শাপলা চত্বরের গণহত্যা নিয়ে একটি অনুসন্ধানঃ নৃশংসতার তথ্য
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ২৭ মে, ২০১৩, ০২:৪৩:১৫ দুপুর
মো. অহিদুজ্জান
শাপলা চত্বরে গণহত্যায় কতজনের লাশ পড়েছে। তার প্রকৃত হিসাব কোন পক্ষ থেকেই এপর্যন্ত দেয়া হয়নি। এমনকি উপস্থিত লোকের সংখ্যা কত তাও নিশ্চিত নয়। হেফাজতের পক্ষ থেকেও তথ্যভিত্তিক কিছু বলা হচ্ছে না। সরকার থেকে বলা হবে এমনটা স্বাভাবিক সুস্থ কোন মানুষ আসা করে না। বিরোধী দলের পক্ষ থেকেও কোন উদ্যোগ নেই। বরাবর আমরা দেখে আসছি কোন আন্দোলন সংগ্রামে ২/৩ জন নিহত হলেও বিরোধী দল তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকারকে চাপে রাখে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এক্ষেত্রে দেশবাসি ব্যাতিক্রম দেখতে পেলো।
আর্ন্তজাতিক মিডিয়াকে দেশের ভিতর থেকে কেউ সহায়তা না করলে তাদের পক্ষে একাজ করা সম্ভব নয়। একাজটি বরাবর সরকার বিরোধী সাংবাদিকদের করতে দেখা গেছে। এবারে বিএনপি পন্থি সাংবাদিককুল একেবারেই নিরব। মূলত বিএনপি পন্থিরা সবসময়ই আধমরা থাকে। দু'চারজন যারা সক্ষম তারাও কোন দিক-নির্দেশনা পায়নি বলে জানা গেছে। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়নি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সবসময়ই পত্রিকার সংবাদের ওপর নির্ভর করে কথা বলে। তাও তাদের মতপথের পত্রিকাগুলোকে প্রাধান্য দেয়। আর দ্বিতীয় সত্য হচ্ছে মানবাধিকার সংস্থা গুলো একাজটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই করে থাকে। মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা গেছে ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যেকোন ঘটনায় প্রকৃত নিহত-আহতের সংখ্যার চেয়ে বাড়িয়ে বলা হতো। এখন যা ঘটছে তার অর্ধেকও বলা হয় না। ভাষা ব্যাবহারের ক্ষেত্রেও তারা শিথিল।
শাপলা চত্বরের বিষয়ে কথা বলছিলাম বৈশাখী টেলিভিশনের রাহুল রাহার সঙ্গে। বুঝলাম আওয়ামী পন্থি হিসাবে তারা সকলে একই পয়নালি থেকে এসেছেন এবং পঞ্চবটি। যাইহোক, রাহুল বললো সরকার হার্ডলাইনে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। আমি বললাম মানবাধিকারের বিষয়টি কী হবে? ---- । কথা বললাম- বিএনপি পন্থি যারা প্রফেসনাল তাদের সঙ্গে। তারা অত্যন্ত হতাশ। তাদের নিরাপত্তার কারণে আমি তাদের নাম উল্লেখ করছি না। একজন বললেন- তার সঙ্গে অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সকলেই মতিঝিল এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার সময়ে বিদ্যুৎ না থাকলেও হত্যাকারিদের হাতে ছিল টর্চ লাইট। মাঝে মাঝে গাড়ির লাইট তারা ব্যাবহার করেছে। এতে তারা যতটা দেখতে পেয়েছেন তাতে তাদের ধারণা ৪-৫ হাজার লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এতো লাশ কোথায় গেলো? যে গরম পড়েছিল তাতে হিমাগার ছাড়া লাশ রাখাটা কী সম্ভব? কোথায় গণকবর দেয়া হলো? এতো হিমাগার কী দেশে আছে? যদি এই লাশের সাক্ষী থেকে যায় তাহলে আজ হোক কাল হোক সরকার পরিবর্তন হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে কিনা? কারা এই অপারেশনে অংশ নিয়েছিল?
এমন ৫০টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি। কথা বলেছি বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে। জানাচ্ছি আগামী কাল।
চোখ রাখুন খাস খবরে।
বিষয়: বিবিধ
১৪০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন