আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার আমলনামা
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:২৮:১৬ সকাল
।।মো. অহিদুজ্জামান।।
শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা গত পাঁচ বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি লুট-তরাজ করে বিদেশে পাচার করেছে। তার পুত্র ও আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এই লুটেরা টিমের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।তার ওটিস্টিক বিশেষজ্ঞ কণ্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল এই টিমের এডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার এবং বোন শেখ রেহানা হলেন সমন্বয়ক। এছাড়া শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, হাসনাত আবদুল্লাহ সহ অন্যরা হলেন একেকটি ব্রোকারেজ হাউজ।অর্থ্যাৎ পার্সেনটিজ ও কোটারি ভিত্তিতে লুটের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। অর্থনীতিবিদ ও বিষেশজ্ঞদের মতে গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি লুট হয়েছে বলে জানিয়েছেন।তারা বলছেন- এথেকে ২০ পার্সেন্ট প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন। এহিসেবে দাঁড়ায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। তবে সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন এরপরিমাণ দ্বিগুণের বেশি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্ম কর্তার মতে পদ্মাসেতু, ব্যাংক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে প্রতিটি বড় বড় খাতের দুর্নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জড়িত। যার প্রমাণ দেশের মানুষ ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষ করেছেন।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বলেছেন
শেখ রেহেনা লন্ডনের গোল্ডাজগ্রিন এলাকায় ১২ মিলিয়ন পাউন্ডসে একটি আলিসান বাড়ি কিনেছেন।লন্ডন আ'লীগের এক নেতা এসবের দেখবাল করার মাশুল বাবদ যা পেয়েছেন তা দিয়ে তিনি একটি রেস্টুরেন্ট ও একটি বাড়ি কিনেছেন। এছাড়া শেখ রেহানার বেনামে রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শোনা যায় মেয়ের বিয়েতে খরচ করেছেন প্রায় ২ মিলিয়নেরও বেশি।আইটি পুত্র জয়ের আমেরিকায় রয়েছে ১৭ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ৮ টি বাড়ি মাত্র! শেখ সেলিম লন্ডনে এসে একটি কাসিনতে এক রাতে জুয়া খেলেছেন ১ লাখ পাউন্ডস। এতথ্য জানিয়েছেন তার পিএস ও দলের ঘনিষ্ঠ জনরা।
শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা যতবার লন্ডনে এসেছেন প্রতিবারই প্রতিজনে ৩০-৪০ টি লাগেজ নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী অলিম্পিকের সময়ে ৩৪০ টি লাগেজ নিয়ে এসেছেন। তার দলের নেতা-কর্মীদের এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে ভিওআইপি থেকে প্রতিদিন রাষ্ট্রীয় আয়ের ৯০ ভাগ লুটে নিচ্ছেন জয়, এটি্এনের মাহফুজ এবং আরো কয়েকজন। প্রতিদিন এখাতে ১২-১৯ কোটি মিনিট ওভারসিজ কল বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রতিমিনিট মূল্য ৩ সেন্ট। এহিসেবে গড়ে প্রতিদিন অন্তত ৫০ কোটি টাকা লুট হয়।
এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন তিনি মাত্র একটি লাইন ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিমাসে এক কোটি টাকা দেন।এ টাকা কখনো কখনো তার নিজ হাতে দলের চাঁদা হিসেবে গ্রহণ করেন। আবার কখনো কখনো আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর নিয়োজিত ক্যাশিয়ারদের হাতে জমা দিতে হয়।অর্থনীতিবিদদের মতে বাজেটের আকার বড় হওয়ার পাশাপশি দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে অন্তত আগের তুলনায় ৫ গুণ। আগের তুলনায় ক্রয়খাতে দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে ৪০ শতাংসেরও বেশি।শুধুমাত্র জ্বালানি খাতে দুর্নীতি হয়েছে ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। সাগর সরোয়ার-রুনির ডকুমেন্টারিতে সেই তথ্যই ছিল। ফলে শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশেই তাদেরকে খুন করা হয়।এবিষয়ে সরোয়ারের সঙ্গে আমার একাদিকবার কথা হয়েছিল।এবং বিভিন্ন ডকুমেন্টস কালেকসনের জন্য আমার সহায়তা চেয়েছিল। এই পাহার সমান দুর্নীতি আড়াল করতেই একের পর এক অঘটন বেপরোয়ভাবে ঘটিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ বলি আবদুল কাদের মোল্লাহ। এছাড়াও রয়েছে ক্ষমতার মারাত্মক লোভ ও ব্যাক্তিগত হিংসা। বেপরোয়া দজ্জাল স্বভাব। আজুজ-মাজুজ বা রাক্ষুসি স্বভাবের শেখ হাসিনার খাই কিছুতেই মিটছেনা। ষোল কোটি মানুষকে খেলেও তার খাই মিটবে না। এমনকি ৫৬ হাজার বর্গমাইলের পুরো বাংলাদেশ খেলেও না।
গত সপ্তাহে ভারত থেকে আসা একজন প্রবিণ জ্যোতিষের কাছে জানতে চেয়েছিলাম এই অবস্থার শেষ কখন হবে? তিনি গণনা করে বললেন ২০১৪ সাল শেখ হাসিনার জন্য একটি অশুভ বছর আসছে। এবছরের মাঝামাঝি কোন একসময়ে তার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে বাংলাদেশের। অন্যথায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব হারাবে।
বিষয়: রাজনীতি
১৯৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন