প্রতারনার নতুন ফাঁদ +243
লিখেছেন লিখেছেন আহাম্মেদ খালিদ ২৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:১৪:২৬ সন্ধ্যা
+243... দিয়ে শুরু হওয়া কোন নাম্বার থেকে যদি আপনাদের মোবাইলে কোন কল বা মিসকল আসে তাহলে সেই নাম্বারে কল তো দুরের কথা মিসকলও দিবেন না। কারণ আপনি সেই নাম্বারে ডায়াল করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই(রিং হওয়ার পুর্বেই)সেটা রিসিভ হয়ে যাবে আর আপনার ব্যালেন্স থেকে কমপক্ষে ৩০ থেকে শুরু করে কয়েকশ টাকা পর্যন্ত।
বিদেশি নাম্বার থেকে কল বা মিসকল আসলে অনেকেই উৎসাহিত হয়ে উঠে, কে কল দিলো ? কোন দেশ থেকে কলটা এসেছিলো ? নানা চিন্তা চলতে থাকে মাথায়, একসময় ভাবে একটা মিসকল দেই তাহলে হয়তো আবার কল দিবে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে রিপাবলিক অফ দ্যা কঙ্গোর একটা প্রতারক চক্র। ইদানিং বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই প্রতারক চক্রটি আর প্রতিদিনই তারা হাতিয়ে নিচ্ছে অতি উৎসাহি সেইসব মোবাইল গ্রাহকদের মোবাইলের ব্যালেন্স।
আর এই প্রতারনার স্বীকার হচ্ছে বেশির ভাগ গ্রামীনফোন ব্যবহারকারীরা, এখন পর্যন্ত এই +243 কোড থেকে যে পরিমান ফোন কল এসেছে তার প্রায় সবকটিই গ্রামীনফোন ব্যবহারকারীদের কাছে।
তবে আরেকটা কথা বলে রাখি, বিদেশে যাদের স্বজনরা থাকে তাদের প্রায় সবাই ভিওআইপি ব্যাবহার করে কল দিয়ে থাকেন। আর তারা দেশের বাইরে থেকে কল করলে তাদের স্বজনদের মোবাইলে নানা ধরনের নাম্বার থেকে কল আসে। এখন আপনারা যদি সেগুলিকেও প্রতারনার কল ভেবে থাকেন তাহলে ভুল করবেন। কল রিসিভ করতে সমস্যা নেই শুধুমাত্র +243 দিয়ে শুরু হওয়া কোন নাম্বারে কল বা মিসকল দিতে যাবেন না। দিলেন তো ধরা খাইলেন।
আর এই প্রতারনা গুলি করার জন্য অবশ্যই সেইসব মোবাইল অপারেটরদের সাথে যোগসাজসেই করতে হয়, আর আমাদের দেশে গ্রামীনফোন ব্যবহারকারীদের কাছেই যখন বেশি মিসকল আসছে সেহেতু ধরা যায় এখানে গ্রামীনফোনের কোন না কোন কর্মকর্তা অবশ্যই জরিত থাকার কথা।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন