ভারত কি চায় বাংলাদেশে?

লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১৪ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৯:৫৭ সকাল

মো. অহিদুজ্জামান

স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশের সকলের মনে একটি কমন সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আজো তা বদ্ধমূল আছে।কিন্তু একশ্রেণীর বিশ্বাসঘাতক দালাল পাকিস্তানের ধুয়াতুলে বিষয়টিকে নিরন্তর আঁড়াল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।ওরা মাঠে একটি স্নোবল ছেড়ে দিয়েছে। যা ঘুরপাক খেতে খেতে স্বাধীনতার ৪২ বছরে বেশ বড় হয়ে গেছে।আর তা হচ্ছে- 'বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের কোন আগ্রহ নেই'। অনেক জনসংখ্যার দেশ। দারিদ্র্য-ঝড়-ঝঞ্চা, ক্ষুধা-খরা-মরা ইত্যাদি কথাগুলো চাউর করছে। মোদ্দাকথা নেতিবাচক কথাবলে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের ইনডোর পলিটিক্সের বিষয়টিকে আঁড়াল করাই হচ্ছে ওদের অ্যাসাইনমেন্ট।মাঝে মাঝে ওরা প্রীতির কথা বলে, বন্ধুত্বের কথাও বলে।'৭১ সালের কৃতজ্ঞতার কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। এই অ্যাসাইনমেন্ট যারা কাভার করছে তাদের মধ্যে একজনও সাধারণ কোন জনগণ নেই। এটা নিশ্চিত। তাদের মধ্যে রয়েছে বিশেষ করে সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, ঘরপোড়া রাজনীতিক তথা বুদ্ধিজীবী পরিচয়ধারি লোকজন। আরএকশ্রেণী রয়েছে রাজনীতিক নামের রাম-বলদ। গোঙ্ঘা ক্লাসের মানুষ। আর এদের পিছনে একটা গ্রুপ রয়েছে- তারা হচ্ছে খেঁক শিয়ালের পালের পিছনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল আধমরা টাইপের কিছু পাতি। বড় বড় শিয়াল হু-হুয়াক্কা সুর তোলে আর পিছনের ওরা -য়াক্কা -য়াক্কা করে সুরকে বড় করে। ভারত স্বাধীনতার পর থেকেই এমন করেই রাজনীতি খেলে যাচ্ছে।ঠিক তেমনি তাদের প্লেয়ারও গোলক চক্রের শিয়ালবৃত্তের মত করে সাজিয়ে রেখেছে।কিন্তু দুঃখের ও পরিতাপের বিষয়ে বিষয় হচ্ছে ঘরের শত্রু বিভিষণ। ওরা এটাকে এতো সরলিকরণ করে দেখছে যা ভিতরে ভিতরে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পরছে।আওয়ামী লীগের গাদ্দারগুলো সরাসরি জড়িত এবং লম্বা গলায় আওয়াজ তুলে সবকিছুই বিকিয়ে দিচ্ছে।বিষেশ করে শেখ হাসিনার শেষ ঠিকানা ভারতে ঠিক করে রেখেছে। এই পাচঁ বছরে রাষ্ট্রের চুরি করা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে ভারতে। ভারতের একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন বলিউডে হাসিনার গুণধর বিজ্ঞানি পুত্র(?) জয়ের বিনিয়োগ রয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় বলেছে- শেখ হাসিনা ভারত মাতারই সন্তান। সেখানে উপস্থিত ছিল মখা আলমগীর। এসময়ে সবেমিলে উলুধ্বনী দেয়া হয়। উলুধ্বনী দেয়াকে কটাক্ষ করছি না। উলুধ্বনী দিয়ে এই সত্যকে আরো প্রগাঢ় করা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী না জেনে বলেননি। ওই মাটির সন্তান হলে সাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রি হতে পারে না। এরপরেও সে দেশের মানুষের ওপর যা নাচছে-কুদছে তা পৃথিবীর কোন্ মানুষ সহ্য করবে বলে মনে হয় না। এতে আমার মনে হয় দেশের সকল মানুষের মগজে-চেতনায়-অনুভুতিতে পক্ষাঘাত হয়েছে। শুধু বিএনপির কতিপয় রামবলদের দিকে তাকিয়ে থাকলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে বলে আমার মনে হয় না।এমনকি আমার সঙ্গে একমতপোষণ করেছেন হিন্দু সম্প্র্রদায়ের অনেক ভাইয়েরা। কিছু উগ্রবাদি অতি ডোরা সাপ রয়েছে তারা মনে করে হিন্দু হলেই হলো- সব হিন্দুই আ'লীগ কিংবা ওপাড়ের দালাল। কথাটি সত্য নয়। আমার এই লেখার মাধ্যমে সকলের প্রতি অনুরোধ হিন্দু ধর্মের লোকদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই পাল্টাতে হবে।

আমাদের মনে রাখা উচিৎ ১৯৪৭ সালে ভারত কখনোই পাকিস্তান নামের আলাদা একটি দেশ হোক তা চায়নি। এমনকি বৃটিশ সরকার ১৪ আগস্ট পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রকে স্বাধীন ঘোষণা করার পরও ভারত মনগতভাবে মেনে নেয়নি।ভারতের লিডাররা বৃটেনে এসে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছিল।যাইহোক ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্ট। আকবর আলি খান গত কয়েক দিন আগে তার এক নিবন্ধে লিখেছেন এটা গণক ঠাকুরদের গণনায় দেখেছিল যে ১৪ আগস্ট লগ্ন ভালো ছিল না তাই ভারত ১৪ তারিখের পরিবর্তে ১৫ তারিখ তাদের স্বাধীনতা নিয়েছে। এই জানু দালালকে ফোনে জানতে চেয়েছিলাম এই কথার গ্রহণযোগ্য ভিত্তি কি? তিনি কয়েক খানা ফালনামা টাইপের পুঁথি-পুস্তকের কথা বলেছেন। তিনি ইতিহাসে ফাস্টক্লাস পেয়েছেন। হয়তো সেই জোরেই খামোখা ইতিহাস লিখে যাচ্ছেন। মূলত ১৯৪৭'র সময়ে ভারতের নাম ছিল ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া। ১৯৫০ সালে রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তন করেছে।ভারতের নেতারা কখনোই চায়নি ভারত ভেঙ্গে যাক। শেষমূহুর্ত পর্যন্ত তারা আধিপত্য বজায় রাখতে অক্ষণ্ডতা রক্ষা করতে চেয়েছে। যার রেস এখনো তারা ভুলে যায়নি। এমনকি ১৯৪৭ সালে তারা অলইন্ডিয়া কংগ্রেস সভায় তাদের ধর্মগ্রন্থ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছে অখণ্ড ভারত পূণরুদ্ধারের। এমনকি যে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান হয়েছিল তাও ভারত অস্বিকার করছে। এজন্যই তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে সবসময়েই নাস্তিকক্যবাদ ও সেকুলারিজমকে জোরকরে টেনে আনছে। এজন্য তারা উপরোল্লিখিত পেশাজীবী দালালদের ব্যবহার করছে। কারণ দ্বিজাতি তত্ত্ব টিকে থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব সুসংহত থাকবে। এমনকি আমাদের পরিচয় 'বাংলাদেশী'র পরিবর্তে বাঙালি রচনা করতে চায়।সর্ববিষয়ে পৃথিবীর উদারনৈতিক রাষ্ট্রের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে প্রথম হিসেবেই ধরতে হবে। এখানের ভাষা ইংরেজি হওয়া সত্বেও জাতিও পরিচয়ে তারা পাসপোর্টে বৃটিশই ধারণ করে।

কিন্তু ভারত আমাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে নয়- বাঙালি হিসেবে দেখতে চায়। কারণ ওরা বাংলাদেশকে এখনো একটি স্বাধীন-সার্বোভৈৗম রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।আমাদের পাসপোর্টে যখন বাঙালি লেখা থাকবে সাধারণভাবেই আমরা মানসিকদিক থেকে আমাদের রাষ্ট্র আছে তা ভুলে যাওয়ারই কথা। ওরা সেই কাজটি করতে চায়। এটা সুদুর প্রসারি এবং সুক্ষ্ম পরিকল্পনা তাদের। শুধু এই একটি বিষয় নয়। নানা এজেন্ডা তারা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে হায়দারাবাদ-সিকিম-ভুটান বানাতে চায়। এর টেন্ডার গৃহিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং পতিতা বাম ইনু-মেনন-গংরা। এই বাম-রাম মিলে দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে।

গোপন সূত্রের খবরে জানতে পারলাম দেশের সেনাবাহিনী-পুলিশ-বিজিবি ঢাকাভিত্তিক সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে ভারতীয় হাইকমিশন। অন্যান্য সেক্টর সহ অন্তত ২০-২৫ লাখ বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা এরই মধ্যে পাসপোর্ট নিয়েছে।এমনকি শেয়ার মার্কেট থেকেও লক্ষকোটি টাকা তুলে নিচ্ছে। যেমনটা করেছিল ১৯৯৬-২০০১ সালে। '৯৯ সালে মাত্র ৩৫ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি বাবদ ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানি ভুয়া এলসির মাধ্যমে ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করেছিল। আর এরসঙ্গে জড়িত ছিল স্বয়ং শেখ হাসিনা।

এরপর দেখুন দ্বিতীয় পর্ব-

বিষয়: রাজনীতি

১৯১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File