ডাক্তার ও তাদের টেস্ট বনাম একজন অর্ধশিক্ষিত কবিরাজ
লিখেছেন লিখেছেন আহাম্মেদ খালিদ ২৫ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:০২:৫৬ রাত
দুই বছর আগের একটা ঘটনা পরিস্থিতির চাপে পড়ে শেয়ার করতেই হলো। দুই বছর আগে যেবার দেশে গিয়েছিলাম তখন আমার একটা প্রবলেমের জন্য ডাক্তার দেখাবো বলে ভাবছিলাম তখন মনে পড়লো আমার এক বন্ধু ময়মনসিংহের একটা ক্লিনিকে জব করে। তাকে এক ডাক্তারের নাম বললাম, জানতে চাইলাম সে কোথায় বসে ? সে বললো সে কয়েক জায়গাতেই বসে তবে আমাদের ক্লিনিকেও বসে। এক কাজ কর আমাদের ওখানেই চলে আয়,আমি সাথে থাকবো আর পরিচয় করিয়ে দিবো তাহলে অযথা বাড়তি টেস্ট করাতে দিবেনা। আমি বললাম বাড়তি টেস্ট কেন দিবে ? সে বললো পড়ে বলবো। তুই চলে আয় আমার অফিস টাইমে। গেলাম ,যাওয়ার পর আমাকে বেশ কিছুক্ষন দেখলেন অনেক কিছু জানতে চাইলেন। তারপর আমার ফ্রেন্ডের দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দিয়ে বললো মিল্টন কিছু টেস্টতো করা দরকার কি বলো ? মিল্টন ডাক্তার সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললো স্যার আমার খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। তখন ডাক্তার বললো তাহলে যেগুলি না হলেই না সেগুলিই দেই কি বলো ? ফ্রেন্ড বললো ঠিক আছে স্যার।
তখন আমাকে (যে টেস্ট না করলেই না!)৩ টা টেস্ট করাতে দিলো, বলে দিলো তাদের এখানেই যেন টেস্ট গুলি করাই। ওকে টেস্ট ৩টা করালাম, আমার বন্ধুর সুবাদে কিছু ডিসকাউন্টও পেলাম তার পরও ৪ হাজার টাকার বিল আসলো। যখন টেস্ট রিপোর্ট পেলাম তখন গিয়ে দেখি উনি উনার চেম্বারে নেই, ফ্রেন্ডের রুমে গিয়ে তাকে বললাম ডাক্তার সাহেবতো চলে গিয়েছে। সে বললো চলে গিয়েছে তবে ৭ টার দিকে আবারও আসবে। এখন সে অন্য আরেকটা ক্লিনিকে রুগী দেখছেন। বসে রইলাম ডাক্তার সাহেবের অপেক্ষায়, উনি আসলেন ৭:৩০ এর দিকে। রিপোর্ট নিয়ে তার কাছে যাওয়ার সময় আমার ফ্রেন্ডও আমার সাথে আসলো। উনার চেম্বারের বাইরে দেখি অনেক মানুষ ভির করে আছে আমি ভাবলাম বাহ! আমি যেমন জানতাম উনি মনেহয় তার থেকেও ভালো ডাক্তার। সব রুগীই দেখি ভদ্রলোক টাইপের স্মাট ইয়াং। বেশির ভাগেরই আবার টাই ও পড়া। আমাব ন্ধুকে (রুগীদের দেখিয়ে) বললাম তোদের এখানেতো অনেক রুগী। সে অনেক্ষন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো, আমি বললাম কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন ? আরে ব্যাটা এইখানে রুগী খালি তুই আর বাকি সবগুলা ঔষধ কোম্পানির লোক।
যাইহোক, উনি রিপোর্ট গুলি দেখলেন বললেন একটু সমস্যা আছে তবে ঘাবরাবার কিছু নেই আমি কয়েকটা ঔষধ আর ৩ টা ইনজেকশান লিখে দিচ্ছি এগুলি নিলেই আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। উনি যখন ঔষধ লিখতে যাবেন তখন আবার আমার বন্ধু ডাক্তারকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো: স্যার, আমার বন্ধু কিন্তু। আজেবাজে কোম্পানী লিখবেন না। ডাক্তার ওর দিকে একবার তাকিয়ে হেসে দিলো বললো ঠিক আছে তবে বাইরে(চেম্বারের) যাওয়ার আগে প্রেসক্রিপশানটা পকেটে নিয়ে বের হইয়ো।
আমি কিছু বললাম না, উনার ব্যাবস্থা পত্র পকেটে পুরে উনার চেম্বার থেকে বের হয়ে আসলাম। বের হতেই বাইরে দাড়িয়ে থাকা ঔষধ কোম্পানির লোকজন ঘিরে ধরলো। বললাম কি ব্যাপার ? বললো ভাই কি ডাক্তার দেখালেন ? আপনার ব্যাবস্থা পত্র টা একটু দেখি। সাথে সাথেই আমার বন্ধু একটু ধমকের সুরে বলে উঠলো আরে ভাই রাস্তা ছাড়েন, স্যারের সাথে এমনি দেখা করতে গিয়েছিলাম। লোক গুলি চলে যাওয়ার পর আমি আমার বন্ধুকে বললাম ঘটনা কি ? তোর স্যার ব্যাবস্থাপত্র পকেটে নিয়ে বের হতে বললো আবার আমরা বাইরে বের হতেই ঔষধ কোম্পানির লোক গুলি এভাবে গিরে ধরলো কেন ? সে বললো প্রত্যেক ঔষধ কোম্পানির লোকেরা স্যার দের অনেক ফ্রি ঔষধ দেন, বিভিন্ন গিফট দেন,কেউ কেউ আবার সাথে ক্যাশ টাকাও দেন যেন ব্যাবস্থাপত্রে তাদের কোম্পানীর ঔষধের নাম লিখেন। আমরা বাইরে আসতেই তারা আমাদের ব্যাবস্থাপত্র দেখহে নিশ্চিত হতে চাইলো তাদের টাকা খেয়ে তাদের কোম্পানির ঔষধের নাম লিখেছেন কিনা।
যাই হোক,আমি ডাক্তার দেখিয়েছিলাম কাতার চলে আসার ২ দিন আগে তাই ইনজেকশান গুলি তখন না দিয়ে ভাবলাম কাতার গিয়েই একবারে শুরু করবো। কিন্তু কাতার আশার পর এখানকার ডাক্তাররা বাংলাদেশের ডাক্তারদের ঔষধ এলাউ করলেন না। ভাবলাম ছোটখাটো কোন ফার্মেসীতে গিয়ে ইনজেকশান গুলি দিয়ে নিবো, কিন্তু কেউই আমাকে ইনজেকশান দিতে দিলোনা। কি আর করা ইনজেকশানও দিতে পারলাম না সেই সাথে ঔষধ গুলিও খেতে পারলাম নাহ।
কিছুদিন পর একদিন আম্মা কথায় কথায় বললেন আমাদের বাসার পাশে একজন কবিরাজ থাকেন উনার ঔষধ নাকি ভালো, অনেকেরই নাকি কাজে লেগেছে। কবিরাজি ঔষধে আমার কখনই বিশ্বাস ছিলোনা তার পরও উনার সাথে কথা বলার একটা আগ্রহ অনুভব করলাম। আম্মার কাছ থেকে উনার নাম্বার নিয়ে একদিন কল করলাম। আম্মা আগেই উনাকে বলে রেখেছিলো যে আমি কল করবো উনাকে। তাই সহজেই আমাকে চিনতে পারলো। সে বললো আপনার কি কোন সমস্যা আছে না এমনিতেই কথা বলতে চান ? আমি বললাম একটা সমস্যা আছে কিন্তু আপনাকে বললেতো আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন না। উনি এবার হেসে ফেললেন, বললেন একবার শুনেই দেখি, দেখি বুঝতে পারি কিনা। আমি উনাকে সেই কথা গুলিই বললাম যেগুলি দেশের ডাক্তারকে টেস্ট করানোর আগে বলেছিলাম। এতটুকো শুনেই উনি নিজেই বলতে শুরু করলো আমার উনাকে না বলা কথাগুলি, একে একে উনার সব কথাই আমার সমস্যাটার সাথে মিলে গেলো। আমি প্রচন্ড অবাক হয়ে গেলাম। যেখানে একজন এফসিপিএস করা ডাক্তার যে কিনা আরও ৩ টা দেশ থেকে ডিগ্রী নিয়ে এসেছেন তিনি ৩ টা টেস্ট না করে কিছুই বলতে পারলেন না!(নাকি বুঝতে পারলেও কমিশন খাওয়ার লোভে টেস্ট করিয়ে নিলেন) আর অর্ধশিক্ষিত গ্রামের একজন কবিরাজ সে হাজার হাজার মাইল দুর থেকে মাত্র কয়েকটা কথা শুনেই বাকিটা বলে দিলো ?
কেন জানি ঐ কবিরাজটার উপর একটু হলেও আস্থা আসলো মনে। আমি উনাকে বললাম তাহলে আমার জন্য ঔষধ বানিয়ে আম্মার কাছে পাঠিয়ে দিন। বললাম কত টাকা দেয়া লাগবে আপনাকে ? একটু হেসে বললো লজ্জা দিতেসেন কেন ? আপনাদের কাছে টাকা চাইতে পারি ? আমি চেপে ধরায় উনি বললো ঔষধ বানাতে কিছু জিনিষ কিনতে হবে শুধু সেগুলির খরচ বাবদ ৪৫০ টাকা দিলেই হবে। আমি ঔষধ বানিয়ে চাচি আম্মার কাচে দিয়ে আসবো। বলে ফোন রেখে দিলো।
আমি আম্মাকে কল দিয়ে তাকে টাকা দিয়ে দেয়ার জন্য বলে দিলাম। ২ দিন পর ঔষধ বানিয়ে আমাদের বাসায় দিয়ে গেলো। এর কিছুদিন পর ঔষধ গুলি আম্মা কাতারে আমার কাছে পাঠিয়ে দিলো। আমি সেই ঔষধ গুলি অর্ধেকের মতো খেয়েছিলাম। একটা ঔষধ ছিলো যেটা খেতে খুব ঝাল লাগতো তাই শেষ করতে পারিনি। এবার যখন দেশে গেলাম (গত ডিসেম্বরে)তখন আবার সেই ডাক্তারের কাছে গেলাম আমার সেই সমস্যাটা নিয়েই কারণ উনার দেয়া ইনজেকশানও দেয়া হয়নি আবার উনার দেয়া কোন ঔষধও খাওয়া হয়নি। (কবিরাজের দেয়া ঔষধ অর্ধেকের মতো খেয়েছিলাম কিন্তু শেষ করিনি তার উপর কবিরাজি ঔষধের উপর তেমন বিশ্বাসও ছিলোনা)। আবার সেই বন্ধুকে নিয়েই আবার সেই ডাক্তারের কাছেই গিয়ে জানালাম যে ২ বছর আগে (প্রেশক্রিপশান দেখিয়ে)আপনার দেয়া ঔষধ গুলির একটাও খেতে পারিনি আর এই সমস্যাটার জন্য ওখানেও (কাতারে)কোন ডাক্তার দেখাইনি। ডাক্তার অবাক হয়ে একটু ধমকের সুরে বললো আপনি এখনও সেই সমস্যাটা ঝুলিয়ে রেখেছেন ? বললাম কি করবো আপনাদের দেয়া ঔষধ ওখানকার ডাক্তার এলাউ করলোনা (মনে হলো উনি একটু অপমানিত বোধ করলেন) বললেন এখান থেকে কেন খেয়ে গেলেন না ? বললাম আপনাকে যেদিন দেখিয়েছিলাম তার ২ দিনের দিন আমি কাতারে চলে ঘিয়েছিলাম।
উনি আবারও ২ টা টেস্ট করাতে দিলেন। করলাম। যখন ডাক্তারের সামনে রিপোর্ট নিয়ে হাজির হলাম উনি একবার ২ বছর আগের দেয়া রিপোর্ট দেখেন আবার নতুন করা রিপোর্ট দেখেন। আমাকে বললেন আপনি বলেছেন এই সমস্যাটার জন্য কোন ডাক্তার দেখান নি কিন্তু আপনার দুই বছর আগে যে সমস্যাটা ছিলো সেটা তো এখন একেবারেই গায়েব! আমার বন্ধু বলে উঠলো স্যার টেস্ট মনেহয় ঠিক হয়নি আবার করতে বলবো ? ডাক্তার তখন যে টেস্টটা করেছে সেই অপারেটরকে আসতে বললো। সে আসার পর তাকে বললো টেস্ট ঠিক ভাবে করেছিলাতো ? সে বললো স্যার ঠিক ভাবেই করেছি, উনি মিল্টন ভাইয়ের বন্ধু আমি জানি আর তাই উনার টেস্ট আমি অনেক সময় নিয়েই ভালো করে করেছি। উনার কোন সমস্যাই নাই একেবারে গায়েব।
ডাক্তার সাহেবও একটু কনফিউজ্ড চিকিৎসা ছাড়াই একটা অসুখ এভাবে একেবারে গায়েব হয়ে গেলো! উনি একটু বিব্রত ভাবে হেসে দিয়ে বললো আসলে আমিও বুঝতে পারছিনা এটা কিভাবে হলো। যাইহোক, সমস্যাটা নাই এটাই বড় কথা। উনাকে কনফিউজ্ড অবস্থায় রেখে বের হয়ে আসলাম। আমার বন্ধুরও তখন অফিসের সময় শেষ তাই এক সাথেই ক্লিনিক থেকে বের হয়ে আসলাম। সেও কনফিউজ্ড এটা কিভাবে সম্ভব। তোর যে সমস্যা সেটা ভালো করার জন্য ঐ ৩ টা ইনজেকশান অবশ্যই দেয়া লাগে। এটার চিকিৎসাই হলো ঐ ইনজেকশান । তখন হটাৎ করে আমার কবিরাজের কথা মনে পড়লো, তাকে বললাম দোস্ত, আমার এই সমস্যাটার জন্য আমি একটা কবিরাজের কাছ থেকে ঔষধ নিয়েছিলাম কিন্তু সম্পূর্নটা খাইনি। ডাক্তারকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। সে তখন বললো হয়তো সেই ঔষধই তোর কাজে লেগেছে। সেটা খেয়েই তোর সমস্যাটা চলে গিয়েছে।
এখন কথা হলো এতো লম্বা এই ঘটনাটা আমি কেন শেয়ার করলাম তাইতো ? আসলে বর্তমান বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজ গুলিতে ডাক্তার নামক (সবাই না)কিছু কশাই তৈরি হচ্ছে। আগে ডাক্তার হতো তারাই যারা মানুষের সেবা করতে চাইতো। যাদের মনে মানুষের প্রতি ছিলো অগাধ ভালোবাসা। আর আজকালকার ডাক্তারদের দেখুন, তাদের প্রধান টার্গেটই হলো ব্যাবসা। সরকারি হাসপাতালে গেলে উনারা এমন ব্যাবহার করেন যেন তাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে গিয়েছেন রুগীরা। ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড্ মেডিকেল কলেজের একজন বিভাগীয় প্রধান আমার সামনে একজন মুরুব্বির সাথে যে ব্যাবহার করলেন রাগে দেখি আমার শরীর কাঁপা শুরু করে দিয়েছে ইচ্ছা করছিলো সাথে সাথেই ঐ ডাক্তার নামক জানোয়ারের গালে কষে একটা থাপ্পর লাগিয়ে দিয়ে বলি আগে ভদ্র হও আগে নিজের চিকিৎসা করো পরে ডাক্তারি করতে আসো। সেই মুরুব্বির অপরাধ ছিলো যে, সে বলেছিলো স্যার আমি অসুস্থ মানুষ বেশি জার্নি করলে শরীর বেশি খারাপ হয়ে যায় আর আজকে আপনাদের এখানে টেস্ট করার সময় পার হয়ে গিয়েছে তাই এই টেস্টটা যদি আমি এখানে না করে আমার বাসার কাছের যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে সেখান থেকে করালে হবে কিনা ?
এই কথা বলার সাথে সাথেই ডাক্তার নামক সেই জানোয়ার হুংকার দিয়ে উঠলো। এই যদি হয় ডাক্তারদের ব্যাবহার তাহলে একজন রুগীরা কোথায় যাবে ? ডাক্তারি পড়াশোনায় একটা সাবজেক্ট অবশ্যই এড করা উচিৎ আর সেটা হলো "ব্যাবহার ও মনুষত্ববোধ" এটা সকল ডাক্তারদের অবশ্য পাঠ্য হওয়া উচিৎ।
এখন কথা হলো টেস্ট-ফেস্ট এটা কত বছর হলো আবিষ্কার হয়েছে ? এগুলি যখন ছিলোনা তখন কি ডাক্তাররা রুগী দেখেননি ? তখন কি তাদের ঔষধে রুগী ভালো হয়নি ? টেস্ট করা ছাড়া যদি তারা কোন ঔষধই লিখতে পারেনা তাহলে পাঁচ বছর তারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কি ঘোড়ার ঘাস কাটেন ? আমার এক বন্ধু ফুফুকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করিয়েছিলো শুধুমাত্র তার টেস্ট করাতে করাতেই, তার পরও তার রোগ ধরতে পারেনি। তখন দেশের বাইরে নিয়ে গেলো ডাক্তার উনাকে দেখে এক পাতা ঔষধ দিলো (কোন টেস্ট করা ছাড়াই) যা ঐ দেশের আড়াই টাকা মূল্যের আর সেই এক পাতা ঔষধ খেয়েই উনি দিব্যি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন।
আসলে দেশের হাটে ঘাটে মাঠে এখন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে মেডিকেল কলেজ নামক কশাই খানা। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে একটা সার্টিফিকেট নিয়েই চেম্বার খুলে বসছে তাদের ইনভেস্ট করা টাকা তোলার জন্য। এক ডাক্তারের ভাগে আর কয়নজ রুগী পড়ে ? তাই তাদের পয়সা কামানোর এক নতুন ধান্দা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এদের সাথে কন্ট্রাক্ট করা থাকে তারা যত রুগী পাঠায় সব গুলি রুগীর কাছথেকে তারা একটা কমিশন পায়। আর সেই কমিশনের লোভে প্রয়োজন ছাড়াও একাধিক টেস্ট রুগীদেরকে করিয়ে নেন। রুগীরা মানসিক ভাবে তখন দূর্বল থাকে তাই তারা বুঝলেও না বুঝলেও টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসেন। আর যখনই সমাজের কোন সচেতন মানুষেরা ডাক্তার নামক (সকল ডাক্তার খারাপ নয়) এইসব জানোয়ারদের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চায় তখনই তারা ঝাপিয়ে পরে তাদের উপর হিংস্র জানোয়ারের মতো।
বি:দ্র: আমার জানামতে একমাত্র বাংলাদেশের ডাক্তারদেরকেই কশাই বলে ডাকা হয়।
বিষয়: বিবিধ
২১২৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদিও অনেক ডাক্তারই এখন আপনার উপর রাগান্বিত হবেন।
আমার ডাক্তারদের সম্পর্কে দুইরকমের অভিজ্ঞতাই আছে। চট্টগ্রামে একজন বিশিষ্ট ডেন্টাল সার্জন ছিলেন ডাক্তার সালাহউদ্দিন (বয়সরে কারনে এখন আর রোগি দেখেননা)। ছোট বেলা থেকে তার কাছে দাঁতের সমস্যা হলে গিয়েছি। এক্সরে ছাড়া অন্য কোন টেস্ট কখনও দেননি। কখনও দুই তিনবারের বেশি এক সমস্যাতে যেতে হয়নি। একটা দাঁতের এক পাশ ভেঙ্গে যাওয়াতে আরেকজন ডাক্তারের কাছে যাই প্রায় ১৫০০০ টাকার টেষ্ট ও ফি দেওয়ার পরও কোন উন্নতি হয়নি। শেষ পর্যন্ত সদ্য পাশ করা এক ছোট ভাই এর কাছে গেলে সে অল্প সময়ের মধ্যেই ভাঙ্গা দাঁতটির ধারাল অংশ ফ্ল্যাট করে এবং অর্ধেক থাকা রুট ক্যানালিং কে ঠিক কের দেয়। গত পাঁচ বছর কোন সমস্যা হয়নি ওই দাঁতটি নিয়ে।
ধন্যবাদ।
আমার ধারণা আপনি আমার লিখা সম্পূর্ণটা না পড়েই কমেন্ট করেছেন। যা মোটেই উচিৎ নয়। ধন্যবাদ জারীর ভাই, আমার পোস্টে কষ্ট করে কমেন্ট করার জন্য...
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন