মুসলমান মানেই কি মিথ্যাবাদী মুসলমান মানেই কি হারামজাদা?
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ০৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৬:০৪:০৮ সকাল
-অহিদুজ্জামান
আজ প্রায় এক বছর হলো ইরাকের কুর্দিস্তানের ৪ কুর্দিমুসলমান, সুদানের ৬ জন মুসলমান, মরক্কোর দুই জন মুসলমান, সিরিয়ার এক জন মুসলমান, ইরানের ৩ শিয়া মুসলমান, ইজিপ্টের ১ জন মুসলমান, পাকিস্তানের ১জন মুসলমানকে পাশাপাশি থেকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখলাম। তাদের প্রতিদিনের আচার-আচরণ কার্যক্রম দৈনন্দিন জীবনযাপনের সঙ্গি।
প্রথম যার সাথে পরিচয় তার নাম পেয়ান্দ মোহাম্মাদ।বয়স ২৭/২৮ বছর।পরিচয়ের শুরুতে বলছিল সে তার দেশের একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া অ্যান্ড ফিল্ম বিষয়ে এমএ ডিগ্রি করেছে। প্রথম দিন কুর্দি খাবারের খুব গল্প করলো। শুনে নর্থ লন্ডনের একটা কুর্দি রেস্ট্রুরেন্ট-এ গেলাম।রেস্ট্রুরেন্টের নাম 'কিরকুক'।এটা ওদের ক্যাপিটাল সিটির নাম।ওর সাথে কথা ছিল যার বিল সে দিবে।খাবার শেষে পুরো দুজনের বিল আমার পরিশোধ করতে হলো। কারণ দেখালো তার কিছুটা অসুবিধা আছে। ফের ওয়াদা করলো বাসায় গিয়ে পরিশোধ করবে। আজ একবছর হলো আজও কিন্তু পরিশোধ করেনি। অবশ্য আমি একবার ওর কাছ থেকে ১০ পাউন্ড ধার নিয়েছিলাম ২দিনের কথা বলে তা ২৬ ঘন্টার মধ্যে পরিশোধ করেছি। প্রথম ৬মাসকাল দেখেছি প্রায় প্রতিদিনই তার রুমে একটা করে মেয়ে নিয়ে আসে। প্রথম দিকে খুব একটা খেয়াল করিনি। একদিন দেখলাম শুধু পেন্টি পড়া একটা মেয়ে নিয়ে সিটিং রুমে বসে আছে। খুব অশোভন মনে হলো।নিজের কাছেই নিজে লজ্জিত হলাম।শুধু বল্লাম এটা এই দেশের আইন অনুযাই পারমিট করে না তুই জানো কিনা? বেকুব বললো- এটা এদেশে নরমাল। আমি শুধু বললাম এটা যদি তোর একার ঘর হতো তাহলে তুই নরমাল বলতে পারতিস। এটা যৌথ ঘর তাই এটা এদেশের আইন অনুযায়ী তোর এই অপকর্মটি এন্টিসোশাল বিহেবিয়র। তোর যৌনতা প্রদর্শন করে আর একজনকে প্ররোচিত করছো।এরপর মদ-গাঁজা-সিগারেট সমান তালে চালায় শুধু দেখে যেতে লাগলাম।এরপর মিথ্যা বলা আর চুরির অভ্যাস তা বোধহয় মৃত মানুষেরও ধৈর্য না হারায় উপায় থাকবে না। কিন্তু কথায় কথায় বলবে ওয়াল্লাহে।আল্লাহ ভরসা। আল্লাহ রহম করবে।সাথে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত।এতে মনে হয় সব চুরি আর মিথ্যা এবং যত কুকাম করছে তা সব হালাল হয়ে যায়।কুটনা অভ্যাস তা বলার ভাষা আমার জানা নেই।এরপর গার্লফ্রেন্ড পরিচয়ে অন্যএকটা মেয়ে নিয়ে রাতযাপন চলছে গত ৬ মাস ধরে। আপর ৩ জনের চরিত্র আমার মনে হয় এক স্কেল বেশিই হবে বৈকি কোন প্রকারে কম নয়। কিন্তু সকলেরই একই কথা আল্লাহ সবকিছু করে দেবে। আবার আরবী ভাষা একদম বরদাস্ত করতে পারে না। মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে কুরআন কুর্দি ভাষায় কেন হলো না?
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমার জানতে ইচ্ছে করে এই ''মমিন মুসলমানের আল্লাহ'' কোথায় থাকে?
সুদানের মমিন মুসলমান আবুল কাসেম ইব্রাহীমঃ গায়ের রং খনিজ পদার্থ আলকাতরার মত।প্রথম দেখা হওয়ার দু'ঘন্টার মধ্যে ১০ পাউন্ড ধার নিয়েছে। মুখের ভাষা খুব মধুর। কথায় কথায় ইয়া হাবিবি সম্মোধন ছাড়া কখনোই কাউকে ডাকবে না। যখন ধার নিয়েছিল তখন বলছিল আগামিকাল দিবে। আজ একবছর শেষ হলো। আমার কষ্টে দিন কাটলেও এই মমিন মুসলমান তা আর ফেরত দেয়নি। কিন্তু সবসময়ে হালাল খুঁজে খায়। যেনা করার সময়ে আল্লাহর নামেই করে।
চুরি করার সময়েও আল্লাহর নামেই করে। কারণ একটা যেকোন জিনিস হোক তা দামি কিংবা তুচ্ছ- রেখে চোখ ফিরাবার আগেই গায়েব হবে যদি এই মমিন মুসলমানরা তার কাছে থাকে। আবার বলবে ওয়াল্লাহে আমি জানি না।ওয়াল্লাহে আমি দেখি নাই। আবার কেউ যদি বলে তুই কেমন আল্লাহর বিশ্বাষ করো? সাথে সাথে বলবে- ওয়াল্লাহে তুই কাফির। তোকে কতল করা ফরজ। এটা করলেই আমার জন্য বেহেস্ত কবুল করবে আল্লাহ। সবচেয়ে বড় বেহেস্ত। তোকে কতল করলেই আমার জান্নাতুল ফেরদাউস কেনা হয়ে গেল। আর এই কতল করা ওদের জন্য মাত্র দু'মিনিটের কাজ।এহেন সুদানি মমিন মুসলিম অন্য যাদের দেখেছি তাদের প্রতিদিনের চরিত্র একই রকম। এর ব্যতিক্রম দেখি নাই। এরা সকলেই জেহাদকে ভালোবাসে।এরা সকলেই আইসিস বা আইসিলের ভাব শিষ্য।
চলবে-
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন