জোট কার সাথে করছেন? আওয়ামী সেন্সরবোর্ডের ছাড়পত্র আছে তো?
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:০৪:১৮ রাত
সারা বছর কোন কাজটা বেশি হয়, তা নিয়ে একটা পরিসংখ্যান সাধারণত বছর শেষে ফেসবুকে দেখা যায়। কিন্তু কোন শব্দ সব চেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়? এর জন্য কোন গণনা লাগেনা। এর আল্টিমেট উত্তর একটাই। 'মুক্তিযুদ্ধ'। ব্যবসাতে শব্দটার প্রয়োগের সাফল্য প্রমাণিত এবং ইর্ষণীয়।
যাইহোক, এই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে এই দেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্লজ্জ বহুরূপীতা বহুবার দেখা গেছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা আবার মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী ৭২-৭৫ ভূমিকা।
তার চুড়ান্ত পর্যায় বর্তমান শেখ হাসিনা ভার্সন। এরশাদের স্বৈরাচারী নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া, ৯৬ এ জামায়াতের সাথে জোট, পা ছুয়ে সালাম, তত্ত্বাবধায়ক দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল, ১/১১ নাকি তাদের আন্দোলনের ফসল। আর এখন সম্পূর্ণ বিপরীত। এরই ধারাবাহিকতায় দলটি কবে যে রাজনৈতিক দলগুলোর 'সেন্সরবোর্ড' হয়ে গেল!!!......
নির্ধারিত 'শর্ত' না মানলে আলোচনা নয়। শর্ত? কী শর্ত? জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হপে।
মাননীয় BAL, বিএনপি কার সাথে জোট করবে না করবে সেটা কি আপনি ঠিক করে দিবেন?
কিন্তু খানিকটা খারাপ লাগে বিএনপি নেতৃবৃন্দের এই ইস্যুতে এড়িয়ে যাওয়া দেখে। বরাবরই দেখা যায়। সর্বশেষ আজকের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বেগম খালেদা জিয়াও . . . . . কথার আক্রমণ কথা দিয়েই প্রতিহত ও পাল্টা আক্রমণ দিতে হবে।
আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও নগণ্যতা স্বীকার করেই বলছি খালেদা জিয়া উক্ত প্রশ্নোত্তরে কি বলতে পারতেন না, "আমরা কার সাথে জোট করব কি করব না, সেটা আমাদের দলীয় অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।" একই কথা দলের অন্যান্য নেতাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একটি গণতান্ত্রিক দলের সাথে আরেকটি গণতান্ত্রিক দলের জোট হতেই পারে। কিন্তু জোট কার সাথে হবে না হবে, এটাতো কারও কাছে জবাবদিহিতার বিষয় না। আবার কোন জোটই চিরস্থায়ী কিছু নয়। ৯৬এ একরকম জোট ছিল, আবার ২০০০ পরবর্তী সময়ে আরেক জোট। বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক প্রয়োজনে জোট ভাঙাগড়া হতেই পারে। কিন্তু সেটা কি কারও ইচ্ছানুযায়ী হতে হবে? কী চমত্কার চেতনাতন্ত্রী বাংলাদেশ!!
বিষয়: রাজনীতি
১৪৪১ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন