হাসিনা-খালেদা-নিজামি-মুজাহিদ-এরশাদ-রওশন-তারেক-জয় তারা কেউ দুর্নীতিবাজ নয়!!
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৪৭:৪৮ সকাল
।।মো. অহিদুজ্জামান।।
পৃথিবীতে কেউ ভিক্ষুক হয়ে জন্ম নেয় না। সকলেই মানব সন্তান হিসেবে জন্ম নেয়। রাজ মহলায় যে শিশুটি সোনার চামচ মুখে নিয়ে যে আকার-আকৃতি অবয়বে রাজবধুর কোলে আসে ঠিক তেমনি বস্তিতে আমেনার কোলজুড়েও একই মানব শিশুর জন্ম হয়। কিন্তু এ দু'জন্ই মানব শিশু হিসেবে পৃথিবীতে আসলেও জন্মক্ষণ থেকেই হাভাতের ঘরে জন্ম নেয়া শিশুটি বৈপরিত্য-বৈসম্যের ভিকটিম সমাজ-রাষ্ট্রসহ সকল স্তর থেকেই । সমাজের উচ্চশ্রেণীর রংমহলায় আসা নতুনের জন্য পুষ্পের উষ্ঞ শুভেচ্ছা সকলেরই পক্ষ থেকে আর দারিদ্র্য ঘরে আসা শিশুটির জন্য ভ্রুকুটির সাথে ক্ষুধার উষ্ঠা-নিষ্টা প্রতিক্ষণে। এই জরাজীর্ণতার মাঝে বেড়ে ওঠা মানুষটি যদি ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে কলা-কচুতে হাত বাড়ায় তাহলে তাকে চোর বলা হয় এবং জেলে পুড়ে রেখেই ক্ষান্ত হয় না এ সমাজ। তার মৃত্যুর পরেও চোরের কবর বলে অপবাদ দেয়া হয়। এমনকি তার সন্তানদেরকেও চোরের বংশ বলে নিকুচি করা হয়।
শিরোনামে যেসকল মহারথী-সারথী কিংবা সতীর্থদের কথা উল্লেখ করেছি তাদের কেউ চোর-দুর্নীতিবাজ হয়ে জন্ম নেয়নি। এমনকি তারাতো কেউ হাভাতের ঘরেও জন্মায়নি্। তারপরেও কেন তারা দুর্নীতিবাজ-বেজন্মা!! আমি এই প্রশ্নটির উত্তর খুজঁতে কথা বলেছি তাদের সাথে যারা দীর্ঘদিন খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। দেখেছেন একান্তে। ভিতরের অনেক কিছুই জানেন তাদের সঙ্গে।
আমাদের সমাজ-ব্যবস্থার একটি চিত্র তুলে ধরার মোটদাগে চেষ্টা করেছি।
আমরা শুধু পেটের দায়ে যারা চুরি করে তাদের কথাই জানি। কিন্তু যারা রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি-লুট করে, গরীব-দুঃখি মানুষের অধিকার-প্রাপ্য কেড়ে নিয়ে দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তাদের কথা জানা, ওদেরকে ঘৃণা করাতো দূরের কথা তাদেরকে নমস্য জেনে প্রণাম-সালাম ঠেকি পায়। এমন কিছু চোর-গুণ্ডা, জোচ্চোরদের অজানা বিষয়ে কথা বলছিলাম। তারই অল্পবিস্তার আলোচনা করবো।
১১ অক্টোবর, ২০১৪ লন্ডনের একটি পার্কে বসে বাংলাদেশের একসময়ের একজন নামকরা আমলার সঙ্গে দীর্ঘ সময়ে ধরে কথা বলছিলাম। আমি প্রকৃতই পাঠক সমীপে বিনীতভাবে দুঃখিত। কারণ তার নামটা এইমুহুর্তে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর তাঁর সাথে অামি ওয়াদা করেছি যে কখনো এবিষয় গুলি লিখলে তার নামটি আমি উল্লেখ্য করবো না।
মি. কে'র বয়স এখন প্রায় ৬৯ বছর্। সিএসপি কর্মকর্তা হিসেবে তার কর্ম জীবন শুরু। মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার পাশাপাশি মুজিব নগর সরকারে গুরু দায়ীত্ব পালন করেছেন। এরপর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসক হিসেবে অনেক জেলায় কর্মরত ছিলেন। বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক সহ লন্ডন, মালয়শিয়া ও আমেরিকায় নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর নিযুক্ত ছিলেন। মুজিব সরকার সহ ২০০৬ সাল পর্যন্ত সকল সরকারেই গুরুদায়ীত্ব পালন করেছেন। তিনি এপর্যন্ত ৪০টি বই লিখেছেন। এখনো লিখছেন। রসায়ন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স-মাস্টার্স শেষে লন্ডনে সোয়াস ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পিএ্ইচডি করেছেন কৃতিত্ত্বের সঙ্গে। পাঠকদের প্রতি আমার অনুরোধ কোনক্রমেই তার নামটি মন্তব্যে প্রকাশ করবেন না। আমার বিশ্বাস এতটুকু পরিচয়ে হয়তো অনেকে তাকে চিনবেন। কিন্তু যতটুকু আমি লিখেছি তাতে তার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু আপদ হলো- অাজকাল ফ্রি অনলাইন অসংখ্য মতিভ্রমদের খিস্তি-খেউরের জায়গা। তারা বাকস্বাধীনতার নামে বাক শালীনতার তোয়াক্কা করেনা। মূলত বাক স্বাধীনতার একটি লিমিটেশন রয়েছে। এটা পাবনার গারদখানায় যাদের স্থান হয় তাদের তা আমলে থাকার কথা নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় পুরো বাংলাদেশটাই অাজ পাবনার গারদখানা। আরো আশ্চর্যের বিষয় এবং ভয়ঙ্কর হচ্ছে যে এই কু-বুলি প্রলাপ অনলাইনে ছড়াছড়ি, বিশেষ করে ব্লগগুলিতে সবচেয়ে হাইলাইট করা হয়। যাইহোক মুল আলোচনা আজ নয়। লিখবো আগামী পর্বে।
চলবে-
বিষয়: রাজনীতি
১০১৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
মনে হচ্ছে খুব ভালো লিখবেন, গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই থাকবে তাতে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন