হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের গোপন চুক্তিঃ দ্বিতীয় পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১২ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৪৯:৫৭ দুপুর
মো. অহিদুজ্জামান
(দ্বিতীয় পর্ব)
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মাসে শেখ হাসিনা ক্ষমতা নেওয়ার আগে দেশে জঙ্গি ইস্যু নিয়ে সোচ্চার গলাবাজি করেছে। ঠিক ক্ষমতা নেওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেও এই কাজটিই করে। শুধু প্রধানমন্ত্রি নয় তার মন্ত্রি পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলকারিরাও শেখ হাসিনার সঙ্গে সুর তোলে। এমনকি বিডিআর হত্যাযজ্ঞের সঙ্গেও জঙ্গিরা জড়িত থাকার কথা প্রকাশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি সাহারা খাতুন, আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, প্রতিমন্ত্রি কামরুল, কৃষিমন্ত্রি মতিয়া চৌধুরি সহ অন্যরাও বলেছিল।আর সবসময়ই এই ইস্যুতে তাদের আঙ্গুল থাকে কওমীমাদ্রাসার আলেমদের দিকে। এর পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে।
যদিও আ'লীগ জামাত-শিবিরকে টার্গেট করে মাঠে-ময়দানে জঙ্গি বলে বক্তব্য দিচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কান্ট্রি অ্যাসেজমেন্ট রিপোর্টে জামাত-শিবিরকে একটি মৌলবাদি সংগঠন হিসেবে
উল্লেখ করা হয়। এটা কোন গোপন বিষয় নয়। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েব সাইট সহ সবজায়গাতেই রয়েছে। এসব রিপোর্টে সমাজতান্ত্রিক ঘরানার দলকেও চরমপন্থি হিসেবেই উল্লেখ থাকে। তবে জঙ্গি ইস্যুতে অর্থের যোগান দাতার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়। এবিষয়টি যেহেতু গোপন তাই আওয়ামী লীগ বরাবরই এই ইস্যুতে জামাতের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের হুমকি দিয়ে আসছে। জোড়েসোরে কথা বলে। তবে এগুলো শুধুই ভাওতাবাজির রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। প্রকৃতসত্য হচ্ছে- ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনার কাছে জঙ্গি ফিঙ্গি কোন ইস্যু নয়। সকল জঙ্গির বাপ বিন লাদেনকে স্বামী হিসেবেও গ্রহণ করতে শেখ হাসিনা দ্বিধা করবে না এবং প্রয়োজনে লাদেনের পক্ষেই গলাবাজি-চাপাবাজি করবে। চলবে-
বিষয়: রাজনীতি
১৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন