চুশীলগণকে বিনা পয়সায় কিছু জ্ঞান দান (অল্পবিদ্যার জোরে/অহংকারে/উত্তাপে)!!!
লিখেছেন লিখেছেন বিদ্রোহী ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ১০:৩৮:২৭ রাত
কতিপয় ব্লগার আমাদের প্রিয় নবী {(সঃ), উনারা অবশ্য (সঃ) বলেন না} কে নিয়ে কটাক্ষ করেছে। যার কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে বিশাল আঘাত লেগেছে। আর মানুষের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জামাত শিবির আজকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
তথাকথিক কিছু চুশীলের এই বক্তব্য শুনতে শুনতে কানের এনার্জি আশংকাজনক হারে কমে চলেছে।
তবে তাদের কাছে আমার কিছু পশ্ন আছে।
সেগুলোর পক্ষ নিয়া জামাত শিবির সুযোগ নিচ্ছে। তারা যাতে সুযোগ নিতে না পারে তার ব্যবস্থা তোমরা করতে পারনা!? তুমরা তো আধুনিক(!) শিক্ষায় শিক্ষিত। স্মার্ট সমাজ। তোমাদের কথা তো মানুষে শুনব। তোমরা একবার বল যে আল্লাহর আইন চাই, ধর্মদ্রোহীদের ঘৃণা করি।
একবার বল যে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশা চাইনা।
একবার বল মূর্তিগুলো ভেঙে ফেলা হোক।
বল যে ইসলামবিরোধী নারীনীতি শিক্ষানীতি চাইনা।
তাইলেই তো তোমাগো 'দুশমন' জামায়াত শিবির এই সুযোগ পাইবনা। তোমরা না নিজেদেরকে 'ইসলামবিরোধী নও' বলে দাবী কর!!! জনগণতো এমনিতেই তাইলে তোমাগো কথা শুনব। কারণ তোমরা 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের' শক্তি (মাথায় জাতীয় পতাকা বাধলেই তোমাগো সাত খুন মাফ হইয়া যায়)। 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী'।
কিন্তু আমরা জানি তোমরা সেটা করবা না। কারন তোমরা চেতনাধারী নও। তোমরা হইতেছ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ী। তোমরা কথায় কথায় বল জামায়াত ধর্ম ব্যবসায়ী। তাহলে তোমরা ধর্ম রক্ষা করতেছনা কেন? মুসলিম হিসেবে সেটাতো তোমাদেরও অবশ্য পালনীয়। জানি এখন আবার বলবা যে ধর্ম রক্ষার দায়িত্ব আল্লাহর। (অবশ্যই আল্লাহর) কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সঃ) এবং তাঁর সাহাবীগণ তাঁদের জীবদ্দশায় অতগুলো যুদ্ধ কেন করেছিলেন? অবশ্য সেগুলো তোমাদের জানার কথা না। কারণ তোমরা তো ৪ কালেমায় বিশ্বাসী। নাহ্ আমারই ভুল হয়েছে। আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে - যে যুদ্ধগুলোর কথা আমি বললাম, সেগুলো তো আসলে ছিল 'মধ্যযুগীয় বর্বরতা' (নাউযুবিল্লাহ্)।
যাইহোক চুশীলগণ। তোমাদেরকে 'তুমি' ছাড়া সম্বোধন (তাও আবার ভদ্রতার খাতিরে, নইলে তুই বলতাম) করলাম না বলে আমি
.
.
দুঃখিত
.
.
.
নই।
বিষয়: রাজনীতি
১১৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন