নামাযে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো নাকি বেদাত?

লিখেছেন লিখেছেন হঠাৎ এসে যাবে মউত ২০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:৫৪:৫১ রাত



বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।

সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবীজীর উপর।

নামাযে পায়ের সাথে পা মিলাতে আল্লাহর নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে কোনদিন বলেননি। বুখারীর যে হাদীসে পায়ের সাথে পা মিলানোর কথা আছে, সেটা হলো একজন সাহাবীর শুধু একদিনের নিজস্ব ব্যাক্তিগত একটি আমল। কিন্তু তথাকথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের আলেমরা এই হাদীসের অর্থ বিকৃত করে অতি ঘৃণিতভাবে। একজন সাহাবীর ঘটনাকে তারা বানিয়েছে প্রত্যেক সাহাবীর ঘটনা, শুধু একদিনের ঘটনাকে তারা বানিয়েছে প্রত্যেকদিনের ঘটনা। এভাবে হাদীসের অর্থ বিকৃত করে খোদ নিজেরাই একটা বেদাতকে সুন্নাত বানিয়েছে, কিন্তু গলাবাজি করে বেড়াচ্ছে যে, হাক্কানী আলেমরা নাকি হাদীস মানেনা। শত আফসোস!!! শত ধিক!!! এ সম্পর্কে নীচের লিংকের ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আমরা আগেও দেখেছি যারা আরবী জানেনা তাদেরকে এই দলটির তথাকথিত শায়েখরা কিভাবে ধোঁকা দেয়। মুরাদ বিন আমজাদের ধোঁকাবাজি আর মিথ্যাচারতো এতই মারাত্মক যে, আসমান ভেঙ্গে পড়বে আর জমীন ধ্বসে যাবে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে এদের ভয়ংকর কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুক।

এই ভিডিওটি শুনে দেখুন


বিষয়: বিবিধ

২২৩০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

276496
২০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:১৬
ফেরারী মন লিখেছেন : আমি ইসলামিক স্কলার নই আপনাদের কাছ থেকে শিখতে চাই। এসব বিষয় নিয়ে বেশী বেশী পোষ্ট করুন। Rose Rose
276501
২০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩০
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আলোচনা অস্পষ্ট রয়ে গেলো। পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানোর পক্ষের দলীল গুলো রেফারেন্স সহ তুলে দিয়ে অতঃপর সেগুলোর দূর্বলতা বা ত্রুটি দলীল সহকারে বর্ণনা করে অতঃপর সঠিক মতটা দালিলীক ভাবে আলোচনা করা প্রয়োজন। এতে সকলের মনে সন্দেহ দূর হবে এবং স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।
জাযাকাল্লাহ খইর
২০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:১৭
220495
হঠাৎ এসে যাবে মউত লিখেছেন : সুন্দর মন্ত্যব্যের জন্য জাজাকাল্লহ।
276502
২০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩০
আফরা লিখেছেন : পা মিলানো আর না মিলানো বড় কথা নামাজে খুজু খুশু টাই আসল । এসব নিয়ে নিজেদের বিবেধ সৃষ্টি না করে ঐক্যবধ্য হন যেটার এখন খুবই দরকার । নাহলে সামনে এমন সময় আসবে নামাজ পড়ারই সুযোক থাকবে না ।
২১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
220664
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন আপু, কিন্তু এই কথাটা তাদের উদ্দেশ্যে আগে বলা উচিত নয়, যারা বড় বড় লেকচার, মোটা মোটা বই আর লিফলেট ছাপিয়ে মুসলমানদের কাফের সাব্যস্ত করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে আছে?
276542
২১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১৩
বড়মামা লিখেছেন : গত ১৭ তারিক রূপগঞ্জ কাঞ্চন বাজার মসজিদে এক জন আরেক জনকে বলে নামাযে পা না মিললে মসজিদ থেকে বাহির হইয়া যান।লোকটি ছিলো দুরের কোথাও ।আমি পরে বল্লাম দৈর্য দরেন ভাই।ইমাম সাবকে বল্লাম ।দলা দলির ওয়াজ করবে না।কারো যদি মন না চায় পা মিলাতে অসুবিদা নাই আমরা মক্কাতে দেখি এই ছোট খাটো ব্যাপার নিয়া বারাবারী করে না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
276558
২১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:২৪
দস্যু বনহুর লিখেছেন : হ বেদাঁত। যে হালায় কইছে হের আক্কেল দাঁত গজায় নাই তাই বেদাঁত কইচে Bee
276644
২১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:১১
ডাহুকী লিখেছেন : রাসুল (সHappy এর যুগে নামাজের কাতার কেমন ছিল?

১.হযরত আনাস (রাHappy থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (সHappy বলেছেন: তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা আমি তোমাদের পিছনের দিক থেকেও দেখতে পাই। আনাস (রাHappy বলেন আমরা প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম
বুখারী (২য় খন্ড) হাদিস নং-৬৮৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , বুখারী (১ম খন্ড) হাদিস নং-৭২৫ তাওহীদ পাবলিকেশন, বুখারী (১ম খন্ড) হাদিস নং-৪২৭ মাও: আযীযুল হক, বুখারী (১ম খন্ড) হাদিস নং-৬৮১ আধুনিক প্রকাশনী, মুসলিম(২য় খন্ড) হাদিস নং -৮৭১ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার।

২. ুনুমান ইবনে বশীর (রাHappy থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (সHappy বলেছেন: তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতার সোজা করে নিবে তা না হলে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে দিবে।
বুখারী (২য় খন্ড) হাদিস নং-৬৮২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , বুখারী (১ম খন্ড) হাদিস নং-৭১৭ তাওহীদ পাবলিকেশন, বুখারী (১ম খন্ড) হাদিস নং-৬৬৭৪ আধুনিক প্রকাশনী, মুসলিম(২য় খন্ড) হাদিস নং -৮৭৩ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার।

৩. ঈসা ইবনে ইবরাহীম.. .আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাHappy হতে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (সHappy বলেছেন: তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা কর, পরস্পর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাড়াও, উভয়ের মাঝখানে ফাঁকা বন্ধ কর এবং তোমাদের ভাইদের হতে নরম হয়ে যাও। রাবী ঈসা ইবনে ইবরাহীম তার বর্ননায় ” বি আইদি ইখওয়ানিকুম” উল্লেখ করেন নাই। তিনি আরো বলেন: তোমরা কাতারের মধ্যে শয়তানের দাড়ানোর জন্য ফাঁকা রাখবেনা। যারা কাতারের মধ্যে পরস্পর মিলিত হয়ে দাড়াবে আল্লাহ তাদেরকে তাঁর রহমতের অন্তরভুক্ত করবেন। অপরপক্ষে যে ব্যক্তি কাতারে মিলিত হয়ে দাড়াবেনা আল্লাহ তাদেরকে তাঁর রহমত হতে বঞ্চিত করবেন।
আবু দাউদ শরীফ (১ম খন্ড) হাদিস নং-৬৬৬ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

৪. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম... আনাস ইবনে মালিক (রাHappy থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (সHappy বলেছেন: তোমরা তোমাদের কাতারের মধ্যে পরস্পর মিলে মিশে দাড়াও, এক কাতার অপর কাতারের নিকটে কর এবং কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাড়াও। যার হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ! আমি শয়তানকে নামাযের কাতারের মধ্যে বকরীর ন্যায় প্রবেশ করতে দেখেছি। ( নাসাই)
আবু দাউদ শরীফ (১ম খন্ড) হাদিস নং-৬৬৭ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

৫. হযরত আনাস (রাHappy থেকে বর্নিত, একবার তিনি (আনাস রাHappy মদীনায় অসলেন। তাকে প্রশ্ন করা হলো রসুলুল্লাহ (সHappy এর যুগের তুলনায় আপনি আমাদের সময়ে অপছন্দনীয় কি দেখতে পাচ্ছেন? তিনি বললেন অন্য কোন কাজ তেমন অপছন্দনীয় মনে হচ্ছেনা কিন্তু তোমরা (সালাতে) কাতার ঠিকমত সোজা কর না।
বুখারী (২য় খন্ড) হাদিস নং-৬৮৮ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , বুখারী (১ম খন্ড) হাদিস নং-৭২৪ তাওহীদ পাবলিকেশন,
৬. নুমান ইবনে বশীর (রাHappy থেকে বর্নিত। তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ (সHappy সমবেত ব্যক্তিদের নিকট উপস্থিত হয়ে তিনবার বলেন: তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর। আল্লাহর শপথ! তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতার সোজা করে নিবে তা না হলে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে দিবে। রাবী বলেন, অত:পর আমি মুসুল্লিদেরকে তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা এবং গোড়ালীর সাথে গোড়ালী মিলিয়ে দাড়াতে দেখেছি।(নাসাই, বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজা )আবু দাউদ (১ম খন্ড) হাদিস নং-৬৬২ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File