সাংবাদিক নির্যাতনঃ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান চার বছরে খুন ১৯ জন, নির্যাতনের শিকার ২০০০
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৩১:০৬ সকাল
মো. অহিদুজ্জামান
বাংলাদেশে ২০০৯-২০১২ সাল পর্যন্ত সাংবাদিক খুন হয়েছেন ১৯ জন। গুম ৩ জন। নির্যাতিত হয়েছেন ২০০০ হাজারের বেশি। জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা বন্ধ করেছে এপর্যন্ত অন্তত ২শ। টেলিভিশন চ্যানেল '০৯ সালের পর বন্ধ করেছে ২ টি। হয়রানি করা হয় ১টিকে।
ম-ফ উদ্দিন সরকারের বন্ধ করা ৪ টি চ্যানেল চালুর অনুমতি দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি আওয়ামী লীগ। এছাড়া ফেসবুক, ইউটিউব বন্ধ করা হয়েছে কয়েকবার এবং কতটি অনলাইন পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে তার হিসাব নেই।
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসার পর প্রথম নির্যাতন শুরু করেছে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত জাতীয় নিউজ এজেন্সি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)'র সাংবাদিকদের ওপর। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে অফিসে আসা বন্ধ করে দেন। এরমধ্যে শেহাব উদ্দিন আহমেদ নাফা, জাহাঙ্গির হোসেন, কবি আবদুল হাই সিকদার ভাই সহ আরো অনেকে। কবি আবদুল হাই সিকদার বাসসের ফিচার এডিটর ছিলেন। বর্তমানে আমার দেশের সিনিয়র সহকারি সম্পাদক। জাহাঙ্গীর ভাই ছিলেন বাসসের নয়া দিল্লি ব্যুরো প্রধান(বিএনপির সময়ে)। তিনি ২০০৫ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউজ করেছিলেন। নিউজটি ছিল শেখ হাসিনার ছেলে জয় বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রণব বাবুর কাছে অভিযোগ করতে গিয়েছিল। শেহাব উদ্দিন আহমেদ নাফা ছিলেন বার্তা সম্পাদক। এর আগে তিনি ডেইলি স্টারের প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। তিনি ভিষণ অসুস্থ। ২০০৩ সালে বেগম জিয়ার সঙ্গে চীনে গিয়েছিলেন। তখন ব্রেনস্ট্রোকে অসুস্থ হন। চীন সরকার তাকে চিকিৎসা করেন। এই অসুস্থ মানুষটির চোখে-মুখে করুণতার ছাপ দেখে খুব খারাপ লাগলো। প্রকৃত জাতীয়তাবাদী পন্থি সাংবাদিকদের মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছিল। আর দালালদের মধ্যে প্রতিযোগীতা শুরু হলো কে কতটা দালালী করতে পারে।
অবশেষে সকলের আশংকা সত্যি হলো। কবি আবু সালেহকে ঠিকই লাঞ্ছিত করলো। বেচারা সিনিয়র মানুষ। কিন্তু জাতীয়তাবাদীরা কেউ কোন প্রতিবাদ করলো না। এই অপমানটা করলো আজম সরোয়ার চৌধুরী। সাথে ছিল স্বপন বসু। আজম সরোয়ার চৌধুরীর বাপ ১৯৯৬'র আওয়ামী লীগ আমলে বাসসের সম্পাদক ছিলেন। তার দুলা ভাই আজিজ ভুইয়াও বাসসে চাকরি করে। মোদ্দাকথা শালা-দুলাভাই-বোন সহ একপরিবারের ৬ জনই বাসসে আছে। আজিজ ভুইয়া বর্তমানে বাসসের সম্পাদক। সে ২০০৫ সালে ইংরেজি বিভাগ থেকে মাইকেল মধুসুদন দত্তের মৃত্যুবার্ষিকীর রিপোর্টে লিখেছিল "মধুসুদনের মহাকাব্য ১২টি"। যাইহোক, এই স্বপন বসু আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋৃণ নিয়ে আজো দেয়নি। সে ২০১০ সালে চীনে গিয়েছিল খেলার রিপোর্ট কভার করতে। সেখানে মিডিয়া সেল থেকে ল্যাপটপ চুরি করে ধরা খায়। এই খবরটি বাংলাদেশের মেইন স্ট্রিম পত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও এসেছে। চীনে জরিমানা দিয়ে জেল থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু বাসসে ছাত্রলেগের সোনার ছেলে হিসেবে চুরি করে ধরা খাওয়ার পর চাকরি তো যায়নি বরং বিশেষ প্রতিনিধি প্রমোসন হয়েছে। এভাবে সারা দেশে বাসস থেকে মোট ৪৫ জনকে বরখাস্ত করে। এরমধ্যে ঢাকা অফিস থেকে চাকরি চলে যায় ২৮ জনের। ৭ জনের নামে মামলা দিয়েছে। চলবে-----
বিষয়: রাজনীতি
১৩৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন