প্রথমআলো সম্পাদক মতিউর রহমান সুত্রাপুর থানা বাকসালের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন- ২য় পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ০৩ নভেম্বর, ২০১৩, ০৩:৫৫:৪৬ রাত

মো. অহিদুজ্জামান

দৈনিক প্রথমআলো পত্রিকার রাজশাহি ব্যুরোচিফ আনু মোস্তফার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ২০০৩ সালে।ডিআরইউ'র বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, প্রথমআলোর তৎকালিন রিপোর্টার উদয় হাকিম, যুগান্তরের শফিউল আলম রাজা, আবদুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক রাজশাহি অঞ্চলে গিয়েছিলাম আর্সেনিক সমস্যা, নারী-শিশু পাচার এবং নারী নির্যাতন বিষয়ের উপর রিপোর্ট করতে। এসুবাদে আনু মোস্তফার সঙ্গে আমার পরিচয়। সেথেকে তার সঙ্গে আমার যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়েছে তা আজো টিকে আছে। একারণেই সুখ-দুঃখের কথা সবসময়ে শেয়ার করে। বিশেষ করে পেশাগত সকল বিষয়ে কথা হয়। ম-ফা'র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে একদিন আমি আনুকে ফোন করি এবং সে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলতেই অনুভব করলাম আনু ভিতসন্ত্রস্ত। জানতে চাইলাম কী হয়েছে? উত্তরে যা বললেন তা অত্যন্ত বিষাদময়। আনুর ভাষায় ''অহিদ ভাই হয়তো আপনাদের সাথে আর দেখা নাও হতে পারে''। ভাবলাম- বাংলাদেশের অত্যন্ত একটি প্রভাবশালী পত্রিকার সাংবাদিক আনু। আমি খুব ঘনিষ্টভাবে জানি সে কোনপ্রকার চামচাবাজ সাংবাদিক নয়। রাজশাহি অঞ্চলের আলোচিত রিপোর্ট যা হয়েছে তার ৯০ ভাগ তার সৃষ্টি এবং কোন দুই নম্বরির সঙ্গে জড়িত নয়। এসব কথা বলার উদ্দেশ্য হচেছ বাংলাদেশে এপর্যন্ত যত সাংবাদিক নিহত-আহত হয়েছে তার অন্তত ৮০ ভাগই একান্তভাবে নিজস্ব সমস্যার কারণে হয়েছে।এদিক থেকে আনুর কোন ব্যাক্তিগত সমস্যা নেই তা আমি নিশ্চিত।তবে বারবার মনেরমধ্যে ধাক্কা খেতে লাগলো একটি বিষয়। আর তা হলো পেশাগত সমস্যা।যাইহোক আমি বললাম এতো ভেঙ্গে পরলে চলবে কি করে।আপনি মতি ভাইকে বলছেন? তাৎক্ষণিকভাবে একথা বলার কারণ হচ্ছে- কিছুদিন আগে রাজশাহিতে RAB নিয়ে সে কয়েকটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট করেছিল। আর তা ছিল এক ব্যাবসায়ীকে ডেকে নিয়ে RAB সদস্যরা একটি হোটেলের রুমে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি দিয়ে হত্যা করে। ব্যাবসায়ী ছিলেন প্রকৃতই নিদোর্ষ। অবশ্য পরে লন্ডনে এসে দেখেছি আনু'র ওই রিপোর্টটি গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ, টাইমস, হেরাল্ড ট্রিবিউনের প্রিন্ট ভার্সনে ছাপা হয়েছে। প্রথমআলোতে আনু যা লিখেছিল অনুরূপ তথ্যই তারাও ছেপেছে। যাইহোক মতিভাইকে বলছেন কিনা জানতে চাইলে আনু আরো বেশি অসহায়বোধ করতে থাকেন। অনেক কথার পর স্পষ্ট বুঝতে পারলাম মতি ভাই আনুকে দিয়ে রিপোর্ট করিয়ে এখন RAB কে লেলিয়ে দিয়েছে আনুকেই হত্যার জন্য।এমনকি পত্রিকা থেকে তার চাকরিটাও খেয়েছে বিনা নোটিশে। আনু আজও বেঁচে আছেন হয়তো নৈতিকতার বদৌলতে এবং মানুষের দোয়ায়। কিন্তু মতি ভাই আনুকে পাঠিয়েছিলেন জমের দুয়ারে। এছাড়াও রয়েছে হাজারো পর্ব ধৈর্য ধরুন এবং মানুষকে জানান। কারণ আপনাদের হাতে মিডিয়া নেই যে দ্রুত মানুষ জানবে। আর এসব পিছনের সত্য কখনোই ছাপা হবে না। আগামী পর্বে পড়ুন ঢাকার কোন কোন সম্পাদক ও টেলিভিশন সাংবাদিক রাজশাহি থেকে রিপোর্টারদের বাধ্য করে আমের ঝুড়ি পাঠাতে।

বিষয়: বিবিধ

১৮৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File