অভিমানী বুবু আমার...
লিখেছেন লিখেছেন আহাম্মেদ খালিদ ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:০৯:১৫ বিকাল
দুই সতিনের ঘর। কাড়াকাড়ি মারামারি কে করবে রাজত্ব,কে হবে ক্ষমতার অধিকারী অন্য দিকে ছোট বউ ভালবাসে অন্য আরেকজনকে। শেষ পর্যন্ত বিভক্ত হয়ে গেল একটি সংসার। এক ভাগে স্বামি তার বড় বউকে নিয়ে চলে গেল। আর এদিকে সুন্দরী ছোট বউ স্বামি ছাড়া। তার ছিল অন্য একজনের সাথে সম্পর্ক যার কারনেই একটা সংসার আজ দুই ভাগে বিভক্ত। তার লোভী প্রেমিকের টার্গেট ছিল ছোট বউয়ের বিশাল স্বম্পদের দিকে, ছোট বউতো উসিলা মাত্র। যখন দুই সংসার বিভক্ত হয়ে ছোট বউ তার সকল সম্পদ নিয়ে তার কাছে চলে এল তখন সেই স্বম্পদ লোভী প্রেমিকের মাথাই পুরা আউলাইয়া গেল। সে দিক শূন্য হয়ে পড়লো, কি করবে না করবে। তার সাথের চ্যালা চামুন্ডারা যারা কোনদিন একবেলা পেটপুরে খেতে পারতোনা তারা আজ এত স্বম্পদ দেখে নিজেদের মাঝেই মারামারি শুরু করে দিল।
আশেপাশের শুভাকাংখী অন্য পরিবার গুলো তাদের অনেক বুঝাতে লাগলো এটা ভাল নয় কিন্তু কে শুনে কার কথা,একসময় দেখা গেল আশেপাশের পরিবারকেও আঘাত করতে লাগলো,তাদের উপরও চালাতে লাগলো নির্যাতন। তারা যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াতে লাগলো। তাদের কলহ বিবাদে অতিষ্ট সুন্দর সমাজ ও নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য আশেপাশের পরিবার মিলে একদিন সেই পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করল। বেঁচে গেল সেই পরিবারের দুই কন্যা। তাদের একজনই আমাদের বুবু। যেদিন বুবুর পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করলো সেদিনই বুবুর অন্তরে জ্বলে উঠলো প্রতিশোধের আগুন। সেদিনই বুবু কসম করে বলে উঠলো কবি নজরুলের ভাষায় 'আমি সেই দিন হব শান্ত' যেদিন ঐ পরিবার ও তাদেরকে যারা আমার বাবাকে সহ আমার পরিবারকে ধ্বংষ করেছে এবং আমার পরিবারকে হত্যা করে মিষ্টি বিতরণ করেছে তাদের ধ্বংষলীলা সাঙ্গ করতে পারব সেইদিন। এখানে বুবুর কোন দোষ নেই, কারণ যেকোন মানুষের পুরো পরিবারকে কেউ যদি হত্যা করে তখন সেই মানুষটি আর সুস্থ থাকতে পারেনা, এটা কখনই সম্ভব নয়। কখনই সম্ভব নয় সেই পরিবারকে আপন করে নেয়া/সেই পরিবারের ভাল চাওয়া যে পরিবার তাদের পরিবারকে ধ্বংষ করেছে। এটা কারই পক্ষে সম্ভব নয়।
বুবু চলে গেল অনেক দুরে, নিজেকে তৈরি করতে লাগলো সেই সাথে তার বাবার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে তৈরি করতে লাগলো এক ভয়ংকর বাহিনী। মানুষকে চোখের পানি দেখিয়ে তাদের সিমপ্যাথি অর্জন করতে লাগলো। এর মাঝে কেটে গেল অনেক গুলি বছর। এর মাঝে নিজের রুপ পাল্টিয়ে যে পরিবার তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল সেই পরিবারে শুভাকাংখি সেজে ঢুকে পরলো। এই কারনে যে, সে দেখতে চায় ঐ পরিবারের আসল শক্তি কোথায়। ঐ পরিবারকে ধ্বংষ করতে হলে কোন পথে আগাতে হবে। এভাবে ঐ পরিবারে কাটিয়ে দিল প্রায় ৫ বছর। কিন্তু শেষের দিকে সেই পরিবারটির কাছে তার পরিচয় আর গোপন থাকলোনা। যখনই তার মুখোশ খোলে গেল তখনই সেই পরিবারটি তাকে হলা ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ছুড়ে দিল। কিন্তু সে গেলনা সেখান থেকে। রাস্তায় দাড়িয়ে মায়া কান্না শুরু করে দিল, তার সেই মায়া কান্নায় তার পাশে এসে দাড়াতে লাগলো তার বাবার সেই পুরানো চেলা চামুন্ডা আর কিছু সহজ সরল ভাল মানুষ যারা শুধুমাত্র তার মায়া কান্নাতে প্রভাবিত হয়েই তার পাশে এসে দাড়ালো। তাদের নিয়ে একের পর এক সরযন্ত্র করে যেতে লাগলো সেই পরিবারের বিরুদ্ধে। এভাবে কেটে গেল আরও পাঁচটি বছর।
একসময় সফল হল বুবু, আবারও প্রবেশ করলো সেই পরিবারে, আর সেই পরিবারে প্রবেশ করেই সেই পরিবারের মেরুদন্ড মানে সেইসব সদস্যকে হত্যা করলো যারা তার পরিবারকে হত্যা করেছিল। এরপর শুরু করলো অমানুষিক নির্যাতন সেই পরিবারের সদস্যদের উপর।সেই পরিবারের যারা ধার্মিক ব্যাক্তি তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিল। সেই পরিবারের যত সম্পদ তা তুলে দিতে লাগলো তাকে আশ্রয় দাতা পরিবারের হাতে। ঐ পরিবারের যত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ছিল তা একে একে ধ্বংষ করে দিতে লাগলো। ঐ পরিবারের সদস্যদের কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে ভরে দিতে লাগলো আর এভাবেই সেই পরিবারকে ধ্বংষের শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে লাগলো আমার অভিমানী বুবু...
বি:দ্র: এই গল্পের সবটাই কাল্পনিক, কেউ যদি এখানে কারও সাথে কোন মিল খুজে পায় সেটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এর জন্য লেখক দায়ি থাকবেনা।
(রিপোষ্ট)
বিষয়: বিবিধ
১৩২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন