আমাদের অনেক দায়িত্ব... অনেক দায়িত্ব... আমরা কি অনুভব করি...!?
লিখেছেন লিখেছেন অনল দুহিতা ২০ জুন, ২০১৩, ০১:১২:৩৬ রাত
"তাঁকে অনেকদিন বলেছি কবিতাগুলো পত্রিকা অফিসে সাহিত্য পাতায় পাঠান। ছাপা হলে পাঠক পড়ার সুযোগ পাবে। জানতে পারবে। অতি চমৎকার কবিতা লিখছেন, অথচ কেউ জানতেও পারবেনা। একদিন দু'জন রিক্সাযোগে প্লটন যাচ্ছি। রিক্সায় বসেই তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আছে নাকি পকেটে কিছু? উনি একটা কবিতা পকেট থেকে বের করে পড়তে লাগলেন। কবিতাটি ছিল ফিলিস্তিনে শিশু হত্যার উপর। তিনি কবিতা পড়ছেন। তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরছে। আমিও স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কোনো কথা বলতে পারলাম না। কতই না গভীর ছিল তার লেখার উপলব্ধি!
শিল্পের জন্য শিল্প এই কথা তিনি বিশ্বাস করতেন না। তিনি বিশ্বাস করতেন জীবনের জন্য শিল্প। শিল্প সত্যের জন্য, সুন্দরের জন্য। মুক্তির জন্য। কবি গোলাম মোহাম্মদ তাঁর কবিতায় আধ্যাত্মিকভাবে রোমান্টিকতা শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বাসী চেতনার পরিস্ফুটন এবং নিসর্গের সৌন্দর্যকে তিনি কবিতায়, গানে ধারণ করেছেন। "
"কবি গোলাম মোহাম্মদ ছিলেন পুরোপুরি একজন কবি। পারিবারিক আর্থিক চাহিদা মেটাতে ব্যাবসা শুরু করলেও উদারতা ও উদাসীনতার দরুন সুবিধা করতে পারেননি।"
পুরোনো বই ঘাটতে ঘাটতে ২০১১ এর এপ্রিল মাসের কিশোর কন্ঠের উপর চোখ পড়ল। কবি গোলাম মোহাম্মদের নাম দেখে পড়ে ফেললাম 'ইব্রাহীম মন্ডল' চাচার লেখাটা।
সত্যি বলতে এই মানুষগুলোর সম্পর্কে পড়তে গেলে একধরনের হাহাকার অনুভব করি... এ হাহাকার থেকে হতাশা আসেনা, বরং একধরণের তাকীদ অনুভব করি। এই নিরব মানুষগুলোর সরব ছন্দগুলো ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্বটা ছিল আমাদেরই। অথচ আমরা খুব কমই জানি অমূল্য মেধার এ মানুষগুলো সম্পর্কে......
"হিজল বনে পালিয়ে গেছে পাখি
যতই তারে করুণ কেঁদে ডাকি,
দেয়না সাড়া নিরব গহীন বন,
বাতাসে তার ব্যাথার গুঞ্জরণ..."
খুব সাধারণ এ কয়টা লাইনে যে কি গভীর মর্মার্থ লুকিয়ে আছে তা সবার চোখে ধরা দেয়না।
আমাদের অনেক দায়িত্ব...
অনেক দায়িত্ব...
আমরা কি অনুভব করি...!?
বিষয়: বিবিধ
১২১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন