আইন শৃংখলা বাহিনীর হেডম, আন্দোলনে সফলতার সম্ভাবনা এবং কাদের মোল্লার 'বিচার'।

লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:৫৪:৪৪ সন্ধ্যা

দেশের আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর আশা ভরসা মোটেই নাই। কারও নাই। যেটুকু ছিল তাও প্রথম ক্রম বিক্রিয়ার মত ক্ষয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আজকে সেই বাকিটুকুও নিঃশ্বেষ হওয়ার পথে। বাইরের শত্রুর কিছু ফালাইতে না পারলেও অন্তত নিজ দেশের মানুষকে মারার একটা ক্রডিট আছে। কিন্তু নিরস্ত্র জনতার প্রতিরোধে অস্ত্র নিয়াও যখন পাইরা উঠেনা, ভীনদেশী উড়ে এসে জুড়ে বসা কাক শকুনের স্টাইলে হেলিকপ্টার যোগে পালাইতে বাধ্য হয়, তখন তাদের সামর্থ নিয়া সন্দেহ জাগে। মানুষ মানতে বাধ্য হয়, বাংলাদেশের বাহিনী গুলা কি পরিমাণে গোপালী ভাইরাসে আক্রান্ত। সংকা জাগে বিদেশী কামান, ড্রোন, বি-২ বোম্বারের সামনে এরা কি ফালাইবে। হা হা হা। ওদের কাছ থেকে সমস্ত অস্ত্র কাইড়া ছুরি, চাপাতি, রামদা, আর লাইসেন্সবিহীন ইন্ডিয়ান দাদাদের ছোট ছোট পিস্তল ধরায় দেওয়া হোউক। জোর দাবি জানাচ্ছি। ঘরের বাইরের দুই শত্রুই আতঙ্কিত থাকবে। ক্যাম্পাসে শান্তি শৃংখলা, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা, গ্রুপে গ্রুপে শান্তি আনায়ন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিতে এগুলার সফল প্রয়োগ দেখেও কি এগুলার প্রয়োগের সফলতা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে!!?

তবে রে বিশৃংখলা বাহিনীর হর্তাকর্তারা, গণ আন্দোলনের দাম দে। জনতার প্রতিরোধ বলে একটা জিনিস আছে।

২.

এইবার আরেকটা কথা বলি। শুনে মনে হইতে পারে কত বড় একজন ছাল এইখানে লেকচার দিতে আসছে। কিন্তু আমার কাছে এইটাই ঠিক মনে হয়েছে।

প্রথমত দেখেন, শাহবাগে কথিত আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। সেটা তারা গোটা দেশের বলে চালিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে। গ্রামের একটা সহজ সরল মানুষ যখন টিভির দিকে তাকায়, তখন ভাবে, বাহ রে এত বড় আন্দোলন!!

কিন্তু দ্বিতীয়ত দেখেন, সারা দেশের সাথে ঢাকার যোগাযোগ আজ কার্যত বিচ্ছিন্ন। কিন্তু তবুও তা তেমনটা আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছেনা। এভাবে অনন্ত কাল হরতাল/অবরোধ দিতে থাকলেও হাসিনা দাবি মেনে নিবেনা।

কারনটা কি? কারণটা হচ্ছে সংখ্যায় নগণ্য হয়েও প্রথম শ্রেণীর কাছে আছে ঢাকার নিয়ন্ত্রন। কিন্তু বিরোধী জোটের . . . . . ??

সুতরাং আন্দোলনে সফলতা পাইতে হইলে ঢাকার নিয়ন্ত্রণটাই আগে জরুরী। নতুবা ঐসব 'জনতার প্রতিরোধ' দিয়ে কাম হইবেক না। কাম যদি হতোই, তবে এত হাজার হাজার প্রাণহানি হতোনা, যেখানে প্রাণহানির ভয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়।

৩.

আইনশৃংখলা বাহিনী একদিকে যেমন জনতার উপর গুলি চালাচ্ছে, অন্যদিকে মাল্টিস্তরের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে শাহবাগে বসে থাকা একশ্রেণীর আন্ধা প্রজাতিকে। না বিরানীর কথা বলব না। কারন এটার কোন নিউজ লিঙ্ক নাই। এখন তো আবার লিঙ্কের যুগ কিনা। কিন্তু মাল্টিস্তরের নিরাপত্তা, দ্রুত গতির wi-fi ইন্টারনেট, ভ্রাম্যমান টয়লেট, 'বেতন ভাতার' ভাগাভাগি (ডাক্তার আইজু কর্তৃক প্রমাণিত) কোনটাই মিথ্যা না। এর নামও নাকি আন্দোলন।

আর এই 'আন্দোলন' কিসের জন্য?

- কাদের মোল্লার বাড়ি ঘেরাও করমু।

- কি করছে কাদের মোল্লা?

- বাঙালীরে এসিড মারছে।

জনাব আবদুল কাদের মোল্লা সাহেব তিনশ মানুষ মারছে!!? তিনশ!!? তিনশই মারুক আর তিনটাই মারুক। মারলে তার বিচার হবে।

কিন্তু যে ট্রাইব্যুনাল নিজেই চোর, যে ট্রাইব্যুনাল নিজেই খুনী, যে ট্রাইব্যুনাল নিজেই দালাল, যে ট্রাইব্যুনাল নিজেই ধান্দাবাজ, সে ট্রাইব্যুনাল তিনশ কেন তিন হাজার খুনের আসামীরও বিচার করার যোগ্যতা রাখেনা।

বিষয়: রাজনীতি

১৭৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File