এক ফালটু লোকের ফেবু স্ট্যাটাস “শিবিরের নেতারা মাইরের ভয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন নাকি স্থগিত করেছে”!!!
লিখেছেন লিখেছেন জান্নাতের পথিক ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৩২:৩২ বিকাল
আল্লাহ কত কিসিমের লোক পয়দা করছে তা ফেইসবুকের বিস্তৃর্ণ ভুমিতে বিচরণ করলে কিছুটা টের পাওয়া যায়। নিজেদেরকে প্রগতিশীল হিসাবে পরিচিত করার জন্য নিলর্জ্জভাবে কিছু লোক বিবেক বুদ্ধির বাহিরে যেতেও তোয়াক্কা করে না। আবার দেখা যায় নিজের জ্ঞান নাই, এমন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে নিজেকে একটু ফেমাস হিসাবে জাহির করায় মগ্ন।
বর্তমানে প্রতিশীল হিসাবে ফেমাস হওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো, জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে দুই চারটা লেখালেখি করা। তাদের ফেমাসগিরি বাড়ানোরজন্য চোখ বন্ধ করে আওলা যাওলা যা মন চায় তাই জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে লেখে যায়। একবার চিন্তাও করে দেখে না যা লেখতাছে, তার সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান আছে কিনা।
এমনই এক লোকের স্ট্যাটাস সম্পর্কে বলতেছি, তার লেখার মধ্যে বলেছে শিবিরের নেতারা কেন্দ্রীয় নির্বাচন নাকি মাইরের ভয়ে স্থগিত করেছে!
তার কোন এক শিবির ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা দিয়ে জানতে পারছে, শিবিরের কেন্দ্রীয় নির্বাচন আপাতাত স্থগিত আছে। আর শিবির সবসময়ই তাদের কেন্দ্রীয় নেতা নির্বাচন জানুয়ারীর প্রথমেই শেষ করে থাকে।
এরপর প্রগতিশীল উদ্ভট চিন্তা, এই বছর এখনো কেন্দ্রীয় নির্বাচন হচ্ছে না কেন? কোথায় সমস্যা?
চিন্তার ফল মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুজে পায়ছে। আর তা হলো, শিবিরের নেতারা মাইরের ভয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন স্থগিত রাখছে।
এই ফালটু লোকটা শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারদের নিয়ে কটুক্তি করতেও পিছ পা হয় নাই। তারা নাকি মাইরকে ভয় পায়!!!
এইবার আসা যাক তার উদ্ভট চিন্তার সাথে শিবিরের সংবিধান এবং বাস্তবতা কি বলে।
আমি শিবিরের সংবিধানের ৫০টা ধারা খুব ভালোভাবেই পড়েছি, এর মধ্যে ৩০টা ধারাই মুখস্ত আছে। কোথাও কোন ধারায় বাধ্য করে বলা হয় নাই, জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকেই নির্বাচন করে ফেলতে হবে। মূলত শিবিরের সকল কাজ পরিবেশ পরিস্থিতর আলোকেই করা হয়। কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শিবিরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে বাহিরের লোকদের চিন্তা না করাই সবচেয়ে ভালো। কারণ শিবির তার সিদ্ধান্ত ভেবে চিন্তে গ্রহন করে। কারোর কথায় তাদের চলার পথ নির্ণয় করে না। ইতিহাস, ঐতিহ্য ঘিরে শিবিরের সংবিধান রচনা করা হয়েছে।
শিবিরের শ্রদ্ধীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যখন, কটুক্তি করা হয় তখন হৃদয়ে রক্তক্ষণ হয়। ভেসে উঠে প্রাণপ্রিয় দায়িত্বশীল দেলোয়ার ভাইয়ের হুইল চেয়ারে করে কোর্টে হাজির ছবিটা, ভেসে উঠে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে দেলোয়ার ভাই, হাটতে পারতেছে না পেরে পুলিশ তাকে কোলে করে ম্যাসিষ্ট্যাটের রুম ঢুকাচ্ছে।
মনে পরে যায় চোখ হারানো,পা হারানো অসংখ্য নির্যাতিত ভাইয়ের কথা। পুলিম নির্মম ভাবে পেলাস দিয়ে টেনে টেনে আঙ্গুলের নখ বের করে ফেলছে।
শিবিরের অংশ ভাই শাহাদাত, আহত ও পুঙ্গুত্ববরণ এবং জীবন্ত শহীদ হিসাবে আছে। রাজপথে নির্ভিক সেনানির দায়িত্ব পালন করতেছে সবাই, মিছিলে যাওয়া মানে হচ্ছেই নিজ ইচ্ছায় পুলিশের গুলি খাওয়ার মতো। তারপর ও ইসলামের মুজাহিদেরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
কোন ফালতু লোক ঠিক সেই সংগঠনের দায়িত্বশীলদেরকে যখন বলে, মাইর খাওয়ার ভয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন করতেছে না, তখন গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়।
এই সমস্ত তথাকথিত প্রগতিশীল ফালতু মার্কা লোকদেরকে সব জায়গা থেকে বয়কট করা উচিৎ।
* কোন অসংগঠনিক কারো সাথে সাংগঠনিক বিষয় আলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত। সে যত আপনই হোক না কেন। আপনার সহজ সরল কথাটাকে হয়তো উদ্ভট চিন্তার মাধ্যমে বিকৃত ভাবে প্রচার করে সংগঠনেরই ক্ষতি করে ফেলতে পারে।
এফবি আইডি
https://www.facebook.com/mustafiz2009
বিষয়: বিবিধ
১৯০৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অন্য কাউকে/কিছুকে ভয় পাওয়াতো যায়েজই নেই।
শিবির যদি এতই ভয় পায়, তাহলে বিগত ৫ বছর সরকার শুধুমাত্র একটি এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে দেশের ১২ টা বাজানোর মানে কি?
তারমানে প্রতিয়মান হচ্ছে যে, শিবির ই একমাত্র শক্তিশালী ইসলামিক সংগঠন, যারা আল্লাহ ছাড়া কাউকেই ভয় পায়না।
সর্বশেষ সবাইকে এই পরামর্শ মেনে চলার অনুরোধ করছি।
"অসাংগঠনিক কারো সাথে সাংগঠনিক বিষয় আলাপ থেকে বিরত থাকা উচিত। সে যত আপনই হোক না কেন। আপনার সহজ সরল কথাটাকে হয়তো উদ্ভট চিন্তার মাধ্যমে বিকৃত ভাবে প্রচার করে সংগঠনেরই ক্ষতি করে ফেলতে পারে"
অসাধারণ লেখার জন্য লেখকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রখ্যাপন ভাই বুঝলাম না, আমার এই পরামর্শটা দেখি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। যাক আলহামদুলিল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন