দেখেন! দেখেন! হুজুররা কেমনে হাদীসের ভুল অর্থ করে!-২য় পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন হঠাৎ এসে যাবে মউত ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:০৯:১৫ দুপুর

১ম পর্ব এখানে আছে।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।

সকল প্রশংসা আল্লাহর। অসংখ্য দরুদ ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবীজীর উপর।

আহলে হাদীসদের মিথ্যাবাদী আলেমদের অপপ্রচারের প্রাবল্যে অনেক মানুষই মনে করে যে, আল্লাহর নাম ও তাঁর কালাম লেখা তাবীজ ঝুলানোও শিরক। এর দাবীর পক্ষে তারা অনেক হাদিসও পেশ করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, তারা হাদীসের অর্থ বিকৃত করে মানুষের সামনে পেশ করে থাকে, অনেকটা জেনেশুনে। তারা যেই হাদীসগুলো দলীল হিসাবে পেশ করে, সেগুলোতে আল্লাহর নাম লেখা তাবীজকে শিরক বলা হয়নি, বরং তামীমাকে শিরক বলা হয়েছে। এই তামীমার অর্থই তারা বিকৃত করে তাবীজ হিসাবে চালিয়ে দিচ্ছে। আবার এই মিথ্যার উপর ভিত্তি করে অনেকে হাজার হাজার মুসলমানকে মুশরিক বানিয়ে দিচ্ছে। তামীমার অর্থ কস্মিনকালেও নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় তাবীজ ছিলোনা। বরং আরবী্র বিশ্ববিখ্যাত মৌলিক ও আকড় অভিধানগ্রন্থ ও হাদীসের ব্যাখ্যার কিতাবগুলো ঘাটলে সমষ্টিগতভাবে তামীমার যেই অর্থ উঠে আসে তা হলো, তামীমা অর্থ এমন পূতি/দানা/ পাথর যেটা আরবরা বিপদ-আপদ থেকে বাঁচার জন্য গলায় ঝুলাতো এই নিয়তে যে, এই পুঁতিই পূর্ণ চিকিৎসা বা এই পুঁতি নিজেই রোগ সাড়াবে বা এই পুঁতি আল্লাহর লিখিত ভাগ্যকে ঠেকিয়ে দিবে । এই নিয়তের কারণেই হাদীসে তামীমাকে শিরক বলা হয়েছে।

পক্ষান্তরে যদি কারো এই নিয়ত থাকে যে, তাবীজের উসিলায় একমাত্র আল্লাহই রোগ সাড়াবে তাহলে সেটা শিরক হবেনা। তবে লা মাযহাবীদের প্রসিদ্ধ আলেম আল্লামা আলবানী সাহেব তার সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ গ্রন্থে হযরত ইবনে মাসুদের(রাঃ) তামীমা সংক্রান্ত বিখ্যাত হাদীসটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে একটি মূল্যবান কথা বলেছেন যে, তামীমার অর্থ মূলে পুঁতি বা পাথর থাকলেও পরবর্তীতে এসে তাবীজকেও এবং যেকোন রক্ষাকবচকেই তামীমা বলা শুরু হয় । ”

আর এই জন্যই ছোটখাট অভিধানে এবং অনেক আরবী থেকে বাংলা অভিধানে তামীমা অর্থ তাবীজ লেখা থাকে। কিন্তু তারা এই নিয়তে লেখেন না যে,এই অর্থ নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় ছিলো বরং পরবর্তী ব্যবহার হিসাবে লিখেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সম্বলিত একটি ভিডিওর ১ম পর্ব দিয়েছিলাম গতকাল । আজকে দিলাম ২য় পর্ব।

আল্লাহর নামের তাবীজ,তাবিয ঝুলানো শিরক নয়- ২




বিষয়: বিবিধ

১৪০০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

206390
১২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:১০
নূর আল আমিন লিখেছেন : || জবাব নেই || খুব
সুন্দর বিশ্লেষন
276505
২০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩৫
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : তাবীজের ব্যাপারটা নিশ্চিত নই। এ সংক্রান্ত তেমন বিস্তারিত পড়িনি বা শুনিনি। তবে যেভাবে কিছু ভাই বলে থাকেন, সে হিসেবে যে কোন ওষুধ গ্রহন করাই শিরকের পর্যায়ে পড়বে। কেনান, আপনি যদি কথার ফাঁকে কাউকে জিজ্ঞেস করেন, এই ট্যাবলেট বা সিরাপ টা কেন খাওয়া হয়, সে উত্তর দিবে অমুক রোগ সারানোর জন্য। এটা স্বাভাবিক কথপোকথোন। কিন্তু ট্যাবলেট বা সিরাপ রোগ সারাতে পারে না, পারে কেবল আল্লাহ। তো এটাও তো শিরক হয়ে গেল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File