যুক্তরাষ্ট্র কেন শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিচ্ছে না?
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৮:১২:৩৪ সকাল
মো. অহিদুজ্জামান
খবর বেড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিচ্ছে না। সাথে রয়েছে সৌদিআরব, পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র বলয়ের অধিকাংশ মিত্ররা।এখানে বলা প্রয়োজন মার্কিন কর্তৃপক্ষ সবসময়ই নিজদেশের স্বার্থ ও তাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়টি সর্বপ্রথম চিন্তা করে থাকে। এরপাশাপাশি রাইজিং কান্ট্রিকে তারা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।তবে স্বার্থের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করে ফলপ্রসু পদক্ষেপে এগিয়ে চলে। আর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীসহ ইসলামী উগ্রবাদকে সিরিয়সলি নজরদারিতে রাখে। এই দুটিকেই তারা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। এবিষয়টিকে শুধু মার্কিনরাই নয় তার মিত্ররা সহ সকল শান্তিকামি মানুষই নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে থাকে।
বিশ্বপেক্ষাপটে আজপর্যন্ত পৃথিবীর কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাজনৈতিক দলের প্রধান তার দেশে জঙ্গিগোষ্ঠী কিংবা উগ্রমৌলবাদী আছে তা বিশ্বদরবারে অকপটে স্বীকার করেছেন তার কোন নজির নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা এবিষয়টি বারবার বিশ্ব দরবারে খুব জোরের সঙ্গে এবং গুরুত্বদিয়ে বলে আসছে যে বাংলাদেশে জঙ্গি আছে এবং উগ্রমৌলবাদীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেবে। যদি কিনা সে নিজে ক্ষমতায় না থাকে।এমনকি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও প্রতিবারই তার দীর্ঘ বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এপ্রসঙ্গটিই উপর্যুপরি তুলে ধরে বিশ্ব নেতৃত্বের দৃষ্টিআকর্ষণে মরিয়া করুণা-ভিক্ষা করেছে। নির্লজ্জভাবে দোষারোপ করেছে বিএনপিকে। জঙ্গিপ্রতিপালক হিসেবে উপস্থাপন করেছে চারদলীয় জোট সরকারকে।এতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যদি কনভিন্স হতো তাহলে বাংলাদেশে এতোদিনে ন্যাটো সৈন্য অবস্থান করত। শেখ হাসিনার সঙ্গে তালমিলিয়ে হুয়াক্কাতুলে রিপোর্ট প্রকাশ, তথ্যচিত্র নির্মাণ সহ সকল প্রকার প্রাণপণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে কতিপয় দলকানা ছা-পোষা পেইড মাসকাবারি সাংবাদিক। লেজবাকানো এই সাংবাদিকতার মুখোশধারিরা হেনমিথ্যা নেই যা তারা তৈরি করেনি। এরমধ্যে রয়েছে স্ব-দেশী ও ভারতীয় কতিপয়। ওরা সবসময়ই প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে আসছে।
প্রকৃত সত্য তথ্যের প্রমাণে দেখা যায় শেখ হাসিনার নিজেরই রয়েছে জঙ্গি-উগ্রবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করার প্রমাণ। এটা রুঢ় শোনা গেলেও বা কারো কাছে তিক্ত মনে হলেও বাস্তবতা এমনটাই। শেখ হাসিনার মুখের ভাষা যেমন কদাকার তারচেয়েও তার রাজনৈতিক চরিত্র আরো কিংভুতকিমাকার।এরপ্রমাণ হিসেবে আমি একটি বিষয় উপাস্থাপন করছি। ২০০৫ সালে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় একটি খবর বেড়িয়েছিল। সেটি ছিল সিলেটে জেএমবি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার গোপন বৈঠক। এটি ছিল প্রধান শীর্ষ নিউজ।প্রতিবেদনটি যুগান্তরের সিলেট ব্যুরোচিপ রেজোয়ান এবং আবদুর রশীদ রেনুর বাই নামে ছাপা হয়েছিল। এরপর সিলেট অঞ্চলের একজন এসপিকে বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয় এবং পরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়।আজ ওই এসপি RAB' শীর্ষ কর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নেই দীর্ঘদিন থেকে বহালতবিয়তে আছেন। ২০১১ সালে কালের কণ্ঠ প্রকাশিত হয় নাটোরের জেএমবি বাংলা ভাই'র সেকেন্ড ইন কমান্ডকে পুলিশে চাকরি দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক সুপারিশে। ২০১০ সালে রাজশাহি জেল কতৃপক্ষের একপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৩৮ জঙ্গি কারাবন্দি ছিল। নাটোর জেলে ছিল ২৬ জন। সিলেট জেলে ছিল ৬৭ জন। খুলনা জেলে ছিল ৩৪ জন। কিন্তু ২০০৯ জুন নাগাদ সকল জঙ্গিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় সাজা মওকুপ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে সারা দেশের চিত্রই উল্রেখ করা হয়। এসব জঙ্গিরা আদালতে বিভিন্ন মেয়াদসহ যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছিল। তাহলে কে জঙ্গি প্রতিপালক?
বিষয়: বিবিধ
১৯৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন