শেষ কোথায়???????

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ হোসেন ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:২০:২২ বিকাল

এই বল্গে‍‍‌‌ এটা আমার প্রথম লেখা। লেখার অভ্যস আমার কোন কালে ছিলনা।তাছাড়া প্রবাসে ব্যস্ত জীবনে লেখালেখি করা খুব কঠিন ব্যপার। অনেক দোড়াদড়ি করেও একটা বাংলা key board যোগাড় করতে পারি নাই। তাই Avro software ব্যবহার করে লেখতেছি। অনেক ভাইবোন লেখালেখি করে। তাদের লেখা দেখে অনেক সময় লেখতে ইচ্ছা করে মনের কথা গুলো। সেই ইচ্ছা থেকে এটা আমার প্রথম লেখা বলা যায়।

পাশ্চাত্যে লাগামহীন যৌন স্বাধীনতা ও নৈতিক অবক্ষয়। এই লেখার প্রথম ভাবনাটা আসে আমার কর্মক্ষেএ থেকে। সেখানে আমার সাথে স্পেনীশ এক ছেলে কাজ করে। বয়স আমার সমান হবে। সে তার গার্লফেন্ড খোজাঁর জন্য একটা ক্লাবে গেল। সেখানে নাকি যাদের বয় অথবা গার্লফেন্ড দরকার তারা যায়। সে একটা ফার্ন্সের মেয়েকে পেয়ে গেল। কিছু দিন পরে এসে বলল তার সাথে হবে না।আমি ঞ্জিগাসা করলাম সমস্যা কোথায়? সে বলল এই মেয়ে গভীর সর্ম্পক চায়। সে চায় জাস্ট ফেন্ডশীপ sex এর জন্য। তাকে আমি বললাম তুমি একটা মেয়ের সাথে শুধু sex এর জন্য relation করবে। সে আমাকে বলল গার্লফেন্ড অনেক হেডেক যাকে বলে দায়বদ্বতা। পরে আমাকে বলল এই মেয়ে রাজি হয়েছে যতদিন না তার নতুন বয়ফেন্ড পায়। তখন আমি ভাবলাম আমরা আছি কোন জগতে!! আল্লহ মানুষকে এই সব নোংরামি করার জন্য সৃষ্টি করেছেন।সব কিছুর সীমা থাকা দরকার। মনে হয় এরা সব সীমা লঙ্গন করে ফেলেছে। বাকি আছে শুধু গজবের।আল্লাহ যেন এই ভয়াবহ ফেতনা থেকে মুসলমান ভাইও বোনদের হেফাজত করে।

আচ্ছা নাস্তিক বল্গাররা বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের। আমার মনে হয় এরা বেশিভাগ ঢাকার। আমিও ঢাকায় বড় হয়েছি।আমার জীবনে এই ধরনের কুৎসিত ধর্মদ্রোহী দেকি নাই। এদের সমস্য কোথায়? যেটা অনুমান করছি পারিবারিকভাবে এদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারেনাই। এদের পরিবার আধুনিক শিক্ষা ও আধুনিক জীবনে গড়ে তুলতে গিয়ে এই বিপথগামী করে তুলেছে। ঢাকাতে যে অবাধ যৌনচার বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মূল কারন পরিবার থেকে সঠিক ইসলামী জ্ঞান না পাওয়া। তাছাড়া পাশ্চাত্য ও ইন্ডিযার নোংরা কালচারের ছোয়া। বাংলাদেশে প্রত্যক অঞ্চলে এগুলো ছড়িয়ে পড়ছে।আমার এক স্কুল জীবনের শিক্ষক কুমিল্লার একটা মেয়েকে খুব দুমধাম করে বিয়ে করে। পরে এই মেয়ের বয়ফেন্ড কিছু তাদের close photo দিয়ে একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলে স্যরের প্রত্যক ফেন্ডকে request পাঠায়। এর ভেতর আমার এক ক্লাসমেট ছিল। আমাদের দেশে যা হয়, স্যর ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করে দেয়। সবার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে লজ্জায় ও অপমানে। আমি বিদেশে আসার পরে যেটুকু বাংলাদেশকে মুল্যয়ন করতে পারছি আগে সেই সুযোগ হয় নাই। যেটুকু বুঝেছি বাংলাদেশের বেশি ভাগ মানুষ ইসলাম সর্ম্পকে জানে না। কারন পড়াশুনা করে না অথবা জানার আগ্রহ নাই। এবং গোড়ামিটা প্রচন্ড রকম বেশি। ছেলেমেয়েদের ধর্ম শিক্ষা থেকে দূরে রেখেছে। তাদের বেশিভাগ দুনিয়ায় কিভাবে টাকা কামাবে ও কিভাবে সুখে থাকবে এগুলোর শিক্ষা দেয়। ফলে যা হওয়ার তা হয়।

বাংলাদেশে মানুষের ভেতর ধমীয় জ্ঞান না থাকার কারনে মানুষের ভেতর মহামারি আকারে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।ফলে মানুষের ভেতর থেকে আল্লহর ভয়ভীতি নাই বললে চলে।এখন বাংলাদেশে প্রত্যক সেক্টরে এমনভাবে দুর্নীতি ঢুকে গেছে যা মনে হয় নিরাময় হওয়া অসম্বভ।এখানে প্রশ্ন হলো উন্নত দেশেও ধর্মীয় জ্ঞান নাই তাহলে তাদের দেশে ত দুনীতি নাই বললে চলে আমাদের দেশের তুলনায়। তাদের অথনীতি অবস্থা খুব ভাল তাদের সরকারের প্রচুর টাকা আছে। তারা জনগনকে খুব কাছ থেকে সাহায্য করে। বাংলাদেশে সরকার সরাসরি দুনীতি করে থাকে। আমি পাসর্পোট বানাতে গিয়ে আমার লাইফের সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয়েছি। সত্যকথা বলছি পাসর্পোট ঠিকভাবে পাওয়ার জন্য extra কিছু টাকা দিয়েছিলাম। এখন কথা হলো এর সমাধান কোথায়? আমার মনে হয় এর সমাধান বতর্মান দুনিয়ায নাই।তবুও একজন প্রকৃত ঈমানদারের হতাশ হতে নাই।

তথ্যঃ



http://www.somewhereinblog.net/blog/Eva_110/29695840

বিষয়: বিবিধ

১৪৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File