প্রসঙ্গ ; মুসলমানের ধর্মানুভুতি ....................
লিখেছেন লিখেছেন বানু ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৫৪:২৫ দুপুর
আজো মুসলমানদের 'ধর্মীয় অনুভূতিতে' আঘাত দেয়ার অভিযোগে সিলেটে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন: বিশ্বনাথের রামপাশা কাঠলীপাড়া গ্রামের মৃত অমূল্য চন্দ্র দাসের ছেলে বিজয় চন্দ্র দাস (২০) ও একই এলাকার ডা. পরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে পাপলু চন্দ্র দাস (২১)।
বিদ্রহী কবি কাজী নজরুল তার এক কবিতায় লিখেছিলেন ;
"থাকবো না আর বদ্ধ ঘরে,
দেখব এবার জগৎটারে .......
.......................
বিশ্বজগৎ দেখব আমি,
আপন হাতের মুঠে পুরে"
হাঁ, বর্তমান "computer software" প্রযুক্তির কল্লানে বিদ্রহী কবির সে আশা পুরন হয়েছে। আমরা এখন মুহুত্বেই বিশ্বজগৎকে আপন হাতের মুঠে পুরেই দেখতে পারি। নয় কি?
৭ শতকের আরবী বেদুইন যুগ আর নেই। মুক্তচিন্তার অনুসন্ধানী মানুষ পৃথিবী বদলে দিয়েছে। একসময় ধর্মগ্রন্থ আল কোরানের অনেক কিছুই সাধারন মানুযের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না, যা ছিল মুলত মোল্লা-মৌলবী দের মনগড়া বয়ান নির্ভর। কিন্তু বহুভাষায় অনুবাদ ও অভাবনিয় কম্পিউটার প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারনে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের মানুষ এখন মাউসের এক ক্লিকেই "কোরান-হাদীস" এর এ-টু-জেড উন্মক্ত করে দিতে পারে। ধর্মগ্রন্থের কোন কিছু লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই। যে কারনে কোরান-হাদীস এর পক্ষে-বিপক্ষে বিশ্বজুড়ে মুক্তচিন্তার মানুষের প্রশ্নবানে ইসলাম ধর্ম আজ জর্জরিত, দারুন প্রশ্নবিদ্ধ। এ অবস্হায় কোরান-হাদীসের ভুল, ভ্রান্তি, অসঙ্গতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়াই কি মুসলমানদের নাজুক ধর্মানুভুতিতে আঘাত?
কোরান-উদ্ভূত প্রশ্ন
সূরা ৫ আয়াত ১০১
"ওহে যারা ঈমান এনেছ! সে সব বিষয় সম্বন্ধে প্রশ্ন কোরো না যা তোমাদের কাছে ব্যক্ত করলে তোমাদের অসুবিধা হতে পারে।"
প্রশ্ন করতে মানা করা হলো কেনো? আজকের পৃথিবী কি প্রশ্ন করে করে এতদূর আসেনি?
২। সূরা ২০ আয়াত ৫৩
"যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীটাকে করেছেন একটি বিছানা, আর তোমাদের জন্য এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন পথসমূহ, আর তিনি আকাশ থেকে পাঠান পানি"
সূরা ৪৩ আয়াত ১০
"যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীটাকে করেছেন এক খাটিয়া, আর এতে তৈরি করেছেন তোমাদের কারণে পথসমূহ, যাতে তোমরা পথের দিশা পেতে পারো।"
সূরা ৭৮ আয়াত ৬-৭
"আমরা কি পৃথিবীটাকে পাতানো বিছানারূপে বানাই নি?"
"আর পাহাড় পর্বতকে খূটিরূপে?"
সূরা ২১ আয়াত ৩১
"আর পৃথিবীতে আমরা পাহাড় পর্বত স্থাপন করেছি, পাছে তাদের সঙ্গে এটি আন্দোলিত হয়, আর ওতে আমরা বানিয়েছি চওড়া পথঘাট যেন তারা সৎপথ প্রাপ্ত হয়"
কি বোঝা গেলো? উক্ত আয়াতগুলো থেকে পৃথিবী "গোল" এর চেয়ে পৃথিবী "সমতল"- এটাই কি কনক্লুশন টানা যায় না? বিছানা তো আর গোল হয়না! আর পাহাড় পর্বতকে খূটি বা পেরেক বানানো হয়েছে যাতে তা আমাদের নিয়ে হেলে পড়ে না যায়! সমতল পৃথিবী ছাড়া এর আর কি ব্যাখ্যা থাকতে পারে? মানুষের ভারে যাতে পৃথিবী পড়ে না যায় এজন্য পেরেকরূপি পাহাড়! পৃথিবী কি প্রতিনিয়ত আমাদের নিয়ে সূর্যের চারদিকে হেলেদুলে ঘুরছে না? কোরানে এত এতবার পৃথিবীর আকার নিয়ে বলা হলো, একটাবারো কি ক্লিয়ার করে বলা যেত না যে পৃথিবীটা গোল?
কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় : পৃথিবী নিয়ে পৃথিবীর স্রোষ্টা এত কিছু বল্লেন বটে! কিন্তু তিনি ঘুনাক্ষরেও কোথাও বলেন্নি।"[b]পৃথিবী গোল, পৃথিবী সুর্যের চার দিকে ঘুড়ে এবং সেই সাথে নিজের অক্ষেও ঘুর্ণমান"[/b]
পৃথিবী যে নরম তুলতুলে সমতল বিছানা, খাটিয়া, চাদর, খেতা, বালিশ ............... এটা তো একটা শিশুও বুঝে। যে কারনে এ কথাগুলো কোরানে এসেছে। আর সে আমলের বিজ্ঞানহীন কোন মানুষের পক্ষে কোনভাবেই জানা সম্ভব ছিল না যে পৃথিবী গোল, পৃথিবী নিজ কক্ষ ও অক্ষ পথে সদা ঘূর্ণমান, যে কারনে এ কথাগুলো কোরানের কোথাও আসেনি।
আমি জানি, এক্ষুনি অন্তসারশুন্য ছাগুরা বলবে ; (সৌদি আরবের পোষা বিড়াল)মরিস বুকুলির কোরান-বিজ্ঞান কিতাব খানা পড়ে দেখেন।
কিন্তু আমার প্রশ্ন ; "যিনি পৃথিবী সৃষ্টির দাবিদার আল্লা, সেই তিনি পৃথিবী নিয়ে সঠিক ইনফরমেশন দিতে পারেন্না" এটা কেমন ভুয়া আল্লা?? আর এতে যদি মুসলমানদের অতি ভংগুর ধর্মানুভুতিতে চাক্কু মারা হয় তাতে আমার কিছু যায় আসে না। ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
২১৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন