যুক্তরাজ্য জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গঃ সর্ষের মধ্যেই ভুত

লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১৯ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৫০:২২ রাত

অহিদুজ্জামান

পৃথিবীর মধ্যে আমেরিকার পরেই যুক্তরাজ্য জঙ্গিদের নিয়ে বেশি মাথা ঘামায়। কিন্তু অত্যন্ত রহস্যজনক সত্য হচ্ছে- স্বয়ং যুক্তরাজ্য সরকারই সেই জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে যথেষ্ট সহানুভুতিশীল এবং অনুকম্পা পরায়ণ।

এখানে উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন যে ইরাক এবং সিরিয়ায় যেসব জঙ্গিরা যুদ্ধ করছে তাদের মধ্যে কতজন বৃটিশ নাগরিক বিশেষ করে বাংলাদেশ-পাকিস্তানী তথা এশিয়া বংশোদ্ভুত। কারণ ইতোমধ্যেই তা মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে। তবে লন্ডনের অলিতে-গলিতে, পার্কে, রেস্তরায়, পথে-ঘাটে একটু কানপাতলেই শোনা যায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য তথা পশ্চিমাজগতের সরকার, রীতি-নীতি, আচার-আচরণ, সমাজ ব্যবস্থা, সরকার ব্যবস্থা, মুসলিম বিশ্ব সম্পর্কে গৃহীত পলিসি সর্বপরি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গভীরভাবে বিষোধগার মূলক শলাপরামর্শ। তারা জাতিসংঘকে বলছে- ''বাস্টাট সংঘ''। ।

এসব শলাপরামর্শের বৈঠকের ধরণ একই রকম। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই এসব অড্ডায় কী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? মাল্টিকালচারাল এই দেশটিতে পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান, সোমালিয়ান, নাইজেরিয়ান, আফগানিস্তান, ইরানিয়ান, বাংলাদেশী, ফিলিস্তিনী এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশভিত্তিক কমিউনিটির সংস্কৃতিগত জীবনে মোটাদাগে বিস্তর ফারাক নেই। বিশেষ করে মুসলিম কমিউনিটিতে শুধু নেটিভ ভাষাটা পৃথক। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক জীবনে কতিপয় অমিল থাকলেও ইংরেজি ভাষা, মুসলিম রীতি-আচার অনুষ্ঠানের বদৌলতে এরা সকলেই আরো ঘনিষ্ট হওয়ার সুযোগ পায়। এমনকি আফ্রিকা মহাদেশের সাংস্কৃতি সম্পূর্ণ আলাদা হলেও মুসলিম হওয়ার সুবাদে তাদের প্রিন্সিপাল রুট একই বিন্দুতে অবস্থান করছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম একেবারেই কাছাকাছি অবস্থানে সকল দিক থেকে।

তবে উদ্বেগ এবং হতভাগ হতে হচ্ছে- যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট দেখে। এসব সংস্থার রিপোর্ট বলছে পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় জঙ্গি কর্মকাণ্ডে বৃটিশ নাগরিকদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।

অপরদিকে এদেশের হোমঅফিস থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়াদের তালিকায় জঙ্গি সংগঠন এবং তাদের মদতদাতা গোষ্ঠির সদস্যদেরকেই সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে এটা প্রনিধানযোগ্য যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কোন সদস্য আশ্রয় চাওয়া মাত্রই তা গ্রহণ করছে দয়ালু দাতা মেহেরবান হয়ে।

তাহলে যুক্তরাজ্য সরকার একদিকে তার দেশের জনগণকে নিরাপদ রাখার কথা বলে জঙ্গি দমনের নামে জনগণের অর্থ ব্যয় করে জনগণের সঙ্গেই কী প্রতাড়ণা করছে? এপ্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।

বিষয়: রাজনীতি

৮৬৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

275834
১৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১১
শেখের পোলা লিখেছেন : অবাক কাণ্ড! সর্ষের ভীতরেই ভূত৷
275859
১৯ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৫:৫৮
বুড়া মিয়া লিখেছেন : জঙ্গী-রঙ্গের দেশে থাকলে না জঙ্গী হবে, ইংল্যান্ড-এ্যামেরিকাকে কি কেউ জঙ্গী রঙ্গে রাঙ্গাইতে পেরেছে যে ওইখানের লোক জঙ্গী হবে? তবে এসব রং-চং দিয়ে সুবিধা করার রাস্তা এখন কমে যাচ্ছে দিন দিন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File