জলিল সাহেবের জলিলীয় প্রতিশোধ।

লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৫:৩৩:১৭ সকাল

অনন্ত জলিল সাহেব গেছেন ইন্ডিয়ায়। ফেলানী হত্যাকান্ড নিয়ে ইন্ডিয়ার উপর ক্রুদ্ধ তিনি। ইন্ডিয়ার গুণ্ডারা তাঁর বোন ফেলানীকে হত্যা করেছে। ধরে নিয়ে গেছে তাঁর অসংখ্য ভাইবোনকে। প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে ঐ গুণ্ডা বাহিনীর দ্বারা। এর প্রতিশোধ নিতেই হবে। পেশায় তিনি একজন রিক্সাচালক হলেও নিজ ও জাতির স্বার্থে এ কাজ নিজের কাঁধে নিয়েছেন। নইলে দেশ উদ্ধার করবে কে . . . . ? লক্ষ্য একটাই। গুণ্ডাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধংস করা এবং তাঁর ভাই বোন হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া। কিভাবে করবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। কেননা 'অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ'।

তিনি যথারীতি ইন্ডিয়া গেলেন। গিয়ে তিনি বিভিন্ন স্থাপনায় মখা থিওরী প্রয়োগ করতে শুরু করলেন। ঝাকাঝাকি, লাফালাফি, নাড়াচাড়া, ঠেলাঠেলি ইত্যাদি আর কি। কিন্তু জলিল সাহেব জানতেন না যে মখা থিওরী কেবল বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যথারীতি তিনি প্রফুল্ল চিত্তে দেশে ফিরে আসলেন। পড়লেন সাংবাদিকদের সামনে। জানালেন মখা থেরাপি দিয়ে এসেছেন। কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে। তাঁর কথা দেশের মানুষের কানে গেল। দেশের মানুষ মখা না হলেও তাদেরকে মখা বানানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে লাগল মিডিয়া। কারন মিডিয়া মানে 'অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ'।

দিন যায় মাস যায়। জলিল সাহেবের প্রতিশোধ নেওয়া হয় না। মানুষ ভুলে যায় প্রতিশোধের কথা। ভুলে না শুধু 'অসম্ভবকে সম্ভব করাই অনন্তের কাজ'।

এবার উপরের কাহিনীতে অনন্ত জলিল সাহেবের জায়গায় আমাদের ভারতের দাদাদের এদেশীয় এজেন্টদের কল্পনা করুন এবং প্রথম থেকে কাহিনীর সাথে মিলিয়ে নিন।

এদেশীয় এজেন্ট দাদারা আমাদের কত কিই না শোনালেন। বিচার হবে, বিচার হবে। পরদেশী বিনোদন মন্ত্রীর কাছেই সম্ভবত এ জাতীয় কথা বেশি শুনেছি। পানি পাব, বিদ্যুত পাব, হত্যাকান্ডের বিচার পাব ইত্যাদি ইত্যাদি। যথারীতি তাঁরা ইন্ডিয়া যান। কিছুদিন আরাম আয়েশ করে আসেন (হাজার হলেও দাদাদের খাতির)। এসেই আমাদের সামনে হাজির করেন একগুচ্ছ মখালাপ। দাদাদের গাঁজার স্বাদ কি খুব বেশি নাকি!! একটু চেখে দেখতে ইচ্ছা হয়। এবার বিচার হবেই। আমাদেরকে এই দিবেন, ওই দিবেন, পদ্মা দিবেন, তিস্তা দিবেন। শুরু হয়ে যায় জনগণের উপর মিডিয়ার মখা থেরাপি। গাঁজার গন্ধেই পাগল!!!?

দিন যায় মাস যায়। মানুষ সবকিছুই ভুলে যায়। "পরের কারনে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলই দাও"। দাদাদের সবই দিলাম। আর এখন দাদাদের মন খারাপের কারন হলে হয়? দাদাদের সম্পদ দিলাম, মন দিলাম, জানও দিলাম। বিচার ! ! ! ? বিচারটাও তাদেরকে দিয়ে দিলাম। এও কি সম্ভব? 'অসম্ভবকে সম্ভব করাই এজেন্ট দাদাদের কাজ'। :(

অবশেষে এজেন্ট দাদাদের বলতে চাই পুর্ববঙ্গ রাজ্যের উপর কেন্দ্রীয় সরকার এটা কী ধরনের ব্যবহার করল? মুখ্যমন্ত্রী হাসিনা আপনার মুখ দিয়ে কোন একটা কথা শোনার প্রতিক্ষায় রইলাম।

বিষয়: বিবিধ

১১৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File