আ’লীগ অফিসে ৪ ঘণ্টায় ৩০ দফা হামলার চেষ্টা

লিখেছেন লিখেছেন অআইঈ ০৫ মে, ২০১৩, ০৭:৫৫:৩০ সন্ধ্যা

আওয়ামী লীগ অফিসে দফায় দফায় হামলার চেষ্টা চালালো হেফাজত কর্মীরা। রোববার দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে পাচটা পর্যন্ত মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৩০ বার হামলার চেষ্টা চালায় তারা।

তবে দুপুরে আওয়ামী লীগ অফিসে হেফাজতের হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ গোটা গুলিস্তান।

তবে দুপুর দেড়টার দিকে হেফাজত কর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসের কাছ পর্যন্ত যেতে সক্ষম হলেও আর কোনবারই ওই পর্যন্ত ঘেঁষতে পারে নি।

তবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঘিরে মওলানা ভাসানি স্টেডিয়াম, বায়তুল মোকাররক দক্ষিণ গেট, জিরো পয়েন্ট আর গোলাপ শাহ’র মাজারের দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

এসব সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। কয়েকজন হেফাজত কর্মীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

এরই এক ফাঁকে বঙ্গববন্ধু এভিনিউতে পড়ে থাকা এক সাউন্ড গ্রেনেড ব্যাপক আতঙ্কের জন্ম দেয়।

দুপুর পর্যন্ত হেফাজত কর্মীরা সংখ্যা এগিয়ে থাকলেও দুপুরের পর আওয়ামী লীগের সহস্রাধিক কর্মী বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও এর আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেয়।

‌এর ফলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেলের অবিরাম বর্ষণ, আর গুলি-বোমার শব্দে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুলিস্তান এলাকা।

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধ‍ু এভিনিউ, মওলানা ভাসানি স্টেডিয়াম, গোলাপ শাহ মাজার আর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

দুপুর দেড়টার দিকে হেফাজতের একটি মিছিল আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার চেষ্টা চালায়

এরপর আওয়ামীলীগ কর্মীরা সংগঠিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগের পিটুনিতে অন্তত চার জন হেফাজত কর্মী গুরুতর আহত হন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে বেশ ক’জন হেফাজত কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে বেলা আড়াইটার পর ওসমানী উদ্যান, বায়তুল মোকাররম ও ভাসানি স্টেডিয়ামের দিক থেকে নতুন করে হামলা চালানো শুরু করে হেফাজত। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে হেফাজত কর্মীদের দূরে রাখার চেষ্টা চালায়।

বিষয়: রাজনীতি

১৩৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File