দিনে দিনে বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে এখনই
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ২৬ মে, ২০১৩, ১২:২১:১৭ রাত
মো. অহিদুজ্জামান
১৯৭২-'৭৫ সময়ে যারা জন্ম গ্রহণ করেনি তারা অসূরের শাসনকালের অন্ধকার ইতিহাস জানে না। কঙ্কালসার মায়ের বুকের উপর ক্ষুধাকাতর ছোট্ট শিশুর ক্রন্দন দৃশ্য দেখেনি। মা দীর্ঘ অনাহারে থেকে থেকে বুকের দুধ শুকিয়ে গেছে। হাড়ের খাঁচায় শুকনো চামড়ার ছাউনিতে মা ও শিশু সন্তানের কান্নায় '৭৫ নাগাদ বাংলাদেশের আকাশ বাতাস ছিল বিদীর্ণ। তাই ওদের উপলব্দীতে নেই অসূরজাতের শাসন কত বেদনাদায়ক। কতটা মর্মন্ধুদ। কতটা মানবতা স্পর্শী। তখন তরুণ কবি রফিক আজাদের মন ছুঁয়েছিল তাই সে লিখেছিল ''হারামজাদা ভাত দে নইলে তোর মানচিত্র খাবো"। অমনি জেল-যুলুম হুলিয়া-ফাঁসির আদেশ দিতে একমুহুর্ত অসূর রাজা বিলম্ব করেনি। দোসররা গলা ঝেড়ে মানুষ পঁচার গন্ধ ঢাকার চেষ্টা করে। ওরা যুক্তি দেখায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ছিল। শালাদের উদ্দেশে আমি বলবো- দেশ পূণর্গঠনের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা সহ সারা বিশ্বের দেয়া সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা এবং ১ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য গেল কোথায়? তখন দেশে লোক ছিল সাড়ে ৭ কোটি। যদি যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয় তাহলে ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ। তখন খাদ্যের চাহিদা ছিল ৫০-৭০ লাখ মে.টন। দেশে উৎপান ছিল ৩০-৪০ লাখ মে.টন। বাকি খাদ্য গেল কোথায়? টাকার হিসাব কে দেবে? অসূর রাজা নিজেই তো বলেছে "সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য ৮ কোটি কম্বল আইল আমার ভাগেরটা কোথায়? আমার দলের সব চোর। কিন্তু সকল চোরের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল অসূর পরিবার। ওরা ছিল নরখাদক। যা পেয়েছে সবই খেয়েছে। হেনরি কিচিঞ্জার বাংলাদেশকে বলেছিল তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে অসূর রাজা। আজ তারই সাক্ষাৎ টাইরিনি ক্ষমতায়।
- চলবে
বিষয়: বিবিধ
২০০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন