নিঃস্বার্থ ভালোবাসা হওয়া উচিৎ মানুষের ধর্ম
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:০০:১১ সন্ধ্যা
।।মো. অহিদুজ্জামান।।
পৃথিবী এবং মানুষের সৃষ্টি নিয়ে নানা বিতর্ক যেমন রয়েছে তেমনি ধর্ম নিয়েও রয়েছে নানা বিস্তর মতপার্থক্য। কিন্তু পৃথিবীতে প্রকৃত অর্থে শান্তি স্থাপন চাইলে মানুষের ধর্ম হতে হবে ভালোবাসার। আমারা জানি সকল ধর্মেই ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে কতটা এই ভালোবাসার চর্চা আমরা করি? অপরের থেকে ভালোবাসার যতটা প্রত্যাশা আমরা করি তার তুলনায় নিজের থেকে অপরের জন্য কয়েক লক্ষ্য বিন্দুর চেয়েও ছোট্ট একটু ভালোবাসার কথা কী আমরা চিন্তা করি? যদিও কেউ করে থাকে তার সংখ্যা খুবই নগণ্য।
ধর্মের ধ্বজাধারীদের দেখলে মনে হয় পৃথিবীতে হিংসা, হানাহানি, বৈষম্য সৃষ্টি, আতঙ্ক ছড়ানো কিংবা কারো বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়া অথবা বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করে দেয়ার জন্যই ধর্মের আগমন।
যদি তাই হয়, তাহলে আমি ধর্মের সেই মৌলবাদকে গুঁড়িয়ে দিতে চাই। মানবতা যদি সকলের উর্দ্ধে না থাকে তাহলে সেই মৌলবাদকে আমি ঘৃণা করি।
ধৃ ধাতু থেকে ধর্ম শব্দের উৎপত্তি। ধৃ অর্থ ধারণ করা। মানুষ যা ধারণ করে তাই ধর্ম। এখন মানুষ কোনটি ধারণ করবে? ধর্মের নামে ঠকবাজি করা কিংবা হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানোটাই কারো কাছে ধর্মের কাজ। জঙ্গিবাদকে উস্কে দেয়া হচ্ছে কারো প্রধান ধর্ম। জামায়াতে ইসলামী সহ অন্য ইসলামী দলগুলোর ধর্ম হচ্ছে ব্যবসা করা।
আবার কারো ধর্ম হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তি করা। মতের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা হরণ করা সকল ধর্মেরই প্রধান ধর্মীয় কাজ। মুক্ত মনকে অবরুদ্ধ করে রাখাটাও তাদের ধর্ম। ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে রয়েছে প্রবলভাবে জাত-পাতের ভেদাভেদ । রয়েছে অহংকার-অহমিকা।
দেলোয়ার হোসেন সাইদী, নিজামী-মুজাহিদদের বডিল্যাংগুয়েজ দেখে মনে হয় অহংবোধে টইটুম্বুর একটা আস্ত বন্য প্রাণী ধর্মের মস্তবড় ধ্বজাদারি। ধর্মের নামে রাজনীতি করে নিজ আখের গোচানো বিজনেসই তাদের ধর্ম। সর্বক্ষেত্রে আপন পাতে সেয়ান।
জোচ্চুরি, লাম্পট্য, কুলঙ্গারি যা আছে তা সবই করছে পীরে কামেল মোকাম্মেল বুজুর্গরা। ওলামা মাশায়েখ হাফেজসাবদের অপকর্মের সঙ্গে গে-কাজ করাও তাদের ধর্ম। আবার তারাই মানুষের মুণ্ডপাতের হুকুম দিচ্ছে। যদি তাই ধর্ম হয়- সেটাতো মানুষের জন্য অভিশাপ ছাড়া কিছু নয়।
সমাজে একশ্রেণী রয়েছে ধর্মের ইজারাদার তাদের কথায় প্রমাণ করে- মেয়ে লোকের একটু উরতের রাঙা চামড়া দেখলে তাদের পানি গলে যায়। তাদের ইমান টুটে যায়।তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- বাপু তোমার ইমান কী টন টন করা পাকা ফোঁড়ার পূঁজ গলার মত? গুতো লাগলেই ছুটে যাবে? আরে আহাম্মক মেয়ে মানুষ দেখলে যদি তোমার অজু নষ্ট হয়-মুখে লালা ঝরে তাহলে তুমি ঘরের মধ্যে থাকো। বাইরে বেড় হওয়ার দরকার কী? এজন্য মেয়েরা তো আর ঘরে বন্দি থাকবে না। অার কুত্তার মত লালা ঝরাটাই যদি তোমার ধর্ম হয় তাহলে ঘরেও তো তোমার মেয়ে-বোনসহ কত নারী আছে। তাহলে তোমার জঙ্গলে থাকাটাই বোধ হয় উত্তম। যদি বউকে ছাড়া অন্যদেরকে মা- মেয়ে-বোন হিসেবে দেখতে না পারো তাহলে পশুর ধর্ম আর তোমার ধর্মের পার্থক্য কোথায়?
মুলত ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করতে গিয়ে এমন কঠিন ভাবে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে যা শুনলে মনে হয় দামড়া গরুর চামড়া টেনে খুলে আনার চেয়েও ধর্ম আরো কঠিন কিছু।
কিন্তু এই ধর্মীবাদীরা পৃথিবীর ক্ষুধা তাড়ানোর জন্য কী করছে? কোটি কোটি শিশু-বৃদ্ধ, অসহায় মানুষ প্রতিদিন ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে। উলঙ্গ থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ওষুধ পাচ্ছে না। চিকিৎসা পাচ্ছে না। থাকার জায়গা নেই। শিক্ষা নেই। মানুষ আজ ক্ষুধা নিয়ে পৃথিবীতে জন্ম নেয় আবার ক্ষুধা নিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যায়। ধর্মের উপাসনা লয়ে প্রতিদিন যত টাকা ব্যায় হয় তা যদি মানুষের কল্যাণে ব্যায় হতো তাহলে কোন মানুষ না খেয়ে থাকতো না।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধনীদের যখন দেখি ক্ষুধা বিমোচনে বিশাল ফান্ড নিয়ে দৌড়-ঝাপে – তখন অট্টহাসি আসে এই ভেবে যে, যাদেরকে চুষেই আজ এই ফান্ড, তাদেরটা নিয়ে তাদেরই দান? এরই নাম যদি ভালোবাসা হয়ঃ তবে এগুলো জানোয়ারের ভালোবাসা!
আর নারীদের ব্যাপার আর কি বলবোঃ ওদের বেশিরভাগ জানোয়ার এক কথায়!
মন্তব্য করতে লগইন করুন