বুদ্ধিজীবি ও একজন ফরহাদ মাজহার

লিখেছেন লিখেছেন ক্ষ্যাপা পাগল ০৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৫৬:৩৫ দুপুর

“বুদ্ধিজীবিদের বুদ্ধি একটু বেশিই থাকে। কারন তারা তাদের বুদ্ধির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে”। আমার মনে হয় এই লেখা পড়ার পর অনেক বুদ্ধিজীবি তার জুতাটা কম্পউটারের মনিটরে ছোঁয়াবে আর আমার মুন্ডুপাত করবে। করুক আমি আমার মনের খোরাক মেটানোর জন্য লিখবো। শুনেছি মনের মধ্যে কথা চেপে রাখলে বদ হজম হয়। আমি গরিব মানুষ, বদ হজম হলে ডাক্তার দেখানোর পয়সা নাই।

এদেশের বুদ্ধিজীবিদের মাঝে বর্তমানে একটি আলোচিত নাম ফরহাদ মাজহার। সেইরকম নামি বেক্তি। তিনি আবার নাকি নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহবায়ক। নাকি বললাম এই কারণে আমিতো প্রতিনিয়ত আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। কখনো তো তাকে দিখিনাই। এই শহরে শতকরা 99 জন নগরিক কোন না কোন ভাবে অধিকার বঞ্চিত। উনি কতজনের অধিকার রক্ষা করেছেন তা ওনার কাগজে কলমে কিছু ডাটা থাকতে পারে বাস্তবে 0। ওনাকে কে বানিয়েছে নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহবায়ক? উত্তর আমিই দিচ্ছি। কিছু বুদ্ধিজীবি আছে যারা ওনার থেকেও বেশি বুদ্ধি রাখে। তারা ওনার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার জন্য ওনাকে এই পদ দিয়েছে। নাকি মিছা কইলাম?

উনি নাগরিক রক্ষা কমিটির আহবায়ক কিন্তু উনি বিরোধী দলের হরতালের পক্ষে। জনাব, হরতালে যে নাগরিকের সমস্যা হয় আপনি কি বুঝতে পারেন না। এই টুকু বোঝার ক্ষমতা যদি আপনার না থাকে তবে আপনি কিসের বুদ্ধজীবি আল্লাহই মালুম। বিরোধীরা যখোন নাগরিক ও নগরের ক্ষতি করে উনি তখন মনের সেুখে গান ধরেন “বারান্দায়, রদ্দুর, আমি আরাম কেদারায় বসে দু পা নাচাই রে” আর যখোন পুলিশ এ্যকশানে যায় তখন উনি গণহত্যা, হউম্যান রাইটস্, ফ্যাসিস্ট সরকার এই সব ভারি ভারি কথা বলে বাতাশ গরম করে ফেলেন। এই গরম বাতাসেও কিন্তু নাগরিকরা সমস্যায় পড়ে। বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। সেটা আবার নাগরিকের নিজ নিজ পকেট থেকে দিতে হয়। পক্ষপাতিত্ব করে কি নাগরিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব?

ইদানিং আরার দেখছি উনি খুব বেতিব্যাস্ত হয়ে আছে হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা বিষয় নিয়ে। যেখানে জামাত কে হেফাজত করেই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। গতকাল আবার উনি বলেছেন এই হেফাজতের লংমার্চে কোন রকম কোন বাধা দিলে বা কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার দায়িত্ব সরকার কে নিতে হবে। বাবা কি কথা। তার মানে কি দাড়ালো উনি এখন হেফাজতে ইসলামের পক্ষে। আবার শাহাবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরের মানুষগুলাকে বলছে নাস্তিক। মানে তাদের বিপক্ষে। বাহ কি তামসা। সক্ষী নাই, প্রমান নাই, দিলাম জেল ১৪ বছর। উনি একজন শিক্ষিতত মানুষ হয়ে যে ধরনের কথা বলছেন তাতে আমার ওনার শিক্ষা নিয়ে কিঞ্চিত সন্দেহ থেকই যায়। ভাবছি সরকারের কাছে আবেদন করবো উনি যে স্কুল থেকে পড়ালেখা করেছেন সেই স্কুলটিকে বন্ধ করার বিষয়ে। তা না হলে ওই স্কুল থেকে হয়তো আবারও কিছু .... বের হবে। আর হ্যা যে লোক এভাবে নগর, দেশের মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরী করে সে কিভাবে নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহবায়ক হন সেই প্রশ্নে আমি আগামি তিন মিনিট আমি ঘুমাব না।

আমি ঘুমাব কি ঘুমাব না তাতে জনাব ফরহাদ মাজহার সাহেবের কিছু এসেযায় না। কারণ উনি এখন হেফাজতে ইসলাম নিয়ে ব্যাস্ত। ইসলাম কে হেফাজত করছেন। নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহবায়ক হয়ে নাগরিকের হেফাজত বাদ দিয়ে ইসলাম হেফাজত করছেন। ভালো, এত আমার কোন সমস্যা নাই যদি এটা সত্যি সত্যি হেফাজতে ইসলাম হতো। এটাতো হেফাজতে জামাত ইসলাম। এখানে তো আমি একমত হতে পারবো না।

শাহবাগের নাস্তিকেরা কি সাহসই না দেখাইলো ইসলামের (জামাতো) বিরুদ্ধে কধা বলে। এদের ক্ষমা নাই। মওদুদী সাহেব নবীদের চরিত্র সম্পর্কেও কিছু বলেছিলো ওটা সমস্যা না। মুরুব্বি মানুষ তো। মুরুব্বিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে নাই। কিন্তু পোলাপান এত সাহস কই পাইলো। ইসলামের (জামাতের) বিরুদ্ধে কথা কয়। কি বুদ্ধি এই বুদ্ধিজীবির। এই বুদ্ধির কাছেতো গোপাল ভাঁড় বা মোল্লা নাসিরউদ্দিন ও মশা মাছি।

এতক্ষন যে আবল তাবল বললাম তা হচ্ছে মনের ক্ষ্ট থেকে। যে সকল বুদ্ধিজীবিরা ডাকাতকে সাথে নিয়ে চোর ধরতে যায় তারা আসলে বুদ্ধিজীবি না। কুবুদ্ধিজীবি। আমার মনে হয় এই শব্দটাকে ডিকশোনারিতে স্থান দেয়া যেতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

২১৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File