আমরা ভালবাসতে পারি

লিখেছেন লিখেছেন অনল দুহিতা ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৭:০৩:১৫ সন্ধ্যা

ফেইসবুকে যখনই ঢুকি, দেখি কেউ না কেউ বাঁশেরকেল্লা টাকা দেয়নাই বলে কান্দাকাটি করছে। ক্যামনে সেটা উদ্ধার হবে সেই নিয়ে কত মনিষীর কত রকম আইডিয়া! কয়েকজন মিলে আবার গ্রুপও খুলে ফেলেছেন। গ্রুপের ছবিও সেইরকম!

নিউজটা আমিও দেখেছিলাম। এক তরুণ বর্ণনা দিচ্ছিল কিভাবে টাকা দেয়। লাইক করলে কত, কমেন্ট কিংবা শেয়ার করলে কত... তার বদনখানি অবশ্য ঝাপসা করে দেয়া হয়েছিলো...

যাহোক, জামায়াত-শিবির এটা করলে টাকা দেয়, ওটা করলে টাকা দেয় বলতে বলতে শেষ পর্যন্ত এইটাও আর বলতে বাদ দিলনা বেচারারা। ওদের আর কি দোষ! জ়ীবনের অপার রহমতের একটা অংশ ওদের কাছে চিরকালই দূর্বোধ্য। ওদের পক্ষে কিছুতেই বোঝা সম্ভব নয় কেন একটা স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা ছেলে সমস্ত আবেগ নিয়ে মিছিলে গলা মেলাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে। কেন সদ্য কৈশোর পেরোনো যুবকের পকেটে পাওয়া যায় বাবার ফোন নম্বর লেখা চিরকুট, যেন লাশটা অন্তত পৌছে যায় সঠিক হাতে। কেন জেলে যাবার আগমুহূর্তেও অদ্ভুত মানুষগুলোর মুখে থাকে জান্নাতি হাসি। ওদের পক্ষে কিছুতেই বোঝা সম্ভব না, কেন একটা অচেনা মানুষের জন্য মানুষ কেঁদে বুক ভাসায় শুধুমাত্র দ্বীনী সম্পর্ক বলে!

একজন খালাম্মা একবার বলেছিলেন, "তোমরা একটু সবর কর মা। এখন যে অবস্থা তাতে ডাল-ভাতের টাকা ছাড়া বাকি টাকা ছেলেগুলোকে দিয়ে দিতে হবে।"

আমরা দেখি ভালবাসা কাকে বলে। প্রতিদিন দেখি, আর মুগ্ধ হই। এ ভালবাসা কোনো রাজার ধনের বিনিময়েও মিলবে রে বোকার দল!

শুকরিয়া তো এমনিতেই আদায় করতে ইচ্ছে হয়। পবিত্র হ্নদয়ের কিছু মানুষের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ করে দেয়ার জন্য.........

আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ...!

বিষয়: বিবিধ

৯৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File