ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে পারে ৮টি মশলা !!!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ফজলে রাব্বী ১৩ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:২৭:২২ সকাল
উপরের শিরোনামটি পড়ে কি একটু হোঁচট খেলেন! ভাবছেন সারা পৃথিবীর তাবড় তাবড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, বৈজ্ঞানিকরা আজ পর্যন্ত যে রোগের চিকিত্সা খোঁজার জন্যে হিমশিম খাচ্ছেন, সেই কর্কট রোগের থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে রান্নায় ব্যবহৃত মশলা!
হোঁচট খাবেন না। একটু সবুর করুন। কথায় বলে না, সবুরে মেওয়া ফলে। পুরো প্রতিবেদনটা পড়ে ফেলুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন কেন এ কথা বলছি।
এই সব মশলাই মজুত রয়েছে আমাদের আটপৌরে রান্নাঘরে। এক কথায় সেই সব মশলা ম্যাজিক ড্রাগের মতোই কাজ করে। ভাবছেন তো কী এই সব মশলা যার কথা আপনি জানেন না! ঠিক আছে এবার সেই 'ম্যাজিক ড্রাগস্'-এর নামগুলো বলেই দিচ্ছি।
হলুদ: হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন নামটা। হলুদই কিন্তু সেই জাদু মশলা যা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে আপনার শরীরকে সাহায্য করে। এতে রয়েছে শক্তিশালী কারকিউমিন পলিফেনল। অনেকদিনের গবেষণার পর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে কারকিউমিন ক্যান্সার সেলের গ্রোথকে নিয়ন্ত্রণ করে। কারকিউমিন শরীরে অ্যাপপটোসিস তৈরি করে যা শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দেওয়া ক্ষতিকারক সেল মেরে ফেলতে সাহায্য করে। মেলানোমা, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ব্রেন টিউমার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে হলুদ।
মৌরি: খাওয়ার পরে মুখসুদ্ধি হিসেবে প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতেই মজুত থাকে মৌরি। কিন্তু ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধে এই মৌরিই যে এক শক্তিশালী যোদ্ধ তা কি জানতেন? মৌরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই উপকারী। মৌরিতে রয়েছে অ্যানেটহোল যা ক্যান্সার সেলের আক্রমণমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
জাফরান: জাফরানে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক এক কার্যকরি উপাদান, ক্রোসেটিন (প্রাকৃতিক ক্যারোটিনয়েড ডাইকার্বোক্সিলিক অ্যাসিড)। শুধুমাত্র যে ক্যান্সারের অগ্রসরণ রোধ করে তা নয়, ক্রোসেটিন ক্যান্সারাস টিউমারের আকার কমাতেও সাহায্য করে ম্যাজিকের মতোই।
জিরা: হ্যাঁ, এই খুদ্র মশলাটিও ক্যান্সারের মতো ক্ষতিকারক রোগের সঙ্গে লড়াইতে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিরেতে রয়েছে থাইমোকুইনান নামক এক যৌগ যা প্রস্টেট ক্যান্সারের জন্যে দায়ী সেলের শরীরে ছড়িয়ে পড়া আটকায়।
দারচিনি: সারা দিনে মাত্র এক চা-চামচ দারচিনিগুঁড়ো, আর ক্যান্সারের মারণ থাবা থেকে আপনি থাকতে পারবেন শত হাত দূরে। সকালের চায়েই হোক অথবা স্যালাডে সিজনিং হিসেবে, আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন আয়রন ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ দারচিনি।
অরিগ্যানো: এই যোদ্ধা আমাদের রোজকার রান্নায় ব্যহৃত না হলেও এখন যে কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পাওয়া যায়। অরিগ্যানোয় রয়েছে এন্টি-মাইক্রোবিয়াল কম্পাউন্ড। এতে মজুত ফাইটো কেমিক্যাল, কারসেটিন শরীরে ম্যালিগনেন্ট ক্যান্সার সেল তৈরি হওয়া রোধ করে।
নাগা মরিচ: শরীরে ক্যান্সার সেলের ছড়িয়ে পড়া রোধ তো করেই, তা ছাড়া, লিউকেমিয়ার টিউমার সেলের আকার কম করতেও সাহায্য করে নাগা মরিচ। তবে রান্নায় খুব বেশি পরিমাণে নাগা মরিচ না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত ঝাল হওয়ার ফলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে।
আদা: প্রতিদিনের রান্নায় কোনও না কোনও খাবারে আদা থাকবেই। কিন্তু জানেন কি শুধু খাবারে স্বাদ বাড়ানোর জন্যেই নয়, ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্যেও আদা সমান উপকারী? রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি মেটাবলিজিম বাড়ায় এবং ক্যান্সার সেল ধ্বংস করতেও সমান উপযোগী।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন