শেখ হাসিনার প্রিয় খাবারঃ তাজা বড় ট্যাংরা-কাঁকড়া পর্ব- ১
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ২৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:৩৭:১২ রাত
মো. অহিদুজ্জামান
পর্ব- ১
আমার এক কলিগ শেখ হাসিনার খুব ভক্ত। পেশায় সাংবাদিক। কেয়ার টেকার সরকারের সময়ে প্রধান উপদেষ্টার বিটে ছিলেন। ২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরও প্রধানমন্ত্রীর বিটে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ২০১২ সালের প্রথম দিকে একদিন শুনলাম তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। জানতে চাইলাম কী কারণে সরানো হলো। উত্তরে জানালো মালাউন দাদার কান কথায় হাসিনা এ কাজটি করছে। বুঝতে বাকি রইলো না সুভাষ চন্দ বাদল। জানতে চাইলাম কেন বাদলের কথা শুনলো। আপনিতো হাসিনার খুব কাছের সাংবাদিক। বললো নারে খাওয়াতে-দিতে পারলে সকলেই কাছের হয়ে যায়। বললাম, বাদল এমন কী দিল-খাওয়ালো যে কাছের হয়ে গেল? জানালো হাসিনা কাঁকড়া-ট্যাংরা বড় বেশি ভালোবাসে।
অন্য একদিন শিক্ষাভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। হাসিনার গুনগানে পঞ্চমুখ। কথায় কথায় বললেন, জানেন তো আপা খুব সাদাসিদে মানুষ। সে গোসলের পর খুব সাজুগুজু করে। মাঝে মাঝে সিঁথিতে সিঁদুরও পরে। জানতে চাইলাম কেন পরে? বললেন, এটা মজা করে। প্রশ্ন করলাম আপনি জানলেন কি করে? জানালেন সে গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া মসজিদের ইমাম। আমি আগেই জানতাম সে শেখ হাসিনার খুব কাছের হুজুর।
একদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়ানো। মনোজ কান্তি রায় নামের এক সাংবাদিক জোড়ে জোড়ে চিৎকার করছে। সে বাসসে চাকরি করে। তবে কাজ করে না। কারণ চাকরিটা হাসিনা দিয়েছে। সংবাদ তৈরি করার মতো ইংরেজি-বাংলা কোনটাই জানে না। তবে ইংরেজি বিভাগেই চাকরি। কারণ তার ভাই ইন্ডিয়ার স্বরাষ্ট্র সচিব। হাসিনা তা জানে। এজন্যই এতো কিছু। যাইহোক চিৎকার দিচ্ছিল। শুনতে পেলাম এক আজব কথা। সে বলছে- 'হাসিনার রাঙ্গা পোলা খুব পছন্দ।'
উদাহরণ হিসেবে বললো ইকবাল সোবহান চৌধুরির কথা।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইকবাল সোবহান চৌধুরি নোয়াখালি থেকে নমিনেশন পেয়েছিল। এটা সাংবাদিকদের মধ্যে যথেষ্ট আলোচিত ছিল। তবে সে দেখতে খুবই রাঙ্গাচাঙ্গা। একসময়ের প্রভাবশালি ইংরেজি দৈনিক অবজারবার খেকো - বাল চৌধুরি এখন বাসসের ম্যানেজিং বোর্ডের চেয়ারম্যান। বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুকের কাছে গো হারা দিয়েছিল। এক নারী সাংবাদিক হাসিনার খুব ভক্ত। সে হিন্দু ধর্মের। জানতে চাইলাম কেন সে এতো ভক্ত? জানালো হাসিনা শখ করে শাখা পড়ে। সঙ্গে লাল পেঁড়ে শাড়ি। বেণিও বাঁধে। জানতে চাইলাম এই বুড়ি বয়সে এগুলো করে? সে জানালো, হ্যাঁ। ফের বললো তুমি জানোনা। শেখ হাসিনা এখনো গান গায় আর নাচেও। বললাম কী পড়ে নাচে? বললো তুমি কিছুই জানো না। বোকা। হাঁদারাম। মেয়েরা কী পড়ে নাচে তাকি বলা দরকার? আবার বললাম এই বুড়ি বয়সে তাই করে? ফের বললো, হ্যাঁ তাই করে। আমি বললাম এতো সব জানবো কী করে? আমিতো কোনদিন তার কাছে যাইনি। আমি বললাম এজন্যই কী তাকে ভালো লাগে। সে বললো আরো অনেক কিছু আছে। বেশ মজার।
চলবে-
বিষয়: বিবিধ
২০৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন