রোম পুড়ছিল। নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিল। আজ দুবাই বাঁশি বাজাচ্ছে, তাই দেখে আমরা পুড়ছি।
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৩৩:৪৩ সকাল
এবার আপনাদের সামনে হাজির হলাম একজন মস্তবড় জ্ঞানী হিসেবে। পড়বেন আর মখা হবেন কিংবা স্পীকার হবেন কিংবা মখা স্পীকার দুইটাই হবেন। যারা কোনটাই হবেন না, নিঃসন্দেহে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। পড়বেন আর ভাববেন আমি কতবড় একজন চ্যাঁটের বা* যে এখানে ফালাইতে আসছি।
ওয়ার্ল্ড এক্সপো নিয়ে কিছু বলব। আগামী ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০’ নির্বাচনে দুবাই জয়লাভ করেছে। এতে আমিরাতবাসী/প্রবাসী উভয়ই খুশি। কেননা এই বিজয়ে আগামী ছয় বছর পর্যন্ত নিরিবিচ্ছন্ন কাজ হবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের কাজে কয়েকটি দেশ প্রচুর জনশক্তি নিয়োগ দিতে পারবে। এশিয়া থেকে নেপাল, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, ভূটান এগিয়ে রয়েছে। নেপাল ইতিমধ্যে লক্ষাধিক নেপালীর চাকুরীর নিশ্চয়তা ঠিক করে ফেলেছে।
কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কিংবা আশা কেমন? নিজেই ধারণা করে নিন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকার তার অকৃত্রিম 'বন্ধু' রাশিয়াকে সমর্থন দিয়েছে। দুবাই থেকে ভোটের জন্য সর্বোচ্চ অনুরোধ করলেও তারা বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনে ব্যর্থ হয়েছে। দুবাইকে সমর্থনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন হয়েছে। দুবাইতে অবস্থানরত প্রবাসীরা অনুরোধ/দাবী করেছিলেন। উদ্দেশ্য একটাই। তাদের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন করা। কিন্তু সকল দাবী উপেক্ষা করে বাংলাদেশ সরকার সমর্থন দিয়েছে রাশিয়াকে। এমনিতেই আমিরাতের ভিসা বন্ধ। কানাঘুষা চলত হয়ত বাংলাদেশ সমর্থন দিলে বাংলাদেশের জন্য তা আবার খুলে দেওয়া হবে।
কিন্তু না। দুবাই-এর এই সফলতায় বাংলাদেশীদের খুশী হবার কিছু নাই। তাদের ভাগ্যের চাকা তো ঘুরবেই না উল্টো আরো সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেটা খুবই সম্ভব।
এখন আপনি যদি মখা কিংবা স্পিকার হয়ে গিয়ে থাকেন, তবে বলবেন তুমি এসব বড় বড় রাজনৈতিক ম্যাটারের কি বুঝো? ওয়ার্ল্ড এক্সপোর তুমি কী বুঝো? রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়া বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে কর্তব্য হ্যান ত্যান।
আমি বুঝতে চাইনি রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের মাধ্যমে কী হিউজ পরিমাণ আর্থিক লাভ হবে। আমি শুধু জেনেছি এতে সুন্দরবন ধংস হবে। সুতরাং রামপাল চাইনি। টিকফার ভিতরে অবিঝাবি কি কি আছে দেখিনি। শুধু জেনেছি বাংলাদেশের স্বার্থ আম্রিকার কাছে বিক্রি হবে। সুতরাং টিকফা চাইনি (টিকফা বানানটা ঠিক আছে কিনা তাও জানিনা/জানতে চাই না)। এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের করুণ অবস্থা। অবস্থাকে আরও করুণ করতে রাশিয়াকে ভোট কেন? এখন যদি দুবাইতে থাকা বাংলাদেশিদের ঘাড় ধরে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়, সরকার তাদেরকে কি গণভবনে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে নাকি রাশিয়া পাঠাবে। রাশিয়া পাঠানো যায়। সেখানে অস্ত্র কারখানায় নিয়োগ দেওয়া হবে। আপনারা জেনে উল্লিসত হবেন যে, আমিরাতে বাংলাদেশের মন্ত্রীরা আগে ভিজিট ভিসায় আসতেন। ইদানিং সেটাও বন্ধ। মাত্র কিছু দিন আগেই বস্ত্র মন্ত্রী ভিসা না পেয়ে দুবাই এয়ারপোর্ট থেকে অপেক্ষা করে ফিরে গিয়েছেন। দুবাই কেন যাবেন, রাশিয়া যান।
অবশ্য রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ার পেছনে সুদুর প্রসারী একটা কারণও আছে। যে হারে জনগণের উপর অস্ত্রের প্রয়োগ চলছে, তাতে আট হাজার কোটি টাকার অস্ত্র শেষ হতে বেশি দিন লাগবে না। তাই আবারও বন্ধু রাষ্ট্রের শরণাপন্ন হতে হবে। পরে যদি অস্ত্রের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা কম ধরে, সেজন্যই এই ভোট দান।
সমালোচকরা খালি সমালোচনায় জানেন। এত এত টাকা ভবিষ্যতে সেভ হবে এজন্য একটু প্রশংসাও তো করা উচিত নাকি।
এখন বলেন আপনি কোনটা হলেন? মখা নাকি স্পীকার?
পোস্টের তথ্যসমূহ এখান থেকে নেওয়া - http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/1704/tipu1900/32167
বিষয়: বিবিধ
১২০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন