লিখেছেন মোহাম্মদ কাশেম ================================== আল্লামা সাঈদীর ওপেন চ্যালেন্জ
লিখেছেন লিখেছেন হিলফুল ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৩৩:৪৪ সকাল
"আমি দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে উত্তর গগনে কালো মেঘ জমা হয়েছে, ঝড়ের পূর্বাভাস লক্ষ্য করছি, যদি মোকাবেলাকরতে না পারেন সক্ষমভাবে, এমন অন্ধকারগাঢ় কালো অমবস্যার রাত আসতে পারে, যার সুবহেসাদেক হওয়া অসম্ভব, সুতরাং আপনারা কি কাপুরুষের মত কাফের মুশরেকদের গোলামী করে মরতে চান? বিড়ালের মত৫০০ বছর বেঁচে থাকার কোন লাভ নেই। সিংহের মত ১ ঘন্টা বাঁচতে চাই।
আমাদেরকে বলা হয়, সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক কথা নাকি আমি বলি, পত্র পত্রিকায় দিছে না তারা। সাম্প্রদায়িক উস্কানী কথা, সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক কথা বলি সেজন্যই বোধহয় শত শত অমুসলিমআমাদের কাছে এসে মুসলমান হয়। মানুষরে আর বোকা বানানো যাবে না, যাবে কি? আর বোকা বানানো যাবে?
তারপর বলছে কি?
এরপর বলছে- আমাকে বলছে রাজাকার, শোনে রাখ চট্টগ্রামের লক্ষ লক্ষ জনতা, পার্লামেন্টে যখন আমাকে এ কখা বলা হয়েছিল, আমার পার্লামেন্টের কলিগ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বসে আছেন পাশে। প্রধানমন্ত্রীশু দ্ধা অন্তত ৩ শতাধিক পার্লামেন্টের সম্মানিত সদস্যরা সেদিন বসা। ১৯৯৭ সনের বাজেট বক্তৃতায় তখন আমি বলতেছিলাম ড. কুদরতে খোদার, নাম রাখছে কুদরতে খোদা, আসলে গজবে খোদা, এই লোকটি নাস্তিক, ইসলামের চুড়ান্ত দুশমন, তার প্রণীতশিক্ষা ব্যবস্থার কথা সমালোচনা করছিলাম, ট্রেজারী বেঞ্চ থেকে আমাকে বলা হলো রাজাকার, আমি আমার সমস্ত শক্তি একত্রিত করে বলেছিলাম, শুধুমাত্র হিন্দুস্থানের রাজাকারেরাই আমাকে রাজাকার বলতে পারে। আমি বলেছিলাম ১৯৭৩ সন পর্যন্ত আমি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কর্মী ছিলাম না। আমি রাজাকার নই, আমাকে রাজাকারবলে- যদি তা কেউ প্রমাণ করতে না পারে ১০ কোটি টাকার মানহানী মামলা করব। আমার এই বক্তব্য সারা দুনিয়া শোনেছে, পার্লামেন্টে আমার এই বক্তব্য রেকর্ড হয়ে আছে।সেদিন ৩ শতাধিক পার্লামেন্ট মেম্বারের কেউ; আমার চেলেঞ্জ গ্রহণ করেন নাই, যে কোন ব্যক্তি পার্লামেন্টে গিয়ে আমার বক্তৃতাদেখে আসতে পারেন।
এরপরে ১৯৯৭ সনের ৭ ই অক্টোবর দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে লিখল, সেই পত্রিকায় “সাঈদীর ওপেন চ্যালেঞ্জ” ৮ম পাতা, এত বড় ২ কলাম হেডিং, সেখানে আমি বলেছি; বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক, গোয়েন্দা বিভাগ, বাংলাদেশের সকল বুদ্ধিজীবিদেকে আমি আমার পিরোজপুরে আমন্ত্রণ করছি।আমার উপস্থিতিতে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমার কোন ভূমিকা ছিল, স্বজ্ঞানে-স্বেচ ্ছায় জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করব। তিন বছরপার হয়ে গেছে আজ পর্যন্ত কেউ এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করে নাই। সুতরাং আমাকে যারা রাজাকার বলবে;তারা পিতৃ পরিচয়হীন অবৈধ সন্তান।
১৯৭১ সনে, শোন মুসলমানেরা, “১৯৭১ সনের কোন কাদা সাঈদীর গায়ে লাগে নাই”। আমাকে রাজাকার বলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করবা? জনগণ থেকে আমারে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না, কারণ, এই জনগণ আমার জন্য আসে না, এই জনগণআসে আল্লাহর কুরআনের জন্য।
আজকে, আজ যারাই ইসলামের কথা বলে তারাই রাজাকার, তারাই মৌলবাদী, মৌলবাদী বললে আমরা অসন্তুষ্ট হইনা,কারণ মৌলবাদী শব্দটা আসছে মূল থেকে, মৌল শব্দ এসেছে মূল থেকে। মূল বাদী , তার মানে যারা মূলে আছে, মূল হলকুরআন, মূল হল হাদীস, মূল হলেন আল্লাহ, মূল হলেনআল্লাহর রাসূল। আমরা আছি মূলে। এখন বলেন তো মূলের শক্তি বেশি না আগার শক্তি বেশি। আমাদেরে যারামৌলবাদী বলে ওরা হলো আগাবাদী। মূলে আছে কত কোটি? ১২ কোটি। আমাদেরে যারা মৌলবাদী বলে, ওই থাকুক গাছের আগায়, আমরা মূলে, বেশি লাফালাফি বেশি করবানা, ১২ কোটিতে গাছের গোড়া আস্তে নাড়া দিবে মামুবাড়ি দিল্লী গিয়ে পড়বা।বাংলার জমিনে জায়গা হবে না,এ কথা বিশ্বাস করো বাংলাদেশের মুসলমানদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে, শয়তানের তৈরী করা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ বাংলার জমিনে কায়েম হতে দেওয়া হবে না। হবে না।"
বিষয়: রাজনীতি
১৮৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন