ঐশী আর সফেদ চুল গোঁফের একটা! জানোয়ার...
লিখেছেন লিখেছেন আহাম্মেদ খালিদ ২২ আগস্ট, ২০১৩, ১১:২২:০১ রাত
আজ কয়েকদিন যাবত খবরের কাগজে বা টিভিতে ঐশীকে যতবার দেখি ততবারই সফেদ চুল সফেদ গোঁফের একজনের চেহারা চোঁখের সামনে ভেসে উঠে। যতবার ঐশীকে দেখি ততবারই মনে হয় তার পিছনে দাড়িয়ে সফেদ চুল গোঁফের লোকটা শরীর দুলিয়ে গোফের আড়ালে থাকা ঠোটে নি:শব্দে কুৎসিত হাসি হেসে যাচ্ছে।
সফেদ চুল গোঁফের এই মানুষটাই তাকে শিখিয়েছিলো কিভাবে হতে হয় মুক্তমনা,এই মানুষটাই তাকে টেনে বের করে এনেছিলো ধর্মীয় অনুশাষন থেকে, এই মানুষটাই তাকে বলেছিলো মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে, এই মানুষটাই তাকে নিয়ে হাতে হাত ধরে নেচেছিলো আলো আধারির সেই রঙ্গমঞ্চে,এই মানুষটাই তার হাতে তুলে দিয়েছিলো আধুনিকতার মোড়কে ঢাকা এক বোতল ধ্বংষের বীজ। এই মানুষটাই তাকে বলেছিলো এটা হলো প্রেম করার সময় প্রেম করো, এটা হলো নিজেকে মেলে ধরার সময় নিজেকে মেলে ধরো।
হাঁ, ঐশী আধুনীকতার মোড়কে ঢাকা ধ্বংষের বীজ করেছিলো পান, আর তাই সে হয়েছিলো আধুনিক, মুক্তমনা। সে উড়েছিলো মুক্ত বিহঙ্গের মতো, মানেনি কারও শাষন বারণ। সেই মানুষটার কথা মতো সে করেছিলো প্রেম, অসংখ্য প্রেম। সেই মানুষটা তাকে বলেছিলো নিজেকে মেলে ধরো, হা সে নিজেকে মেলে ধরেছিলো তার কথিত সেইসব প্রেমিকদের সামনে। আর আজ, সে সারা দুনিয়ার সামনে মেলে ধরছে আমাদের ঘুণে ধরা পঁচে যাওয়া জীর্ণ সমাজের প্রতিচ্ছবি।
আজ আমরা ঐশীকে দেখে ছি: ছি: করছি, বলাবলি করছি এ মানুষ না জানোয়ার! দাবী করছি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। শিশু আইনের মারপ্যাঁচে বেঁচে! যেতে পারেনি বলে অনেকে আবার তৃপ্তির ঢেকুড় তুলছে।
কিন্তু কারও চোঁখে পড়ছেনা ঐশীর পিছনে দাড়িয়ে থাকা সফেদ চুল গোঁফের মানুষটার কুৎসিত হাসি। এইসব সফেদ চুল গোঁফের মানুষগুলি আধুনিকতার মোড়কে সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে বপন করে যাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়ের বীজ আর একে একে ধ্বংষ হয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে ধর্মীয় অনুশাষন, বড়দের শ্রদ্ধা,ছোটদের আদর,উঠে যাচ্ছে সমাজ থেকে সামাজিক রীতিনীতি, সম্মানিত মানুষদের করা হচ্ছে অপমানিত অসম্মান। পিতা মাতার শাষনকে বলা হচ্ছে পায়ের বেড়ী। পিতা মাতাকে সম্মানের আসন থেকে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে নর্দমায়।
মানুষ আজ আধুনিকতার রেইস লাগিয়েছে, কে কার থেকে আধুনিক সেটা প্রমানের জন্য চলছে নানা কৌশল, মেয়েদের কিনে দিচ্ছে সানি লিওন ড্রেস, কিন্তু একবারও ভেবে দেখেনা তারা সেইসব আমেরিকা ফেরত সফেদ চুল গোঁফের জানোয়ারদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে সে নিজ হাতে মেয়ের গায়ে তুলে দিচ্ছে একজন বেশ্যার পোশাক। আর এই কারণেই আজ আমাদের সমাজে তৈরি হচ্ছে এরকম লক্ষ লক্ষ ঐশী।
পুনশ্চ: উপরের লিখায় সফেদ চুল-গোঁফের জানোয়ারটাকে যতবার মানুষ বলে উল্ল্যেখ করেছি আমি ততবার আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই।
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন