বিষয়ঃ অতি উত্তেজিত জনগণ

লিখেছেন লিখেছেন অনল দুহিতা ০৮ মে, ২০১৩, ০৮:০০:০০ রাত

২৮শে ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু করে সাভার আর মতিঝিল পর্যন্ত পুরো বছর জুড়ে যেভাবে গনহত্যা হয়েছে তাতে প্রতিটা মানুষের (অমানুষদের কথা ভিন্ন।) কলিজা পুড়ে আছে। কি ধরনের মানসিক কষ্টে সবার দিন কাটছে তাও না বোঝার কিছু নেই। কিন্তু এই কষ্টে দিশেহারা হয়ে যা তা বললে বা করলে আসলে লাভটা কাদের?

একটা বিষয় তো পরিষ্কার যে ফেইসবুক জুড়ে হায়হুতাশ আর গালি-গালাজ করে কোনো লাভ নেই! তবে কেন এ অনাকাঙ্খিত সিনক্রিয়েট? ডান-বাম দুপক্ষেই সমানতালে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি।

পরিষ্কার ভাষায় একটা কথা বলতে চাই যে, গালি-গালাজ কোনোদিন মুসলমানদের অস্ত্র ছিলনা, ছিলনা, ছিলনা।

আর অযথা কান্নাকাটি করেও কোনো লাভ নেই।

এখন প্রয়োজন এমন কিছু ব্যক্তি, যারা আবেগ নয় বাস্তবতার নিরিখে অবস্থার পর্যালোচনা করে করনীয় বিষয়ে মনোনিবেশ করবে।

যেটা অনেক বেশি খেয়াল রাখা উচিৎ, কোনোভাবেই যেন কোনো ভুল তথ্য প্রকাশিত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকা।

সতর্ক হোন নিজের কৃতকর্মের প্রতি। অতি উত্তেজিত মানুষদের আবেগীয় অদূরদর্শী কর্মকান্ড কোনদিন ইসলামের কোনো উপকারে আসেনি। বরং এগুলো ছিল বেদনাদায়ক পশ্চাদপদতার অন্যতম কারণ।

জানি, এ ভীষণ কষ্ট চাপা দিয়ে রাখতে পারছেন না চাইলেও। কিন্তু ভাইদের এখন হতে হবে ওমর ফারুক, আলী আসাদুল্লাহ, খালেদ সাইফুল্লাহ্র মত কঠিন, সুক্ষ, দূরদর্শী।

আর বোনদের হতে হবে সেই সাহাবার মতই ধৈর্যশীলা, একই যুদ্ধে যার স্বামী, সন্তান আর ভাই মারা যাওয়ার পরও তিনি বোধহীন হয়ে যাননি।

আমাদের সামনে হয়ত আরো কঠিন সময় আসছে। তাই যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকাটাই সমীচিন। ভেঙ্গে পড়লে চলবে না কখনোই।

বিষয়: বিবিধ

১০৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File