ঝিনাইদহ বারবাজারে কালের সাক্ষী এক হাজার বছরের পীরপুকুর মসজিদ

লিখেছেন লিখেছেন যোবায়ের মজুমদার ০৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৪২:৫২ সকাল

বারবাজার ইউনিয়নে এক হাজার বছরের পুরানো পীরপুকুর মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে। প্্রাচীনতম শাহী মসজিদটি প্্রতœতাত্তিক নিদর্শন ও দর্শনীয় বিভিন্ন নকশায় কারুকার্য খচিত ইট ও সুরকি দ্বারা নির্মিত। যার নিদর্শন এখনও বিদ্যমান।



মসজিদটি ১৯৯৩Ñ৯৪ সালে খনন করা হয়। পিলারের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা যায় যে, মসজিদটির উপর পনেরটি গম্বুজ বহন করতে পারতো। ইটের পিলারগুলো বর্গাকার এবং কোণগুলো গোলাকার।ভ’মি থেকে ৪৩ মিঃ উচ্চ এই পিলারগুলির আছে দিগন্তে রেখাকৃতির বাধান। ইহার উত্তরÑদক্ষিণ ১৯.৩৩ মিঃ * পূর্ব পশ্চিম ১০.৭২ মিঃ।এবং দেওয়ালের পুরুত্ব দক্ষিণ পাশে ১.৪০ মিঃ এবং উত্তর পাশে ১.৪০মিঃ।মসজিদের ভিতরে প্রলম্বিত বারটি স্তম্ভ আছে।সামনে পীরপুকুর নামে একটি বিশাল পুকুর আছে।ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন মুসলিম শাসনামলে মসজিদটি নানা রকম প্রাকৃতিক দূর্যোগে চাপা পড়ে যায়। পরে স্থানীয় সহযোগীতায় মসজিদটি উচু ঢিবি থেকে মাটি সরিয়ে সংস্করন করা হয়।

আনুমানিক ১৯৪২ সালে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা দিয়ে খানজাহান আলি প্রবেশ করে।সেখান হতে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদ পুর হয়ে বারবাজার আসে।এখানে অত্যাচারী রাজাধীরাজ নামে এক রাজাকে পরাজিত করে।এবং অত্যাচারী মানুষ দলে দলে ইসলামের পদতলে আসে।এবং তিনি মানুষের জন্য অনেক মসজিদ নির্মান করেন যার নিদর্শন বর্তমান এই মসজিদ।বর্তমানে তারই স্মরনে এ খানে সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে ও মানত করতে আসেন।বর্তমানে সং¯কার অভাবে জরাজীর্ণ অবস্তায় পড়ে আছে এই মসজিদটি।

যোবায়ের মজুমদার

লেখক ও সাংবাদিক

বিষয়: বিবিধ

১৫২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File