জনৈক আহলে হাদীস মুরাদ বিন আমজাদের চরম ধোঁকাবাজি-২
লিখেছেন লিখেছেন হঠাৎ এসে যাবে মউত ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:২৯:৩৪ সন্ধ্যা
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা। অসংখ্য সলাত ও সালাম নাযিল হোক প্রিয় নবীর উপর।
নীচের ভিডিওটি দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতে হয়। এভাবেও কোন শায়েখ মিথ্যাচার করতে পারে। সবাই ভালো করে দেখে রাখুন। সাক্ষী থাকুন। বেশী করে প্রচার করুন। এত্ত বড় জঘন্য মিথ্যাবাদীদের মুখোশ উম্মোচন করে দিন।কারো প্রতি কোন বিদ্বেষ ছড়ানো নয় বরং সত্য প্রকাশ করার জন্য এবং একজন মৃৎ আলেমের সম্মান রক্ষা করার জন্য এই প্রচেষ্টা।যেটা নাকি আমাদের ঈমানী কর্তব্য।
জনৈক আহলে হাদীস মুরাদ বিন আমজাদের চরম ধোঁকাবাজি-২
বিষয়: বিবিধ
৫৩৩৬ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আহলে কুরআন
আমাদের নবীজী সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, “আল্লাহ তাআলা আমাকে [কিতাবুল্লাহ] কুরআন দিয়েছেন [যা উম্মতের মাঝে তিলাওয়াত হিসেবে মুতাওয়াতির তথা নিরবচ্ছিন্ন সূত্র পরম্পরায় জারি]। তেমনি সুন্নতও দিয়েছেন। [যা উম্মতের মাঝে আমল হিসেবে মুতাওয়াতির]।
তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ শেষ জমানায় এমন একদল আসবে, যারা বলবে যে, আমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। সুন্নতের কোন প্রয়োজন নেই।”
এই দলটি রানী ভিক্টোরিয়ার আমলে এ উপমহাদেশে জন্মলাভ করেছে। সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দেয়ার জন্য নিজেদের নাম রেখেছে “আহলে কুরআন”।
আহলে কুরআন নিজেদের নাম রেখে বলতে লাগল- “আহলে সুন্নতের উলামাগণ মিথ্যা কথা বলছে যে, আহলে কুরআন নাকি নতুন ফিরক্বা। আসলে আহলে কুরআনতো সেই দিন থেকে শুরু হয়েছে যেদিন থেকে হেরা গুহায় কুরআন নাজিল শুরু হয়েছে। যেসব সাহাবাগণ কুরআনের উপর ঈমান এনেছিল, তারা সবাই ছিলেন আহলে কুরআন। যেহেতু কুরআন হক, আর সুনিশ্চিত হক, সেখানে আহলে কুরআন হক হওয়ার ব্যাপারে কি করে সন্দেহ থাকতে পারে? যারা আহলে কুরআনকে ভ্রান্ত বলবে, তারা নাউজুবিল্লাহ কুরআনকে ভ্রান্ত প্রমাণ করুক। সকল তাবেয়ীগণ, তাবে তাবেয়ীগণ আহলে কুরআন ছিলেন। মুহাম্মদ বিন কাসেম ও আহলে কুরআন ছিলেন। তিনি না বুখারী পড়েছেন, না মুসলিম, না তিরমিজী, না নাসায়ী আবু দাউদ, তিরমিজী পড়েছেন। না এসব কিতাবে তার থেকে কোন হাদীস বর্ণিত আছে। যদি হাদীস ও সুন্নত মানা ইসলামের অংশ হতো তাহলে রাসূল সাঃ নিজের নেগরানীতে কুরআনে কারীমের মত হাদীসও সংকলিত করাতেন। আর সাহাবাগণ ও তাবেয়ীগণ উক্ত সংকলণকে সংরক্ষিত করে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছাতেন। যেমনিভাবে কুরআনে কারীমকে তারা আমাদের পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন।”
আহলে কুরআন নামধারীরা আরো বলে, “এসব সিহাহ সিত্তার মাঝে একটি হাদীসের কিতাবও খাইরুল কুরুনে বিদ্যমান ছিল না।” অপরদিকে কথিত আহলে হাদীস নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান সাহেব সিহাহ সিত্তার সকল সংকলককে অনারবী এবং পারস্যের বংশধর বলে উল্লেখ করেছেন। {আউনুল বারী, ইতহাফুল নুবালা}
এসব দেখে আহলে কুরআন নামধারীরা আরো বেশি সুযোগ পেয়ে যায়। বলতে থাকে, “কুরআন হল আরবী আর হাদীস হল ইরানী”।
এ ভ্রান্ত ফিরক্বাটি কুরআনের ফযীলত এবং কুরআন হিফজের ফযীলত সম্বলিত সকল বর্ণনাকে নিজেদের উপর ফিট করে থাকে। আর কুরআন মানার নামে হাদীসকে অস্বিকার করে থাকে।
আহলে হাদীস
সুন্নত অস্বিকার করার যে পদ্ধতি আহলে কুরআন নামধারীরা অবলম্বন করে তা ছিল সাধারণ মুসলমানদের সমঝের বাহিরে। তারা এটিকে মন থেকে গ্রহণ করতে পারেনি। শুধুমাত্র ইংরেজী শিক্ষিত কিছু ব্যক্তি এ ধোঁকায় বিভ্রান্ত হয়ে যায়। সাধারণ মুসলমানদের মন থেকে সুন্নতের প্রতি মোহাব্বতের বিজ উপড়ে ফেলতে নতুন কৌশলে নরম পদ্ধতি অবলম্বন করা হল। আরেকটি নতুন দলের সূচনা হল। নাম দেয়া হল আহলে হাদীস।
আহলে হাদীস নামধারীরাও আহলে কুরআন নামধারীদের মত বলতে লাগল- “যেহেতু হাদীস হক, তাই আহলে হাদীসও হক। যখন থেকে হাদীস তখন থেকেই আহলে হাদীস বিদ্যমান। আহলে হাদীসকে ভ্রান্ত প্রমাণ করতে হলে হাদীসকে ভ্রান্ত প্রমাণ করতে হবে।”
এ আহলে হাদীস ফিরক্বাটি সুন্নত, হাফেজে হাদীস এবং মুহাদ্দিসীনে কেরামের ফযীলত সম্বলিত যত হাদীস বর্ণিত সবই নিজেদের উপর ফিট করতে শুরু করে দিল।
এ দলটির সকল মেহনত ও আগ্রহ শুধু মতভেদপূর্ণ হাদীসের দিকেই হয়ে থাকে। মতভেদপূর্ণ হাদীসের মাঝেও ঐ হাদীসটি পছন্দ করে থাকে, যা কুরআনে কারীমের বক্তব্যের বিপরীত হয়ে থাকে। প্রতিটি ঐ হাদীসটি পছন্দ করে থাকে, যা রাসূল সাঃ এর সুন্নত এবং খুলাফায়ে রাশেদীন রাঃ ও খাইরুল কুরুনের মুতাওয়াতির আমলের খেলাফ।
কুরআন ও সুন্নতের খেলাফ হাদীসের উপর আমল করে নিজেদের হাদীসের উপর আমলকারী দাবি করে থাকে। আর কুরআন ও সুন্নতের মুয়াফিক হাদীসকে জঈফ এবং জাল-বানোয়াট বলে কুরআন ও সুন্নতের উপর আমলকারীদের রায়পূজারী বলে কটাক্ষ্য করে থাকে। ইজতিহাদ ও কিয়াসকে ইবলিসের কাজ, ইজতিহাদী মাসায়েলে মুজতাহিদের তাকলীদকে শিরক, চার ইমামের খেলাফ দুই ফরজ নামাযকে একত্রে পড়াকে জায়েজ, খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত বিশ রাকাত তারাবীহকে বিদআত এবং সুতার পাতলা মোজার উপর মাসাহকে জায়েজ বলার প্রবক্তা। সেই সাথে ইজমা হওয়া মাসায়েলকেও অস্বিকার করে থাকে।
সাধারণ মানুষ: শায়খ, আপনাদের ইমাম কাযী শাওকানী এদেরকে ওলী- আল্লাহ বলেছে।
সালাফী শায়খ: বেয়াদব কোথাকার। শাওকানী আমাদের ইমাম। তার সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না।
সাধারণ মানুষ: শায়খ ওসীলা করে দুয়া করার মাসআলাটা একটু বলেন।
সালাফী শায়খ: ওসীলা করে দুয়া করা শিরক।
সাধারণ মানুষ: কাযী শাওকানী ওসীলা করে দুয়া করাকে জায়েজ বলেছেন।
সালাফী শায়খ: তুমি তো দেখছি চরম বেয়াদব। সব গোপন খবর টেনে বের করছো।
সাধারণ মানুষ: বেয়াদবি মাফ করবেন। সূফীদের যিকির ওজীফা ও সূফীদের তরীকা সম্পর্কে কী বলেন?
সালাফী শায়খ: সব বেদয়াত। সুফীরা সব পথভ্রষ্ট।
সাধারণ মানুষ: শুনেছি কাযী শাওকানী নকশবন্দিয়া তরিকায় যিকিরের সবক নিয়েছেন।
সালাফী শায়খ: তুমি তো দেখছি আচ্ছা বেয়াদব। তুমি জানো কাজী শাওকানী আমাদের কতো বড় ইমাম?
সাধারণ মানুষ: শায়খ আল্লাহর নাম ও গুণাবলি বিষয়ক আয়াত ও হাদীসের ব্যাখ্যা যেমন আল্লাহর হাত, পা, চোখ ইত্যাদির ব্যাখ্যা করার হুকুমটা একটু বলেন।
সালাফী শায়খ: ব্যাখ্যা করা মানে অস্বীকার করা। যারা আল্লাহর গুণাবলী বিষয়ক আয়াত ও হাদীসের ব্যাখ্যা করে তারা জাহমিয়া।
সাধারণ মানুষ: আপনাদের ইমাম কাজী শাওকানী তো এগুলোর ব্যাখ্যা করেছেন।
সালাফী শায়খ: বেয়াদবির একটা সীমা থাকা উচিৎ। তুমি কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো।
সাধারণ মানুষ: আমারা জানি, শিয়ারা খারাপ। ওরা ভ্রষ্ট?
সালাফী শায়খ: হ্যা। শিয়ারা খারাপ। তারা পথভ্রষ্ট।
সাধারণ শায়খ: কাজী শাওকানী তো যায়দী শিয়া ছিলো।
সালাফী শায়খ: বেয়াদব বলে ইদুরের গর্তে দৌড়ানি
আপনি কোন আহলে হাদীস ? ???????????
কোন আহলে হাদীস জান্নাতে যাবে ?
♦জমিয়তে আহলে হাদীস
♦আহলে হাদীস আন্দোলন
♦অল ইন্ডিয়া আহলে হাদীস
♦আঞ্জুমানে আহলে হাদীস বাঙ্গালা ও আসাম
♦নিখিল বঙ্গ ও আসাম জমঈয়তে আহলে হাদীস
♦পূর্ব পাকিস্তান জমঈয়তে আহলে হাদীস
♦আহলে হাদীস যুবসংঘ
♦জামা’য়াতে আহলে হাদীস
♦বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস
♦জমঈয়তে শুব্বানে আহলে হাদীস
♦আহলে হাদীস তবলীগে ইসলাম বাংলাদেশ —
______________________________________________________
হানাফীদের অধিকাংশ হাদীস বুখারী ও মুসলিমে নেই এ অভিযোগটি করে কতিথ আহলে হাদীসরা মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। তারা শুধু সহীহ বুখারী, সহীহ বুখারী বলে লাফালাফি করেন । আচ্ছা ইমাম বুখারী , ইমাম মুসলিম কি কোথাও লিখেছেন যে সহীহ হাদীস শুধুমাত্র বুখারী বা মুসলিমেই সীমাবদ্ধ ??? এর কোন দলীল আছে কি আপনাদের কাছে ???
বুখারী, মুসলিম বা সিহাহ সিত্তার বাইরে কি সহীহ হাদীস নেই ?? সিহাহ সিত্তার বাইরেও তো অনেক সহীহ হাদীসের কিতাব আছে যেমনঃ সহীহ ইবনে খুযাইমা , সহীহ ইবনে হিব্বান, সহীহ ইবনে আওয়ানা, সহীহ ইবনুস সাকান , সহীহ হাকিম নিশাপুরী, আল মুনতাকা , মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ইত্যাদি ।।
ইমাম বুখারী (রহ বলেনঃ আমি একবার ইসহাক বিন রাহওয়াইহ্ এর কাছে ছিলাম, আমাদের এক সাথী আমাদেরকে বললো, "যদি কেউ রসূলুল্লাহ (স এর হাদীসের সংক্ষিপ্ত সংকলন করতো ! এই কথা আমার অন্তরে বসে গেলো, অতঃপর আমি এই কিতাব সংকলন করতে লেগে গেলাম ।
ইমাম হাযিমী (রহ নিজে ইমাম বুখারী (রহ এর উক্ত বাণী বর্ণনা করার পর বলেনঃ "এর দ্বারা স্পষ্ট হলো যে, ইমাম বুখারী (রহ এর উদ্দেশ্য হাদিসের উপর একটি সংক্ষিপ্ত কিতাব রচনা করা । তিনি পৃথিবীর সকল সহীহ হাদিস লেখার ইচ্ছা করেন নি । এবং সহীহ বুখারী হলো তার শর্ত ও মত অনুযায়ী সহীহ হাদীসের ( সংক্ষিপ্ত ) সংকলন ।
( শুরুতুল আইম্মা খামছাহ, পৃষ্ঠা - ১৬৩, আল ইমাম ইবনুমাজাহ, পৃষ্ঠা-১০৪)
ইমাম হাযিমী (রহ স্বীয় সনদে ইমাম বুখারী (রহ এর এই কথাও বর্ননা করেন যে, আমি এই কিতাবে শুধুই সহীহ হাদীস বর্ননা করবো, তবে আমি সহীহ হাদীস থেকেও অনেক হাদীস ছেড়ে দিয়েছি ।
( শুরুতুল আইম্মা খামছাহ, পৃষ্ঠা - ১৬০ , আল ইমাম ইবনুমাজাহ, পৃষ্ঠা-১০৪)
ইমাম মুনলিম (রহ বলেনঃ " আমার কাছে যে সকল হাদীস সহীহ, সে সকল হাদীসের সমস্ত আমি এখানে উল্লেখ করিনি ।
( শুরুতুল আইম্মা খামছাহ , পৃষ্ঠা - ১০৭ , আল ইমাম ইবনুমাজাহ, পৃষ্ঠা-১০৪)
আবু বকর হাযিমী (রহ , ইমাম মুসলিম (রহ এর এই উক্তি বর্ননা করেন যে, ইমাম মুসলিম (রহ বলেনঃ আমি এই কিতাব লিপিবদ্ধ করেছি এবং ইহা সহীহ ( হাদীসের কিতাব) । আমি এই কথা বলিনা যে, এই কিতাবে যে সকল হাদীস আমি লিপিবদ্ধ করিনি তা য'ঈফ । তবে আমি এই কিতাবে সহীহ হাদীস থেকেই হাদীস লিপিবদ্ধ করেছি , যেন আমার কাছে এবং আমার ছাত্রদের কাছে সন্দেহ মুক্ত সহীহ হাদীসের একটি সংকলন থাকে । এবং আমি ইহা বলি না যে , এই কিতাবে লিপিবদ্ধ ছাড়া অন্যান্য হাদীস য'ঈফ ।
( শুরুতুল আইম্মা খামছাহ, পৃষ্ঠা - ১০৭ , আল ইমাম ইবনুমাজাহ, পৃষ্ঠা-১৮৯ )
ইমাম সুয়ূতী (রহ স্বীয় গ্রন্থে উল্লেখ করেন, " ইমাম বুখারী (রহ এবং ইমাম মুসলিম (রহ সকল সহীহ হাদীসকে তাদের কিতাবে আয়ত্ত করেননি। এবং সকল সহীহ হাদীস আয়ত্ত করাকে কর্তব্য রুপেও গ্রহন করেন নি ।
ইমাম বুখারী (রহ বলেনঃ "আমি কিতাবে ( বুখারীতে) শুধু সহীহ হাদীসই অন্তরভূক্ত করেছি এবং দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেক সহীহ হাদীসকেও ছেড়ে দিয়েছি ।
তাছাড়া বুখারী ও মুসলিমের সমমানের হাদীস , হাদিসের অন্যান্য প্রসিদ্ধ গ্রন্থেও বিদ্যমান আছে ।
হাফেয ইবনে কাছীর (রহ স্বীয় গ্রন্থে উল্লেখ করেন, "ইমাম আহমাদ (রহ এর মুসনাদে " এমন বহু হাদীস আছে যা "মুসলিমের " হাদিসের সমমানের এবং বুখারীরও সমমানের আর সে হাদীস "বুখারী " তেও নেই , " মুসলিমে"ও নেই, " আবূ দাউদ ", "তিরমিযী ", " নাসায়ী " , " ইবনে মাজাহ " তেও নেই ।
এমনিভাবে ইমাম তবারানী (রহ এর দুই মু'জাম "আল-কাবীর " ও " আল- আওসাত " এবং ইমাম আবু ইয়া'লা ও ইমাম বাযযার (রহ এর " মুসনাদে "ও এমন হাদীস আছে যে, হাদীসের বর্ননাকারী রাবীর অবস্হার প্রতি দৃষ্টি এবং হাদীসটা ক্ষতিকারক দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত থাকার কারনে হাদীস শাস্ত্রের গভীর জ্ঞানী আলেমদের জন্য হাদীসকে "বুখারী " , " মুসলিম " এর সমমান হাদীস বলা সম্ভব হয় ।
।
( শুরুতুল আইম্মা খামছাহ, পৃষ্ঠা - ১০৯ , আল ইমাম ইবনুমাজাহ, পৃষ্ঠা. ৩৭-৩৮৩৭-৩৮ )
সারমর্ম : উপরোউল্লেখিত পর্যালোচনা থেকে যে সিদ্ধন্ত গুলো পাওয়া যায় :
১। " সহীহ হাদীস " শুধুমাত্র "বুখারী " ও "মুসলিমে " ই সীমাবদ্ধ নয় ।
২। হানাফীদের অধিকাংশ হাদীস "বুখারী " এবং "মুসলিম " এ না থাকা দোষণীয় নয়। অন্যদিকে ইমাম আবু হানীফা (রহ এর যুগে ইমাম বুখারী (রহ ও ইমাম মুসলিম (রহ তাদের মাতৃগর্ভেও আসেন নি তাই হানাফীদের হাদীস "বুখারী " ও "মুসলিম" এ থাকতেই হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই । যদিও হানাফীদের অনেক হাদীস "বুখারী" ও "মুসলিম" এ আছে ।
৩। "বুখারী " ও "মুসলিম" ছাড়া অন্যান্য হাদীসগ্রন্থেও " বুখারী "ও " মুসলিম" এর সমমানের হাদীস আছে ।
সুতরাং যে সকল " তথাকথিত আহলে হাদীস " বন্দুরা সহীহ, সহীহ বলে চিৎকার করেন এবং আলবানির সহীহ মানেন তারা অবশ্যই এই বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন ।।
বহুদিন যাবত আমাদের দেশের প্রচলিত আহলে হাদীস ভাইদের বিভিন্ন লেখা পড়ছি। সবই বেশিরভাগ নামাযের আংশিক কিছু মাসায়েল নিয়ে। আর তাবলীগ ও দেওবন্দী উলামায়ে কেরাম নিয়ে।
কিন্তু আফসোস! আজ পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ নামাযের বই তাদের কাছ থেকে পেলাম না।
মানে কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে পূর্ণাঙ্গ নামাযের বই দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি।
বহু খুজছি। কিন্তু কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে পূর্ণাঙ্গ নামাযের বই কোথায়? যে বইয়ের মাঝে পাবো নামাযের প্রতিটি রুকন প্রতিটি বিধান সরাসরি কুরআন ও হাদীস থেকে নেয়া। নামায সংক্রান্ত মার্কেটে কিছু বই পাচ্ছি আহলে হাদীস ভাইদের লেখা। কিন্তু একটু পড়েই মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, কুরআন ও হাদীস রেখে হযরতরা খালি আলবানী, ইবনে তাইমিয়া, বিন বায, উসাইমিন প্রমূখ হযরতদের ফাতাওয়া দিয়ে মাসআলা প্রমাণ করছেন।
একি কান্ড! সহীহ হাদীস রেখে এসব কেন? সহীহ হাদী'স রেখে ব্যক্তির ফাতওয়া দিয়ে যদি নামায সাব্যস্ত করতে হয়, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভগ্য আর কী হতে পারে?
কিন্তু আফসোস! পাচ্ছি না। কেউ কি আমাকে সাহায্য করবেন?
কেউ কি আমাকে সঠিক ও খাটি আহলে হাদীস হতে এগিয়ে আসবেন?
নামাযে দাঁড়াতেই আমার মাথায় প্রশ্নের পাহাড় চাপে। কিন্তু আহলে হাদীস ভাইয়েরা এসবের হাদীস ভিত্তিক জবাব দিয়ে কেন আমার মনকে প্রশান্ত করে না?
১- নামাযে দাঁড়াতেই আমি মুসল্লি হলে আস্তে তাকবীর বলতে হয়, ইমাম বলে জোরে জোরে। কেন করা হয় এ বৈষম্য?
এ বৈষম্য কোন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?
২- তাকবীর বলার সময় আমি যদি ভুলে আল্লাহু আজামু বলে ফেলি, কিংবা আল্লাহুস সামাদ বলে ফেলি আমার নামায হবে কি? কোন সহীহ হাদীসে এর সমাধান না পেয়ে আমার মাথা শুধু ঘুরেই চলছে। কে বাঁচাকে আমাকে?
৩- হাত না উঠিয়ে যদি তাকবীর বলে হাত বেঁধে ফেলি তাহলে আমার নামায হবে কি?
একটি সহীহ হাদীসও আমি জানতে পারছি না। আহলে হাদীস ভাইয়েরা আমাকে সাহায্য করেন। আমাকে সহীহ হাদীস ভিত্তিক নামায পড়তে সহযোগিতা করুন।
৪- ইমামের পিছনে যদি আমি তাকবীর ইচ্ছেকৃত চিল্লিয়ে বলে উঠি, তাহলে আমার নামাযের কি হবে? হবে কি? সহীহ হাদীসে এর কোন সমাধানই পাচ্ছি না। দয়া করে আমাকে বাঁচান।
৫- নামাযের সুনির্দিষ্ট ফরজ কয়টি? কয়টি সুনির্দিষ্ট ওয়াজিব? কয়টি সুনির্দিষ্ট সুন্নত? কয়টি সুনির্দিষ্ট মুস্তাহাব। এসবকে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত আর মুস্তাহাবে বিভাজন করে কোন সহীহ হাদীস আছে বলে আমি অজ্ঞ বলে পাচ্ছি না। আর এসব ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত-মুস্তাহা বের হুকুমই বা কি একটি সহীহতো দূরে থাক দুর্বল হাদীসও আমি অধমের চোখে পড়ছে না।
কি করি বলুনতো্ তাকবীরা তাহরামার উপরই অসংখ্য মাসআলার কোন সমাধান আমি অধম সহীহ হাদীস থেকে পাচ্ছি না।
আর কিয়াম, রুকু সেজদা, আখেরী বৈঠক সালাম ইত্যাদি আর নাই বললাম, অসংখ্য মাসায়েলের কোন সামান্য প্রমাণও পাচ্ছি না সহীহ হাদীসে।
অন্তত আমাকে দয়া করে উপরের ৫টি বিষয়ের সমাধান সহীহ হাদীস ভিত্তিক করে দিয়ে আহলে হাদীস হতে সহযোগিতা করুন।
কেউ কি আছেন আমাকে আহলে হাদীস হতে সহযোগিতা করতে??????????????????????????
১. ইংরেজ শাসনামলের পূর্বে তোমাদের দলের নেতা কে ছিল ?
২. কেন তোমরা ইংরেজদের কাছ থেকে আহলে হাদীস নামে নিজেদের দলের নামটা রেজিষ্ট্রেশন করেছ?
৩. তখন কেন তোমরা আলেমদের বিরুধিতা করতে গিয়ে জিহাদকে হারাম ফতোয়া দিয়েছিলে ?
৪. ওমর (রা.) যখন ২০ রাকাত তারাবীহ চালু করেন, তখন কেন তোমরা তাঁর বিরুধিতা করনি ?
৫. কেন তোমরা বিরুধিতা করোনি যখন তিন তালাকে তিন তালকই হওয়ার ব্যাপারে ইজমা প্রতিষ্ঠিত হলো?
৬. কেন তোমরা শরীয়তের অন্যতম একটি ভিত্তি ইজমাকে অস্বিকার করার পাশা পাশি বর্তমানের কুরআন তেলাওয়াত করে থাকো ? কেননা সাত হরফের মধ্য থেকে ছয় হরফকে বিলুপ্ত করে এক হরফের উপর এই কুরআন প্রতিষ্ঠিত। যা ইজমা দ্বারা প্রমাণিত।
৬. কেন তোমরা ইবনে তাইমিয়া ও আলবানির কথা দ্বারা দলীল পেশ করো ? অথচ তোমরাই বলে থাকো যে, তাকলীদ করা হারাম ও এটা কুফূরী।
৭. নিজেদেরকে আহলে হাদীস দাবী করো এবং বলে বেড়াও যে, তোমরা হাদীস মানো।
এমন কোন একটা হাদীস কি তোমরা দেখাতে পারবা যেখানে রাসূল (সা.) হাদীস মানার জন্য বলেছেন ?
৮. রাসূলের যুগের পর থেকে নিয়ে খায়রুল করুনের তিন যুগের মধ্য থেকে এমন কাউকে কি দেখাতে পারবা, যিনি নিজেকে আহলে হাদীস দাবী করেছেন ?
৯. তোমাদের আহলে হাদীসদের হাদীসের কিতাবগুলো কোথায় ?
১০. তোমরা কথায় কথায় গালি গালাজ করো এবং কাফের ফতোয়া দিয়ে থাকো। তোমরা এই গালি গালাজ ও কাফের বলা অনুমতিটা কোথায় পেয়েছ রেফারেন্স দাও ?
***আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা’আর আক্বীদা হল . . .
যারা আল্লাহ তায়ালার হাত, চেহারা ইত্যাদি দ্বারা আল্লাহর অঙ্গ বা অংশ আছে বলে বিশ্বাস করে তারা সুস্পষ্ট কুফুরী করে। আল্লাহ তায়ালা অঙ্গ-প্রতঙ্গ থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। তিনি অংশ থেকে পবিত্র।
আমাদের দলীল-
(সূরা শুরার ১১ নং আয়াত ও সূরা ইখলাস আমাদের দলিল। সংক্ষিপ্ত কথা হলো, বিভিন্ন অঙ্গ বা অংশ মিলিত হয়ে যে অস্তিত্ব লাভ করে সে মুরাক্কাব বা যৌগিক। আমরা আল্লাহ তায়ালাকে একক বলে বিশ্বাস করি। তার কোন অংশ নেই, তার সমতুল্য কিছু নেই। বিভিন্ন অংশ বা অঙ্গ নিয়ে যে যৌগিক গঠন হয়, সেটি মাখলুক বা সৃষ্ট। এধরনের যৌগিক সত্বা আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত।
***অথচ আহলে হাদীস/সালাফীরা বলে যে,
আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে, তিনি নিরাকার নন। তিনি শুনেন, দেখেন এবং তাঁর হাত, পা, চেহারা, চোখ ইত্যাদি আছে।
***আচ্ছা ভাইরা আপনার এই কথাগুলোর জবাব দিন দেখি . . .
১.
সূরা কাসাসের ৮৮ নংআয়াতের অংশবিশেষের প্রতিএকটু খেয়াল করুন- لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۚ كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ
এখানে শাব্দিক অর্থ করলে অর্থটা হয় এরকম- "তিনি(আল্লাহ) ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তাঁর চেহারা ব্যতিত সবকিছুই ধ্বংস হবে।" এখন যদি বলা হয় আল্লাহর হাত, চোখ, চেহারা ইত্যাদি আছে তাহলে এই আয়াতের
অর্থ কী এরকম দাঁড়ায় না যে- আল্লাহ তাআলার হাত পা ইত্যাদি সবকিছই ধ্বংস হবে শুধু তাঁর চেহারা ব্যতিত(নাউযুবিল্লাহ)।
২.
পবিত্র কুরআনে আল্লাহর এক হাতের কথা আসছে يد الله فوق أييديهم (আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর), দুই হাতের কথা قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسْجُدَ لِمَا خَلَقْتُ بِيَدَيَّ ۖএখানে দুই হাতের কথা আছে। সূরা ইয়াসীনে রয়েছে, أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا خَلَقْنَا لَهُمْ مِمَّا عَمِلَتْ أَيْدِينَا أَنْعَامًا فَهُمْ لَهَا مَالِكُونَ এখানে তিন থেকে অসংখ্য হাতের কথা রযেছে। এবার আপনি বলুন আল্লাহ হাত কতগুলো?
৩.
ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, يدالله فوق أيديهم و ليست كأيدي خلقه و ليست بجارحة অর্থ: //আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর, আল্লাহর হাত তার সৃষ্টির হাতের মতো নয়। আল্লাহর হাত কোন অঙ্গ নয়// সূত্র: আল-ফিকহুল আবসাত। ইমাম আবু হানিফা রহ. আল -ফিকহুল আকবারে বলেছেন, //আল্লাহর হাত আল্লাহর একটি গুণ।// সুতরাং আল্লাহর হাত দ্বারা ইমাম আবু হানিফা রহ. আল্লাহর একটি বিশেষ গুণ উদ্দেশ্য নিয়েছেন। এটি আল্লাহর কোন অঙ্গ বা অংশ নয। আপনার ইলম আপনার গুণ, আপনার হাত আপনার কোন গুণ নয়। সুতরাং আল্লাহর হাতের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফা রহ. হাতের প্রচলিত অর্থ উদ্দেশ্য নেননি বরং এটিকে আল্লাহর বিশেষ গুণ সাব্যস্ত করেছেন। ইমাম আবু হানিফা রহ. এর বক্তব্য লক্ষ্য করুন, //আল্লাহর হাত কোন অঙ্গ নয়//
৪.
" আল ফিকহুল আকবর " কিতাবের হাওয়ালা দিতে অনেককেই দেখি। আসুন দেখি ওখানে কি বলা আছে -
وله يد ووجه ونفس فما ذكره الله تعالى في القرآن من ذكر الوجه واليد والنفس فهو له صفات بلا كيف ولا يقال إن يده قدرته او نعمته لأن فيه إبطال الصفة وهو قول أهل القدر والاعتزال ولكن يده صفته بلا كيف وغضبه ورضاه صفتان من صفاته بلا كيف
আল্লাহ্ তাআলার হাত, চেহারা ও নফস রয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরআনে চেহারা, হাত ও নফস সম্পর্কে যাই উল্লেখ করেছেন, সেগুলো তাঁর এমন গুন, যা “বিলা কাইফ” (অর্থাৎ যার প্রকৃত অবস্থা আল্লাহই ভাল জানেন)।
এখানে একথা বলা যাবে না যে, তাঁর হাত দ্বারা তাঁর কুদরত বা নেয়ামত উদ্দেশ্য। কেননা এতে করে আল্লাহ্র গুনাবলিকে অস্বীকার করা হয়। যা মূলত আহলুল কদর ও মুতাযিলাদের মত।
বরং আল্লাহ্র হাত তাঁর একটি গুন। এবং আল্লাহ্র রাগ ও সন্তুষ্টিও তাঁর গুণাবলির মধ্য থেকে দুটি গুন। যা “ বিলা কাইফ” (অর্থাৎ যার প্রকৃত অবস্থা আল্লাহই ভাল জানেন)
_ ____ আহলে হাদীস একটি বিভ্রান্ত ফিরকা ¤*¤
বস্তুতঃ হাদীস ও সুন্নাহ এক জিনিস নয়, বরং এ দুইয়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে । উম্মতের জন্য দ্বীনের উপর চলার অনুসরনীয় পথ কে সুন্নাহ বলে ।
আর"প্রত্যেক সুন্নাহই হাদীস কিন্তু সকল হাদীসই সুন্নাহ নয়।"অর্থাৎ দ্বীনের উপর চলার জন্য উম্মত সকল হাদীসকেই অনুসরন করতে পারবে না যদিও সেই হাদীসটি"সহীহ্"হয়। কেননা অনেক সহীহ্ হাদীস আছে যা অন্য সহীহ হাদীস দ্বারা রহিত হয়ে গিয়েছে বা তা পূর্বের বিধান ছিল কিন্তু পরবর্তীতে রসূলুল্লাহ (সঃ) এর হুকুম দ্বারা রহিত হয়ে গিয়েছে ।
নিম্নে কিছু হাদীস উদাহারন স্বরুপ তুলে ধরলামঃ
১. সহীহ্ বুখারীর কিতাবুল জানায়েযের ১৩০৭ থেকে ১৩১৩ নং হাদীস সমূহ । এসব হাদীসে জানাযা বহন করে নিয়ে যেতে দেখলে সকলকে দাঁড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে । অথচ এই বিধান এই বিধান অন্যান্য সহীহ্ হাদীস দ্বারা রহিত হয়ে গিয়েছে ।
( উমদাতুল কারী ৬/১৪৬)
২. ইসলামের প্রথম যুগে নামাযরত অবস্থায় কথা বলা, সালাম দেওয়া , সালামের উত্তর দেওয়া সবই বৈধ ছিল । কিন্তু পরবর্তীতে এই বিধান রহিত হয়ে যায়।
( সহীহ্ বুখারী হা. নং- ১১৯৯, ১২০০)
৩. ইসলামের প্রথম যুগে বিধান ছিল যে, আগুনে রান্নাকৃত খাদ্য গ্রহন করলে উযু ভেঙ্গে যাবে । কিন্তু পরবর্তীতে এই বিধান রহিত হয়ে যায় ।
( সহীহ্ বুখারী, হা.নং- ২০৮)
৪. নবীজী ( সঃ) হিজরতের পর মদীনায় ১৬/১৭ মাস বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায আদায় করেছেন । কিন্তু পরবর্তীতে এই বিধান রহিত হয়ে যায়।
( সহীহ্ বুখারী হা. নং- ৭২৫২)
এগুলো সবই সহীহ্ হাদীস কিন্তু সুন্নাহ নয়। অর্থাৎ এই হাদীসগুলো উম্মতের জন্য অনুসরনীয় নয়।
৫. এমন অনেক হাদিস আছে যার বিধান নবীজী (সঃ) এর সঙ্গে নির্দিষ্ট । উম্মতের জন্য তার উপর আমল করা বৈধ নয়। যেমনঃ বহু হাদিসে রসূলুল্লাহ (সঃ) এর ১১টি বিবাহের কথা এবং মহর দেওয়া ছাড়া বিবাহ করার কথা এসেছে। তো এগুলো হাদিস বটে কিন্তু উম্মতের জন্য অনুসরনীয় নয় ।
( সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ ১১/ ১৪৩-২১৭)
৬. হাদীসে এমন অনেক আমলের কথা বর্ণিত আছে যা রসূলুল্লাহ (সঃ) কখনো কোন বিশেষ প্রয়োজনে করেছেন । যেমনঃ কোমরে ব্যথা থাকার কারনে কিংবা এস্তেন্জা করার স্থানে বসার দ্বারা শরীরে বা কাপড়ে নাপাকি লাগার অশংঙ্কায় তিনি সারা জীবনে মাত্র ২বার দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন। কিন্তু হাদিসের বর্ণনায় এসব কারনের কথা উল্লেখ নেই । শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে পেশাব করার কথা আলোচিত হয়েছে। তো এই হাদিসের উপর আমল করে কি দাঁড়িয়ে পেশাব করাকে সুন্নাহ বলা যাবে ??? অনুরুপভাবে রসূলুল্লাহ (সঃ) ইহরাম অবস্থায় এবং রোযা অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন।
( সহীহ্ বুখারী, হা.নং- ১৯৩৮)
তাই বলে কি ইহরাম ও রোযা অবস্থায় শিঙ্গা লাগানোকে সুন্নাহ বলা যাবে ???
৭. কাজটি বৈধ একথা বুঝানোর জন্যও রসূলুল্লাহ (সঃ) অনেক কাজ করেছেন।যেমনঃতিন ি একবার তার নাতনী উমামা বিনতে যয়নবকে কোলে নিয়ে নামায পড়িয়েছেন।( সহীহ্ বুখারী,হা. নং- ৫১৬)
আবার তিনি রোযা অবস্থায় তার এক স্ত্রীকে চুম্বন করেছেন ।
( সহীহ্ বুখারী ,হা.নং- ১৯২৮) ।
এই উভয় ঘটনাই হাদিসে এসেছে । এর দ্বারা রসূলুল্লাহ (সঃ) বুঝাতে চেয়েছেন যে, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে শিশ্ত কোলে নিয়ে নামায পড়া বা পড়ানো যেতে পারে এবং রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা বৈধ, এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না । তাই বলে কি সব সময় শিশ্ত কোলে নিয়ে নামায পড়ানোকে কিংবা রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা সুন্নাহ বলা যাবে ???
উপর্যুক্ত আলোচনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে,"আহলে হাদীস"নামটিই সঠিক নয় । কারন রসূলুল্লাহ (সঃ) কোন বর্ননায়ই উম্মতকে হাদীস মানতে বলেন নাই , বলেছেন"সুন্নাহ"মানতে ।
তারপরও যারা নিজেদেরকে"আহলে হাদীস"বলে দ্বাবী করে তাদের উচিৎ ১১টি বিবাহ করা, মহর ছাড়া বিবাহ করা, ইহরাম ও রোযা অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো, রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা, দাঁড়িয়ে পেশাব করা ইত্যাদিকে সুন্নাত মনে করে আমল করা ।
অনুরুপভাবে জীবনে মাত্র ৩দিন মসজিদে এসে তারাবীহ এর নামায পড়া , নামাযরত অবস্থায় কথা বলা , সালাম দেওয়া , সালামের উত্তর দেওয়া । কারন এগুলোও তো হাদিসে এসেছে । কিন্তু তারা এসব করবে না । তাহলে হাদীস মানার দাবীদার হয়ে এসব হাদিসের উপর আমল না করে কিভাবে তারা আহলে হাদীস হল ???
আসল কথা হলো, তারা নিজেদেরকে"আহলে হাদীস"বললেও বাস্তবে মুখবাজি( বাগাড়ম্বরি ) ছাড়া কিছুই না ।
অপর দিকে রসূলুল্লাহ (সঃ) যেহেতু উম্মতকে সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে বলেছেন তাই সকল মাযহাব অনুসারীগন হাদিসের শুধুমাত্র সুন্নাহ অংশের অনুসরন করি এবং নিজেদেরকে"আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ"বলে পরিচয় দিই । অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সঃ) এর সুন্নাত মানি এবং সাহাবায়ে কেরামের জামা'আতকে অনুসরন করি ।
মূলকথা"আহলে হাদীস"নামটিই সঠিক নয় , এটি একটি বিভ্রান্ত নাম । হাদীসে রসূলুল্লাহ ( সঃ) এ নামে নাজাতপ্রাপ্ত সঠিক দলটিরও নামকরন করেন নি । আল্লাহ তা'আলা এই বিভ্রান্ত সম্প্রদায় থেকে আমাদের সবাইকেই হিফাজাত করুন এবং তাদের হেদায়েত দান করুন ।
তার বক্তব্যঃ- ''সরকারের আনুগত্য ফরয, জামাতের সহিংসতা ইসলামের চরম অবমাননা''
প্রথমে এই কাজ্জাব মতিউর রহমান হেফাজতে ইসলামের আমীর ' আল্লামা আহমদ শফি ( দা বা ) কে নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে । আল্লামা শফি সাহেবের কিতাব হতে ভুল খুঁজার চেষ্টায় জিকিরের ভুল ব্যাখ্যা করেছে; যার জবাব আমাদের উলামারা শক্ত ভাবে দিয়েছে । এখন সে সৌদি আরবে বসে বাংলাদেশের সরকার বিরুধি দলগুলো সহিংসতা করছে বলে গায়েবি খবর দিয়ে আওয়ামীলীগের জুলুমকে আড়াল করে তামাশা শুরু করেছে ।
বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ সরকার হাতে মুসলমানের খুন লেগে আছে , সব ভুলে গিয়ে শুধু শাপলা চত্বরে ঘুমন্ত আলেম -উলামাকে বাতি নিভিয়ে, সত্য মিডিয়ার চোখ বন্ধ করে দিয়ে যেভাবে রাতের অন্ধকারে নির্মম ভাবে গুলি করে রক্তের হুলি খেলা হয়েছে সেটার জন্যও এই সরকারের পতনের চেষ্টা করা যাবেনা ? তবুও তার জুলুম সহ্য করে আনুগত্যই করতে হবে ?
"জামায়াত -শিবিরের ' সাথে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জুলুম - নির্যাতনের স্টীম রুলার চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের পুরো শক্তি এবং মিডিয়ার ব্যবহার করে অপ প্রচার চালানো হচ্ছে।
কিন্তু, হঠাত্ ' কথিত আহালে হাদিসের কথিত শাইখ ' মতিউর রহমান মাদানি' জামায়াত শিবিরের সহিংস আন্দোলন নাকি ইসলাম অবমাননা !!
আমি শুধু এটা বলতে চাই- বাংলাদেশের মিডিয়া এখন আওয়ামীলীগের গোলামি করছে , সত্য কে মিথ্যা বানিয়ে পেশ করছে ; সেখানে এই মাওলানা সাহেব সৌদি আরবে বসে কীভাবে দেখলেন দেশে জামায়াত শিবিরই সহিংস আন্দোলন করছে ?
তার আসলে সমস্যা কি ? একবার সে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে ,আরেকবার আল্লামা আহমদ শফি ( দা বা ) বিরুদ্ধে , কখনো সে তাবলীগের বিরুদ্ধে, কখনো দেওবন্দি-কওমিদের বিরুদ্ধে অথবা কখনো সে চরমোনাই এবং জামায়াত - শিবিরেরর বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছে !!
(প্রথম কমেন্টে দেখুন আহলে হাদীস ও সালাফীরা কি বলে ডা. জাকির নায়েক সম্পর্কে)
সালাফীদের সম্পর্কে ডাঃ জাকির নায়েক বলেছেন,
Sheikh Nasiruddin Albani says we should call ourselve salafi. My question is which Salafi, my counter question Do you know how many Salsfi are there? Are you Kutubi, Sururi, or Madkhali. I can name another Salafi.
“শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী বলেন, আমাদের নিজেদেরকে সালাফী বলা উচিৎ। আমার প্রশ্ন হল, কোন্ সালাফী? আমার উল্টো প্রশ্ন, তুমি কি জানো, সালাফীদের কতগুলো গ্র“প আছে? তুমি কি “কুতুবী, সুরুরী না কি মাদখালী? আমি সালাফীদের আরও অনেক গ্র“পের নাম বলতে পারব।”
[[ http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0 ]]
“But even in Salafi there are various groups and if you go to U.K. Mashallah! Subhanallah! Allahu Akbar! There are so many groups. In U.K each group fighting against the other, calling the other Salafia kafir, Nauzubillah! . . . Which salafia do you belong to?
“সালাফীদের নিজেদের মধ্যেই অনেক গ্র“প রয়েছে। তুমি যদি যুক্তরাজ্যে যাও, মাশাআল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! আল্লাহু আকবার! সেখানে সালাফীদের অনেক গ্র“প। একদল আরেকদলকে কাফের বলে তাদের সাথে ফাইট করছে, নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং তুমি কোন সালাফী?
[ http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0 ]
তোমরা যারা ধোঁকায় পড়ে আহলে হাদীস হয়েছো, তাদের সম্পর্কেও ডা. জাকির নায়েক খুব সুন্দর বলেছেন। ইউটিবে গিয়ে নিজ কানে শোনো।
ডাঃ জাকির নায়েক “ইউনিটি ইন দ্য মুসলিম উম্মাহ” শিরোনামের লেকচারে বলেছেন-
Ahle Hadith, which Ahle Hadith? In Bombay there are two Ahle Hadith, Jamiete Ahle Hadith, and Gurba Ahle Hadith. Which Ahle Hadith do you belong to? One Ahle Hadith is blaming the other Ahle Hadith.
“আহলে হাদীস! কোন আহলে হাদীস? বোম্বেতে আহলে হাদীসদের দু’টি দল রয়েছে, ১.জমিয়তে আহলে হাদীস ২.গুরবা আহলে হাদীস। তুমি কোন আহলে হাদীসের কোন গ্র“পের? এক আহলে হাদীস আরেক আহলে হাদীসকে দোষী সাব্যস্ত করছে”
তিনি আরও বলেছেন,
In the Ahle Hadith, I went to Kashmir, there are many groups of Ahle Hadith, I went to Kerala, Mujahidin - KNM, Kerala Nadvathul Mujahideen.
There, people don’t call themselves Ahle Hadith - Mujahideen. If you go to Saudi Arabia and say: I am Ahle hadith, what is this new Ahle hadith? Very few people of Saudis know who that Ahle Hadith. For them they know the Salafi. But Salafi and Ahle hadith belong to the same, groups or names are different. In some country Ansari, why?
“আহলে হাদীসদের মাঝেও অনেক গ্র“প রয়েছে। আমি কাশ্মীরে গিয়েছি, সেখানে আহলে হাদীসদের অনেক গ্র“প। আমি কেরালায় গিয়েছি, সেখানে তারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বলে না। তারা কেরালা নাদভাটুল মুজাহিদিন (কে.এন.এম) নামে পরিচিত। আপনি যদি সউদি যান সেখানে গিয়ে যদি বলেন, “আমি আহলে হাদীস, তারা বলবে, এ নতুন আহলে হাদীস আবার কারা? অধিকাংশ আরব জানে না যে, আহলে হাদীস কি? তারা সালাফী গ্র“পকে চেনে। যদিও সালাফী ও আহলে হাদীস একই দল, এদের নাম ভিন্ন। আবার দেখা যায়, একই দেশে এদের কোন গ্র“পের নাম আনসারী, এটি কেন????
[আহলে হাদীস ও সালাফীদের সম্পর্কে ডাঃ জাকির নায়েকের এ আলোচনাটি ইউটিউবে শিরোনামের পাওয়া যাবে- Dr.ZakirNaiktalksaboutsalafi_s_AHL EHADITHhttp://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0]
করে না ! কারণ হাদীসে টিস্যু
ব্যবহার নাই!
আহলে হাদীসরা নানু
হওয়া ছাড়া নামায পড়ে না!কারণ
বুখারি শরীফে আছে নবী কারীম [স]
তার দুই নাতীকে কাধে নিয়ে নামায
পড়েছেন
আহলে হাদিসরা মসজিদ নাপাক
করে!কেননা বুখারি শরীফে আছে মুহম্মদ
সঃ জুতা নিয়ে নামায পড়েছেন!
আহলে হাদিসরা টিভি দেখে না!
কেননা টিভি দেখা নিয়ে কৌনো হাদিস
নাই!
মন্তব্যঃ দেখুন
আহলে হাদিসরা কেমন আহলে হাদিস
যা উপরের একটাও মানে না!!!
আমাদের মসজিদে মিশরের একটি জামাত অবস্থান করছে। তাদের অধিকাংশই ভিন্ন মাজহাবের তথা হানাফী নয়। কিন্তু হানাফীদের সাথে সালাত আদায় করছে কোন প্রকার অভিযোগ ও বিতর্ক ছাড়া এবং এমন অনুপম আখলাক প্রদর্শন করছেন যা বলে বুঝানো যাবেনা। তাদের মাঝে একজন সালাফীও রয়েছে। কিন্তু তাকেও কোন অভিযোগ করতে দেখিনি। তার সাথে আমি কথা বলছিলম, সে সকল মাজাহাবের মুকাল্লিদের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ অচরণ করছেন এবং তাদের কোন দোষ চার্চা ও কোন সমালোনা করছেন না। তাকে আমি বললাম, আপনি তো সালাফী কিন্তু আমাদের দেশে কিছু নামধারী সালাফী ও আহলে হাদিস রয়েছে যারা সর্বদা মাজহাবের ইমামগণের সমালোচনা করে। কখনো তাদরেকে মুশরিক বলে কখনো বা বেদআতী বলে সম্বোধন করে। অথচ তাদের ৯৯% মানুষ কোরআন পড়তে ও বুঝতে পারেনা। কেবল অনুবাদ নির্ভর। সুন্নাতের কোন বালাই নেই। দাড়ি সেভ করা এবং প্যান্ট সার্ট ও টাইকে তারা খুব পছন্দ করে। ইসলামকে সাধারণ দুনিয়াদারদেরে স্বভাবের সাথে মিলিয়ে পালন করতে চায়। তারা সব চাইতে ওলামায়ে কেরামের সাথে বেয়াদবী করে। তাবলীগ জামাত ও কওমী মাদরাসাকে সব চাইতে বেশি সমালোচনা করে।
এবসব কথা শুনে প্রথমে সে আশ্চর্য হলো অতঃপর দীর্ঘক্ষণ হাঁসল। হা হা হা............. আহলে হাদীস হা হা হা .......... সালাফী......... ...... হা হা হা সালাফী......... ..........। কি বলে....... হা হা হা......। কুরআন পারেনা বুঝেনা অনুবাদ লাগে সুন্নাতকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করেনা তারা.......তারা আবার সালাফী আহলে হাদীস হয়????? হা হা হা। অতঃপর হাসি থামিয়ে স্বাভাবিক হয়ে বলল, মিসকীন......... ........ মিসকীন......... .. এরা অবুঝ........... ..... এরা ভ্রান্ত পথে রয়েছে। এরা নফসের পূজা করার জন্য এ পথ বেছে নিয়েছে। সালাফীরা কখনো মাজহাবের অনুসারীদের সমালোচনা করেনা। এবং ইমামগণকে যথপোযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করেন। এবং বলেন সবাই মুসলিম সবাইকে মুসলিম হিসাবে সম্মান করতে হবে। সকলের উদ্দেশ্য একটাই তা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি। সুতরাং একজনকে কাফের বলা বেদআতী বলা বস্তুত এটা তার উপর গিয়েই বর্তায়। এবং এসকল ফেতনা থেকে মুসলিমদেরকে হেফাজত করার জন্য দোয়া করেন।
তাকে জাকির নায়েক ও তার অসারত ও তার অপপ্রচার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন কে আবার জাকির নায়েক। তিনি বাংলাদেশে দাওয়াত ও তাবলীগ এবং কওমী মাদরাসার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের ভুয়সী প্রসংশা করেন। তারা হক জামাত বলে স্বীকৃতি দেন।
সাহাবায়ে কেরামের সমালোচানা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি লা হাওলা পড়ে আমাকে থামিয়ে দেন।
আমি বল্লাম আমাদের দেশে একটি নামধারী ইসলামি দল রয়েছে যারা সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করাকে বৈধ মনে করে এবং তারা অনেক স্থানে নবীগনের সমালোনা করে থাকে। একথা শুনে সে অগ্নীসর্মা হয়ে বলল রাখেন এসব বাতেলদের কথা!! এরা সবাই ভ্রান্ত!!!
এবার বুঝুন এদেশের সালাফী আর আরাবের সালাফদের মাঝে কি পার্থক্য।!!!
কেন বানর বানিয়েছিলেন জানেন তো আপনারা?????????? ¤*¤
বনী ইসরাঈলদের মধ্যে চরম সীমানার ইতরামি ও ভাদড়ামী ছিল(ওরা কেমন ইতরামি-ভাদড়ামী করত
আশাকরি তার ইতিহাস আপনারা জানেন) তাই আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন এদের মধ্যে একটি গোষ্টিকে বানর ই বানিয়ে দিলেন, সেই বনী ইসরাঈলের দুষ্টামীর উত্তর সূরীরা আজও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যাদের কাজই হল সত্যকে মিথ্যার সাথে ও মিথ্যাকে সত্যের সাথে সংমিশ্রন করে ফেৎনা সৃষ্টি করা ,
এদের মধ্যে অন্যতম হল তথাকথিত নামধারী আহলে হাদীস….
এর এক উদাহারন হল: যখন উলামায়ে দেওবন্দীরা এদের পথভষ্টতার মুখোশ খুলে দিয়েছেন’তখনই তাদের বিরুদ্ধে সত্য মিথ্যা সংমিশ্রন ঘটিয়ে’আহলে হাদীসরা অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে,বিশেষ করে,আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী সাহেবের পিছনে আঠার মত লেগে আছে,উনার এক বক্তব্যকে কাটপিচ করে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে অনলাইনে (youtub’faceboo k ইত্যাদি)অপ-প্রচ ার চালিয়ে যাচ্ছে, যারা এমন দুষ্টামী ইতরামী কাজ করতে পারে তাদেরকে ইতর-বানর বলা কি গালি???
( এই সেই full বয়ানের link যে বয়ানকে কাটপিচ করে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করে ওরা ফেৎনা সৃষ্টি করে বেরাচ্ছে,full বয়ানটি শুনুন আর আহলে হাদীস বাদর দের মূখোস খুলে দিন http://www.youtube.com/watch?gl=US&client=mv-google&hl=en&v=S7opzNhe_0I&nomobile=1)
আগেই বলেছি আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন কিন্তু ইতরামি-ভাদড়ামী ওয়ালা দুষ্টদেরকে বানর ই বানিয়ে দিয়েছিলেন । হে আহলে হাদীসরা’তোমাদের কপাল ভালো, রাসূল সা. এই উম্মতের জন্য বিশেষ দোয়া করে গিয়েছিলেন বলে, আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তোমাদের কে বানর অতবা অন্য কিছু বানিয়ে শাস্তি দেন নাই,আর না হয় টের পেতে কত ধানে কত চাল...........
আবু জাহালের নাম কিন্তু আবু জাহাল ছিলনা,তার ইতরামী-ভাদড়ামী ও মূর্খামির কারনে রাসূল সা. তার নামই দিয়েছিলেন আবু জাহাল--------মূ র্খের বাবা---
বলেনত এটাকি গালি?নাউজুবিল্ল াহ,এটা গালি নয়,সে যাহা সেটাই বলেছেন---
বেপার সেপার কি? এবার জ্ঞানীরা মূল বিষয়টা বুঝতেছেন….
যারা নবীদের সাথে ইতরামী-ভাদড়ামী করে তারা যেমন জগন্য দুষ্ট বানর,টিক যারা নায়েবে নবীদের বিরুদ্ধে সত্য মিথ্যা সংমিশ্রন ঘটিয়ে অপ-প্রচার চালায় তারাও জগন্য দুষ্ট বানর...
হে আহলে হাদীসরা আর ইতরামী-ভাদড়ামী চলবে না------
(এই সমস্ত ইতর বানরদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী দা. ,
সেই full বয়ানের লিংকও দিচ্ছি http://www.youtube.com/watch?v=GDE89z9mbpg&feature=you tu.be
FB লিংকও দিচ্ছি তাতে ৫ টি পর্বে ভিডিও সাজানো হয়েছে
১ পর্ব--কোরআন ও হাদীসের আলোকে মাযহাব শীর্ষক মহা সম্মেলন https://www.facebook.com/photo.php?v=1378735795708605&set=vb.1375974292651422&type=2&theater;
২ পর্ব--কোরআন ও হাদীসের আলোকে মাযহাব শীর্ষক মহা সম্মেলন https://www.facebook.com/photo.php?v=1378743065707878&set=vb.1375974292651422&type=2&theater;
৩ পর্ব--কোরআন ও হাদীসের আলোকে মাযহাব শীর্ষক মহা সম্মেলন https://www.facebook.com/photo.php?v=1378786919036826&set=vb.1375974292651422&type=2&theater;
৪ পর্ব--কোরআন ও হাদীসের আলোকে মাযহাব শীর্ষক মহা সম্মেলন https://www.facebook.com/photo.php?v=1378793929036125&set=vb.1375974292651422&type=2&theater;
৫ পর্ব--কোরআন ও হাদীসের আলোকে মাযহাব শীর্ষক মহা সম্মেলন
https://www.facebook.com/photo.php?v=1378802162368635&set=vb.1375974292651422&type=2&theater;
বয়ানটি শুনুন আর আহলে হাদীস বাদর দের মূখোস খুলে দিন)
( বি: দ্র: চোরকে চোর বলা’ডাকাতকে ডাকাত বলা’লুচ্চাকে লুচ্চা বলা’ভন্ডকে ভন্ড বলা’ ফেৎনাবাজকে ফেৎনাবাজ বলা’ইতরকে ইতর বলা’আর যারা ভাদড়ামী করে তাদেরকে বানর বলা গালি নয়)
(পড়ুন এবং শেয়ার করুন)
রাসূল (সঃ) এর জীবনের অন্যতম একটি মিশন ছিল, জিহাদ তথা কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ (আল্লাহর পথে সশস্ত্র যুদ্ধ)।
ইহুদী-খ্রিষ্টান দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে এক্ষেত্রেও সালাফীরা তাদের নিজস্ব চিন্তা-চেতনার অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে এবং এমন কিছু মূলনীতি তৈরি করেছে যার মাধ্যমে তারা উম্মতকে এই ফরয আমল থেকে বিরত রাখতে পারে। তাদের এসমস্ত ভ্রান্ত নীতিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন শায়েখ ড.আব্দুর রাজ্জাক বিন খলিফা শায়যী তাঁর ﺔﻴﻔﻠﺴﻟا ءﺎﻴﻋدﻷ ﺔﻀﻳﺮﻌﻟا طﻮﻄﳋا (আল-খুতুতুল আরিযা লি-আদইয়াইস সালাফিয়্যা) নামক গ্রন্থে। এছাড়াও শায়েখ আব্দুল আযিয বিন মানসুর তাঁর درﻟا ﺔﯨﯾﻔﻠﺳﻟا ءﺎﯾﻋدأ ﻲﻠﻋ (আর-রদ্দু আলা আদইয়াইস সালাফিয়্যা) নামক কিতাবে জিহাদ সম্পর্কে সালাফীদের ভ্রান্তি আলোচনা করেছেন।
(আমি সালাফিদের কিতাব থেকে ওনাদের কথাগুলো তুলে ধরছি। যাতে করে জিহাদ সম্পকে সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি আপনারাই বিচার করতে পারেন)
1.
ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে শায়খ বিন বাজ এর বক্তব্য . . .
শাইখ বিন বাজ বলেন,
قال الإمام العلم بن باز– رحمه الله - في (جريدة المسلمون - 9 /5/ 1417): (( أن أسامة بن لادن: من المفسدين في الأرض، ويتحرى طرق الشر الفاسدة وخرج عن طاعة ولي الأمر ))
নিশ্চয় ওসামা বিন লাদেন পৃথিবির একজন সন্ত্রাস, সবসয় সে চিন্তা করে খারাপ এবং নষ্ট বস্তু, এবং সে সরকারি নেতার আনুগত্য থেকে বের হয়ে গিয়াছে।
(আলমুসলিমুন ওয়া শ্শারাকিল আওসাত নামক পত্রিকায় সংখ্যা নং 9/5/1417 হি: )
তা ওসামা বিন লাদেন সরকারী নেতার কোন জিনিষ আনুগত্য করতে অস্বীকার করেছিল?
১৯৯০ সালের গ্রীষ্মে ইরাকের কুয়েত আক্রমণের পর ওসামা বিন লাদেন সোদী আরবে পাঁচ লাখ মাকিন সৈন্যদের আরব ভূমিতে উপস্থিতির আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধীতা করেছিল !!!!!!!!!!!!!!! !!
2.
শায়েখ ইবনে বায (রহঃ) ইসরাইলের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৈধ এ মর্মে ফতোয়া দান করলে তাঁর সম্পর্কে শায়েখ জওয়াহেরী (হঃা) বলেন-
نﯾذﻟا ،نﺎطﻠﺳﻟا ءﺎﻣﻠﻋ مھ ؛ﮫﺗﻔﺋﺎطو زﺎﺑ نﺑا نإ نإو ،بﺻﻧﻣ وأ بﺗار لﺑﺎﻘﻣ ﻲﻓ ﺎﻧﺋادﻋﻷ ﺎﻧﻧوﻌﯾﺑﯾ ﻲﺿر نﻣ ﻲﺿرو ،بﺿﻏ نﻣ بﺿﻏ
“নিশ্চয় ইবনে বায ও তাঁর সমগোত্রীয়রা সরকারী আলেম, যারা পদ অথবা টাকার বিনিময়ে আমাদেরকে বিক্রি করে দিতে চায়; আমার এ কথায় কেউ রাগান্বিত হলে হোক! কেউ সন্তুষ্ট হলে হোক!”
সূত্র- http://www.tawhed.ws/r?i=vw6bvokr
3.
আলবানী সাহেবের বিশিষ্ট ছাত্র মুহাম্মাদ আবু শাকরা হাযিহি হিয়াস সালাফিয়্যা বইয়ে লিখেছেন,
أفضل الجهادترك الجهاد و أفضل الإعداد ترك الإعداد
সবচেয়ে উত্তম জিহাদ হলো জিহাদ না করা, আর সবচেয়ে উত্তম প্রস্তুতি হলো কোন প্রস্তুতি না নেয়া।
এটা হলো সালাফীদের একটা মৌলিক নীতি। জিহাদ সম্পর্কে যদি তাদের এই নীতি হয়, তাহলে আন্দোলন সম্পর্কে তারা কী বলতে পারেন, তা স্পষ্ট।
4.
আলবানী সাহেব ফতোয়া জারী করেছিলেন, ফিলিস্তিনীরা যেন ইসরাইলের জন্য ফিলিস্তিনের ভূমি ছেড়ে দেয়। তাদের নিকট যে কোন ধরণের আন্দোলন নিষিদ্ধ।
সূত্র- http://www.alsunna.org/aalrd-ela-ftwaa-aalalbaany-bmwajwab-hjrah-ahl-flsttyn.html
5.
ড. শায়যী তাঁর কিতাবে সালাফীদের যে সমস্ত মূলনীতি উল্লেখ করেছেন, তন্মধ্যে ১৯ নং মূলনীতি হল,
دﺎﮭﺟﻟا ﮫﻛرﺗ ﻲﻓ مﺛإ ﻻو نﺎﻣزﻟا اذھ ﻲﻓ قﺎطﯾ ﻻ ﺎﻣ فﯾﻠﻛﺗ
(এই যামানায় জিহাদ হল এমন বিধান যা পালন করা সম্ভব নয়, সুতরাং তা ছেড়ে দিলে কোন গোনাহ হবে না)
মন্তব্য করতে লগইন করুন