কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি-দাখিলের উত্তরপত্রে এইচএসসি-আলিম পরীক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন মৃন্ময় মাসুদ ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:০২:৪০ রাত
চান্দিনা ও বুড়িচং (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষার প্রথম দিনে কুমিল্লায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার উত্তরপত্র দিয়ে ২০১৩ সালের এইচএসসি ও দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে কুমিল্লা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে পরীক্ষার দ্বিতীয় অংশে নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষার ওএমআর শিটে এ সমস্যা দেখা গেছে। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক হতাশা ও শঙ্কা বিরাজ করছে।
কলেজের পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া ওএমআর শিটে এইচএসসি পরীক্ষা ২০১৩ লেখার পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ২০১৩ ও মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া আলিম পরীক্ষা ২০১৩ লেখার পরিবর্তে দাখিল পরীক্ষা ২০১৩ লেখা আছে।
এইচএসসি ও দাখিল পরীক্ষার নিয়মানুযায়ী পঞ্চাশ নম্বর নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীদের জন্য তিন ঘণ্টার পরীক্ষার শেষের এক ঘণ্টা নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষার জন্য সময় দেয়া হয়।
পরীক্ষার দ্বিতীয় অংশে নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষার উত্তরপত্র পাওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার্থীরা কক্ষ পর্যবেক্ষকদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনেক পর্যবেক্ষকই এ সমাধান দিতে পারেনি। আবার অনেক পর্যবেক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের উত্তর দিতে না পেরে কোন পরিবর্তন করতে বাধা দেন।
পরীক্ষা শেষে চান্দিনা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষার্থী মীম জানান, আমি চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছি। আমার কক্ষে হঠাত্ ওএমআর শিটে এসএসসি লেখা দেখে কক্ষ পর্যবেক্ষককে দেখাই। তিনি আমাদেরকে জানান, তোমাদের কোন কিছুই পরিবর্তন করতে হবে না। শুধু উত্তর দিয়ে যাও। যা করার বোর্ড করবে।
একই কলেজের একাধিক পরীক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, বিভিন্ন কক্ষে পর্যবেক্ষকরা এসএসসি লেখা কেটে পাশে এইচএসসি লেখার জন্য জানান।
তবে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন ওএমআর শিট মূল্যায়ন করা হয় কম্পিউটারে। যে উত্তর পত্রে একটি দাগও দেয়া যায় না, ওই উত্তরপত্রে এসএসসি লেখা কেটে এইচএসসি লেখা থাকবে তা কি করে হয়? এই সমস্যা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছে পরীক্ষার্থীরা।
এব্যাপারে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম জানান, বোর্ড থেকে একটি নির্দেশিকা এসেছে। ওই নির্দেশিকায় এসএসসি এর স্থানে এইচএসসি লেখার জন্য বলা আছে। কিন্তু কেন এমন সমস্যা হলো তা আমরা জানি না।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কুন্ডু গোপী দাস এর সাথে যোগাযোগ করার একাধিকবার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা যায়নি
http://ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDRfMDFfMTNfMF8wXzNfMzA0NjI=
বিষয়: বিবিধ
১০৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন