সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের উপদেশ এবং বাস্তবতা
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ২৭ মে, ২০১৩, ১০:৪৩:০৩ সকাল
মো. অহিদুজ্জামান
কলামিস্ট, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)'র বার্তা সম্পাদক ছিলেন। মফস্বল ডেস্কের ইংরেজি নিউজও তিনি দেখতেন। একদিন সকালের শিপটে তার কাছে একটি নিউজ দিয়ে বললাম- মকসুদ ভাই এটা রিলিজ দিয়ে দেন। নিউজটি সময় উপযোগী। তিনি প্রশ্ন করলেন তোমার কাছে কেন মনে হলো এটা সময়োপযোগী। আমি বললাম- ভাই এটাতো সরকারের ডেভালপমেন্ট নিউজ। তিনি বললেন- তুমি শুধু সরকারের ডেভালপমেন্ট দেখ- তোমার ডেভালপমেন্টের কথা চিন্তা কর না? আমি একটু থ হয়ে গেলাম। তিনি বললেন- আরে বোকা ছেলে বুঝ নাই। পরে বুঝবা। সময় আসুক। আমি প্রশ্ন করার আগেই বললেন- এই নিউজটা রিলিজ হওয়ার পর অনেক জায়গায় যাবে। ছাপা হওয়ার আগেই কেউ না কেউ তার নিজের উন্নতির কথা চিন্তা করে এটাকে পন্য করবে। আর তোমার নামের নিচে মার্কার দিয়ে মার্ক করে জায়গামত দিয়ে বলে আসবে। তখন সময়ে আসলে তোমার হবে অবনতি। নিউজটি রিলিজ হওয়ার পর প্রথম আলো. ডেইলি স্টার সহ অন্তত ১০টি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। পরদিন সকালে অফিসে এসে আমার আর একজন শ্রদ্ধাভাজন সাংবাদিক আবুল কালাম মানিক ভাইয়ের নাম ধরে ডেকে মকসুদ ভাই বললেন- মানিক কাজ হয়ে গেছে। অহিদের আগামী ৫ বছরের ব্যবস্থা নিশ্চিত হইছে আরকি। মানিক ভাই তখনো বুঝতে পারেনি। পরে পত্রিকার নিউজ দেখিয়ে বললেন- এই নিউজটি অহিদ করছে। মানিক ভাই মাথা নাড়লেন। তখনো আমি বিশ্বাস করি নাই। অবশ্য ২০০৯ সালে বুঝলাম মকসুদ ভাই অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন। ওই সময়ে তিনি একটা গল্প বলেছিলেন। তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য বোধকরি বলাটা ঠিক হবে না।
প্রিয় পাঠক আজ অনেক কষ্ট নিয়ে এতোটুকু শেয়ার করলাম। হয়তো কোনদিন বাকি কষ্টের কথাগুলো আর বলার সুযোগ নাও পেতে পারি।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন