সবকিছুই প্রোটোকল। কোন কিছুই দ্রুত করা যাবেনা।
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:২৬:৩০ দুপুর
দেরী হচ্ছে হোক। টাকার অভাবে মারা যাক।
কিন্তু মাননীয় স্পীকার কেন দেরী হচ্ছে? তারা তো ক্ষতিপুরণ ও অন্তত বেতন বিনা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
টাকা গুলো শুধুমাত্র আসলদেরকেই দিতে হবে। এক টাকাও যেন কোন ভুয়া শ্রমিকের হাতে না যায়। সেই কারনেই তো লিস্ট তৈয়ার করা হচ্ছে। (সম্ভবত দেরী হওয়ার পিছনে আরও কিছু (অ)কারন রয়েছে।)
মাননীয় স্পীকার আপনার লিস্ট তৈরী করতে করতে তো মনে হচ্ছে তারা এই দুনিয়া থেকেই বিলীন হয়ে যাবে। টাকাগুলো কিছু ভুয়া শ্রমিকের হাতে যেতে পারে? পাকনা কিছু ভুয়া শ্রমিক।
কোটি কোটি টাকা তো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পকেটে চলে যাচ্ছে।
শত শত কোটি টাকা আপনার সামনে গোল হয়ে বসে থাকা কিছু জনগণপ্রেমিকের পকেটে চলে যাচ্ছে। আপনার এই বিরাট ভবনে সেকেন্ডে কোটি কোটি টাকা তাদের পিছনে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।
একজন দরবেশ বাবা ফুঁ দিচ্ছেন। হাজার কোটি টাকা হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।
তাহলে কিছু অতিরিক্ত টাকা না হয় হোক তাদের পেছনে খরচ। কয়জন আর ভুয়া শ্রমিক আসবে। শ্রমিকরা নেতাদের মত নির্ভীক না। তারা এমনিতেই অনেক ভয়ের মধ্যে থাকে। ভয়ের মধ্যে থাকে বলেই সামান্য তিন চার হাজার টাকার চাকরী হারানোর ভয়ে ভাঙা বিল্ডিংয়ে সব জেনেও সেদিন ঢুকেছিল। সুতরাং খুব বেশি টাকা মনে হয় না যে ভুয়া শ্রমিকদের পকেটে যাবে।
যাক অতিরিক্ত কিছু টাকা ক্ষতির পরও যদি আসল শ্রমিকরা সুখ পাখি(!)র গান দু'দিনও শুনতে পায় তাহলে তো ভালই হয়। মাননীয় স্পীকার পদক্ষেপটা একটু তাড়াতাড়ি নিবেন দয়া করে!!
তবে মাননীয় স্পীকার বাতাসে কিসের যেন গুঞ্জন ভেসে আসছে। শুনতে যেন পাচ্ছি রানা প্লাজা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া অর্থ সরকার এদিক ওদিক করেছে। অন্তত এই জায়গায় দুর্নীতি না করলে হত না?
এই জন্যই তুমি '_____'(যা মনে লাগে বসান)। দুর্নীতির কথা বল!? দুর্নীতি তো করেছে তোমার বিম্পি-জামাত জোট সরকার। দেশ কি দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়নি? বরং বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্নীতি অনেক কম।
চ্যাম্পিয়ন সংস্কৃতির শুরুটা যদিও তার আগের আমলের আর বর্তমানে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচে, তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশে দুর্নীতি কমে গেছে। বরং অন্যান্য দেশ দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেনি। অনেক অনেকখানি বেড়েছে।
পদ্মাসেতু, শেয়ার বাজার, ডেসটিনি, হলমার্ক শুধুমাত্র এই কয়েকটা দেখুন। রাজনৈতিকভাবে না দেখে স্বাভাবিকভাবে দেখুন। যে বা যারাই করুক, সংঘটিত হয়েছেই তো।
দলের সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েও ১৫ লাখ টাকার নিচে আজ পুলিশে নিয়োগ হয় না। আগে জানতাম অন্তত সেনাবাহিনীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনা। সেদিন এক বন্ধুর কথা শুনলাম তার নাকি হয়েছে সেনবাহিনীতে। তবে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে। জানিনা কতখানি সত্য। মোটামুটি বেতনের যদি একটা সরকারী চাকরী চান, ১০ ১৫ না থাকলে সেটা স্বপ্নই থেকে যাবে।
যতই দিন যাচ্ছে বিদেশে রোজগারাকাঙ্খী মানুষরা আরও বেশি বেশি দালালের শিকার হচ্ছে।
পুলিশের কাছে আপনাকে যেতে হবে? কপালকে দোষ দেওয়া ছাড়া আপনার কিছুই করার নাই। তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভাগিদার আপনাকেও হতে হবেই।
ইউনিয়ন পরিষদে যাবেন? পরিমাণে অন্তত ২ টাকা হলেও অবৈধ লেনদেন করাই লাগবে।
বলুন দেখি কোনক্ষেত্রে গত আমলের চেয়ে এই আমলে দুর্নীতি কমেছে? :/
আর ১৭৬ টা দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৪ একথা বলতে খুব গর্ব লাগে!?
- আপনা..
আব্বে স্পীকার, চুপ কর ব্যাটা! ভাল কথায় কাজ হবেনা বুঝতে পারতেছি। প্রথমে যা বলছিলাম তাই কর। আমাকেই এখন স্পীকার বানাতে চাও। না? মারবো এখানে লাশ পড়বে ডিসিহারুণ চত্বরে।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন