচ্ছেন এই উর্দু ভাষী অভিজাত শ্রেণীর মানুষ। তখন সাধারণ বাংগালী মুসলিমরা এত গরীব ছিলো যে, তারা দিন একবেলা পেটের ভাত যোগাড় করতে অক্ষম ছিলো। রাজনীতি দল করতে হলে অর্থের দরকার হয়, সেই অর্থ আসতো অভিজাত মুসলিমদের কাছ থেকে যারা ছিলেন- জায়গীরদার, জমিদার, মিরাশদার, তরফদার, মজুমদার, তালুকদার ইত্যাদি শ্রেনীর লোক। তাদের আন্দোলন ব্রিটিশ আর হিন্দুদের বিরুদ্ধে হলেও তাতে তাদের শ্রেনী স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য ছিল। কোন মানুষই তাদের অর্থ বিত্ত এমন খাতে খাটাবেনা যাতে তার শ্রেণী স্বার্থের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এইসব শ্রেনী লোকদের এই সংগ্রাম আন্দোলনের পিছনেউ উদ্দেশ্য ছিলো হিন্দু আর ব্রিটিশদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে নিজেরা তাদের যায়গা দখল করে নেয়ার। এমনিতে মুসলিম শাসন চলে যাবার পর মুসলিমরা তাদের বিত্ত বৈভব সব হারিয়ে ফেলেছিলো,ব্রিটিশদের আমলে যারা কোন ভাবে তাদের ক্ষয়ুষ্ণু ঠিকিয়ে রেখেছিলো তারা সে টুকু হারাবার জন্য আন্দোলন সংগ্রামের পিছনে টাকা ঢালার প্রশ্ন উঠেনা।
তাই পাকিস্তান দাবী হাসিলের জন্য সাধারণ বাংগালী ভোটারদের ভোট গুরুত্ব পূর্ণ ছিলো কিন্তু এই ভোট সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায়ের জন্য ঐ শ্রেনীর মানুষের অর্থ বিত্ত শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়েছিলো।
পাকিস্তান হবার সাথে সাথে পাকিস্তান আন্দোলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষাকে উর্দু ভাষা করতে মরহুম জিন্নাহকে অনুরোধ করেছিল। জিন্নাহ বুঝেছিলেন স্থানীয় নেতারা তাদের জনগণের চাহিদা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন কাজেই নেতাদের দাবী তা এই অঞ্চলের দাবি থেকে ভিন্ন হবেনা। তাই তো সেদিন ঢাকায় এসে তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দুর ঘোষনা দিয়েছিলেন। এবং সে ঘোষণা কোন অবৈজ্ঞানিক ছিলোনা। একটি দেশে যদি বহু জাতীর ভাষ থাকে তখন রাষত্রের ঐক্যের জন্য একটি ভাষাকে আন্তজাতি ভাষা হিসাবে ব্যবহার করতে হয়। উর্দু ভাষা কোন জাতি গোষ্ঠির মাতৃভাষা ছিলোনা।পাকিস্তান আমলে কেউ বলেনি যে বাংলা ভাষায় শিক্ষা নেওয়া যাবেনা বা স্কুল কলেজে বাংলায় লেখাপড়া করা যাবেনা। তাই এই ভাষাকে আগ্রাসী ভাষা বলে অভিযোগ করার কোন যুক্তি ছিলোনা।
শুধু মাত্র মুসলিম ভ্রাতৃত্বের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য " তোমরা আমরা" দর্শন সৃষ্টি করা উদ্দেশ্যে বাংলা ভাষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন তখনকার কংগ্রেসের বাংলাদেশী সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র নাথ বাবু। সেই যে তিনি তিল পরিমাণ গুড় লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাংগালীর মানস পটে, সেই তিল থেকে তাল হয়ে যা হয়েছে তা আজ পরিষ্কার আমাদের সামনে।
অথচ আজ স্বাধীন বাংলাদেশে কোথা আছে বাংলা ভাষা? উর্দুর বদলে হিন্দী প্রবল বেগে ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের কিশোর কিশোরী যুবক যুবতির মন এবং মনন থেকে ভাষা আর কালচার । এখন আর কেউ এই বিষয় নিয়ে কেউ বুকের রক্ত দিয়ে ভাষা শহীদ হতে চান এমন কি ভাষা সৈনিকও হবার খায়েশ পোষণ করেননা।
http://www.shodalap.org/rasel-eusoofi/26889/

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File