উত্তরায় স্থাপিত সেফ জোন ও কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন আহাম্মেদ খালিদ ০৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:১৯:১৭ সন্ধ্যা
উত্তরার হাউজবিল্ডিং এর সামনের চৌরাস্তায় একটি সেফ জোন স্থাপন করা হয়েছে। একটা খুটির মাথায় ৪ টা ক্যামেরা বসানো হয়েছে যাতে করে সেই খুটির ৪শ মিটার ব্যাসার্ধে চোখ রাখা যায়। আশা করা হচ্ছে এই শক্তিশালী ক্যামেরার উপস্থিতির ফলে অপরাধপ্রবণ স্থান থেকে অপরাধ দূরীভূত হবে।
প্রশংসনীয় উদ্যোগ, তবে কথা হলো: এই ক্যামেরা গুলির র্যান্জ যে মাত্র ১০০ মিটার তা উল্ল্যেখ না করলে কি হতোনা ? কেউ হয়তো বলবে উল্ল্যেখ না করলে মানুষে জানবে কিভাবে। আসলেইতো মানুষ কিভাবে জানবে যে এখন থেকে অপরাধ ঐ খুটি থেকে ১০০ মিটার দুরে গিয়ে করতে হবে।
এখন কথা হলো: আমরা চাইলেই ঢাকা শহর/বিভাগীয় শহর গুলির অলিতে গলিতে ক্যামেরা বসাতে পারবোনা, সেটা সম্ভবও নয়, তাই আমার মতামত হলো ক্যামেরার রেন্জ উল্ল্যেখ না করে শুধুমাত্র ক্যামেরা বসানোর কথাটা প্রচার করা হোক। তাহলে সবার মনেই এই কথাটা কাজ করবে যে, ক্যামেরা আছে আমাকে মনেহয় দেখতে পাচ্ছে,তখন সে যত দুর থেকে ক্যামেরা দেখতে পাবে ততটুকো জায়গার মধ্যে কোন অপরাধ করার চেষ্টা করবেনা। আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যামেরা গুলি হাইড করে স্থাপন করা হয়, তাতে করে সবার ভিতরেই সাবধানতা চলে আসবে কারণ সে জানেনা কোথায় লোকানো আছে ক্যামেরা। কোন জায়গা থেকে তাকে ফলো করা হচ্ছে।
বিভিন্ন উন্নত দেশের প্রতিটা রাস্তায় কিছুদুর পর পর স্পিড ক্যামেরা লাগানো আছে, কিছু মানুষ আছে যারা আইন অমান্য করে গাড়ী চালায় কিন্তু যখন দূর থেকে ক্যামেরা দেখতে পায় তখন ১০০ কি:মি: স্পিডের জায়গায় ১২০ এর উপরে গাড়ী চালিয়ে এসেও ঐ ক্যামেরার ১০০ মিটারের মধ্যে এসে স্পিড কমিয়ে ১০০ করে ফেলছে আবার ১০০ মিটার পরে গিয়ে আবারও হাইস্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে।
এর পর থেকে ট্রাফিক বিভাগ কিছু ক্যামেরা উম্মুক্ত আর কিছু হাইড করে দিয়ে রাখলো। যখন কম-বেশি অনেকেই সেই হাইড ক্যামেরায় ধরা খেলো তখন সবাই সাবধান হয়ে গেলো। এখন সবার মনেই এই ভিতী কাজ করে যে,ক্যামেরা কোথায় আছে জানিনা তাই আইনের ভিতরেই থাকি, সেটাই ভালো।আর এতে করে মানুষের ভিতরে অপরাধ প্রবনতাও একসময় কমে আসবে ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন