হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের গোপন চুক্তিঃ তৃতীয় পর্ব (চলবে)
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:১৫:২৭ বিকাল
মো. অহিদুজ্জামান
তৃতীয় পর্ব- (চলবে)
আমেরিকা সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আর্ন্তজাতিক সংস্থা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার উন্নয়নে অনেক পূর্ব থেকেই উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতেছিল। একাধিকবার তারা গবেষণাও করেছে। গবেষণায় সুপারিশ ছিল মূল শিক্ষাকে ঠিক রেখে আধুনিকায়ন করা। এসব সংস্থা বেশি জোর দিয়েছে কওমী শিক্ষিতদের মন মাসিকতার পরিবর্তনের ওপর। কারণ তারা এই শিক্ষাকে খারাপ চোখে দেখে নাই কখনো। তবে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জরাজীর্ণ মানসিকতাকে। সরকারি অনুমোদন বিহীন চলা। জবাবদিহিতার অভাব। অর্থের উৎস না জানা। এসব কারণে কওমীপন্থিদের দিকে সকলের সন্দেহের তীর ছিল জঙ্গিবাদ বিষয়ে। এর প্রমাণও মিলেছে অনেকবার। ইরান, আফগানিস্তান, ইরাক, আযাদ কাশ্মিরে যুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে যারা অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে কওমী শিক্ষিত বেশি। এমনকি বাংলাদেশে জঙ্গি হিসেবে যে কয়জন আর্ন্তজাতিকভাবে চিহ্নিত তাদের মধ্যে অধিকাংশই কওমী শিক্ষিত। এরপিছনে তাদের মন মানসিকতাই বেশি দায়ী বলে সকলের মনে হয়েছে। তাই এথেকে উত্তরণের জন্য বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। তবে এশিক্ষা বন্ধের সুপারিশ কখনোই কেউ করেনি। এমনকি এই লন্ডনেও সরকারি অনুমোদনক্রমে কওমী শিক্ষা চালু রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানও তারা শিখছে।
কিন্তু শেখ হাসিনার সবসময়েই আগবাড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে। এই সহজাত তাড়নার কারণে জঙ্গিবাদ বিরোধী বিশ্বকে খুশি করতে কওমী মাদ্রাসা বন্ধের উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতা দখলের পর আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একাধিক বার বৈঠক করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে। এসব বৈঠকে কওমী মাদ্রাসার কোন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছিলেন জঙ্গিবাদের বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা মাদ্রাসা শিক্ষানীতিমালা চূড়ান্ত করছি। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন অবশ্যই জঙ্গিবাদ নির্মূলে কওমী মাদ্রাসাকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনবো। এছাড়া কোন মাদ্রাসা চলতে পারবে না। চলবে-
মো. অহিদুজ্জামান
তৃতীয় পর্ব- (চলবে)
আমেরিকা সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আর্ন্তজাতিক সংস্থা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার উন্নয়নে অনেক পূর্ব থেকেই উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতেছিল। একাধিকবার তারা গবেষণাও করেছে। গবেষণায় সুপারিশ ছিল মূল শিক্ষাকে ঠিক রেখে আধুনিকায়ন করা। এসব সংস্থা বেশি জোর দিয়েছে কওমী শিক্ষিতদের মন মাসিকতার পরিবর্তনের ওপর। কারণ তারা এই শিক্ষাকে খারাপ চোখে দেখে নাই কখনো। তবে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জরাজীর্ণ মানসিকতাকে। সরকারি অনুমোদন বিহীন চলা। জবাবদিহিতার অভাব। অর্থের উৎস না জানা। এসব কারণে কওমীপন্থিদের দিকে সকলের সন্দেহের তীর ছিল জঙ্গিবাদ বিষয়ে। এর প্রমাণও মিলেছে অনেকবার। ইরান, আফগানিস্তান, ইরাক, আযাদ কাশ্মিরে যুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে যারা অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে কওমী শিক্ষিত বেশি। এমনকি বাংলাদেশে জঙ্গি হিসেবে যে কয়জন আর্ন্তজাতিকভাবে চিহ্নিত তাদের মধ্যে অধিকাংশই কওমী শিক্ষিত। এরপিছনে তাদের মন মানসিকতাই বেশি দায়ী বলে সকলের মনে হয়েছে। তাই এথেকে উত্তরণের জন্য বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। তবে এশিক্ষা বন্ধের সুপারিশ কখনোই কেউ করেনি। এমনকি এই লন্ডনেও সরকারি অনুমোদনক্রমে কওমী শিক্ষা চালু রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানও তারা শিখছে।
কিন্তু শেখ হাসিনার সবসময়েই আগবাড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে। এই সহজাত তাড়নার কারণে জঙ্গিবাদ বিরোধী বিশ্বকে খুশি করতে কওমী মাদ্রাসা বন্ধের উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতা দখলের পর আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একাধিক বার বৈঠক করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে। এসব বৈঠকে কওমী মাদ্রাসার কোন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছিলেন জঙ্গিবাদের বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা মাদ্রাসা শিক্ষানীতিমালা চূড়ান্ত করছি। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন অবশ্যই জঙ্গিবাদ নির্মূলে কওমী মাদ্রাসাকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনবো। এছাড়া কোন মাদ্রাসা চলতে পারবে না। চলবে-
বিষয়: রাজনীতি
১৪১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন