ধর্ম কী নিছক একটি ব্যাবসা ?
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ০৪ মে, ২০১৩, ০৭:৪১:৪৪ সকাল
মো. অহিদুজ্জামান
মানুষের পৃথিবীতে হিংসা, হানাহানি, বৈষম্য সৃষ্টি, আতঙ্ক ছড়ানো কিংবা কারো বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়া অথবা বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করে দেয়ার জন্যই কী ধর্মের আগমন?
যদি তাই হয়, তাহলে আমি ধর্মের সেই মৌলবাদকে গুঁড়িয়ে দিতে চাই। মানবতা যদি সকলের উর্দ্ধে না থাকে তাহলে সেই মৌলবাদে আমি হিস্যু করি।
ধৃ ধাতু থেকে ধর্ম শব্দের উৎপত্তি। ধৃ অর্থ ধারণ করা। মানুষ যা ধারণ করে তাই ধর্ম। এখন মানুষ কোনটি ধারণ করবে? ধর্মে নামে ঠকবাজি করা হচ্ছে। ধর্মের নামে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদকে উস্কে দেয়া হচ্ছে। ধর্মের ব্যাবসা করে মানুষ ঠকানো হচ্ছে। বর্ণবৈষম্য, সাদা-কালো বিবেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আবার কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করছে। মতের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। মুক্ত মনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। জাত-পাতের বিবেচনা করা হচ্ছে। রয়েছে অহংকার অহমিকা। অহংবোধে টইটুম্বুর একটা আস্ত বন্য প্রাণী ধর্মের মস্তবড় ধ্বজাদারি। ধর্মের নামে সর্বক্ষেত্রে আপন পাতে সেয়ান। জোচ্চুরি, লাম্পট্য, কুলঙ্গারি যা আছে তা সবই করছে। আবার মানুষের মুণ্ডপাতের হুকুম দিচ্ছে। যদি তাই ধর্ম হয় সেই ধর্মেও আমি হিস্যু করি।
সমাজে একশ্রেণী রয়েছে ধর্মের ইজারাদার তাদের কথায় প্রমাণ করে- মেয়ে লোকের একটু উরতের রাঙা চামড়া দেখলে তাদের ধাতু গলে যায়। তাদের ইমান টুটে যায়। তাদের ইমান কী টন টন করা পাকা ফোঁড়ার পূঁজ গলার মত? গুতো লাগলেই ছুটে যাবে?
মুলত ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করতে গিয়ে এমন কঠিন ভাবে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে যা শুনলে মনে হয় দামড়া গরুর চামড়া টেনে বলানোর চেয়েও ধর্ম আরো কঠিন কিছু।
কিন্তু এই ধর্মীদাড়িরা পৃথিবীর ক্ষুধা তাড়ানোর জন্য কী করছে? কোটি কোটি শিশু-বৃদ্ধ, অসহায় মানুষ প্রতিদিন
ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে। উলঙ্গ থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ওষুধ পাচ্ছে না। চিকিৎসা পাচ্ছে না। থাকার জায়গা নেই। শিক্ষা পাচ্ছে না। মানুষ আজ ক্ষুধা নিয়ে পৃথিবীতে জন্ম নেয় আবার ক্ষুধা নিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যায়। ধর্মের উপাসনা লয়ে প্রতিদিন যত টাকা ব্যায় হয় তা যদি মানুষের কল্যাণে ব্যায় হতো তাহলে কোন মানুষ না খেয়ে থাকতো না।
মহান দার্শনিক ইকবাল বলেছেন যে শষ্যক্ষেত মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে না তাতে আগুন ধরিয়ে ছারখার করে দাও।
চলবে-
বিষয়: বিবিধ
১২১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন